আপডেট :

        চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে একটি মহাসড়কের অংশ ধস

        আদালতে হাজির হবেন ইউনূসসহ সকল আসামি

        রাজবাড়ীতে ট্রেন চলাচল বন্ধ

        ডিজাব’র নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক

        দেশের শাসন কাঠামোর সব জায়গায় শ্রমিকদের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার দাবি

        সাঁথিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের কারাদণ্ড

        সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন

        ঘুমের যত্নে প্রাকৃতিক উপায়

        গাড়িতে অযাচিত স্টিকার ব্যবহার

        অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

        উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যার সম্ভাবনা

        বর্তমান সরকার শ্রমিকদের জন্য যা করেছে, অন্য কেউ করেনি

        ২ ভাইকে পিটিয়ে হত্যা: জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি

        ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার কারও নাই, আমারও নাই

        মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তারের কারন জানা গেলো

        সেচের অভাবে মরছে ২৪২ বিঘা ধান

        তীব্র গরমে ছাতা, ক্যাপ, বিশুদ্ধ পানি এবং খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ

        তীব্র গরম উপেক্ষা করে বিএনপির সমাবেশ

        যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী এবং ইসরায়েলি প্রতিরোধকারীদের সংঘর্ষ

        কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের একটি একাডেমিক ভবনে আটকে থাকা ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার

কারাগারে আদালত সংবিধান সম্মত নয় : ড. কামাল হোসেন

কারাগারে আদালত সংবিধান সম্মত নয় : ড. কামাল হোসেন

দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ না করে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন কেউ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া উচিৎ এবং চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। সরকারের ভুলে যাওয়া উচিৎ নয় আমরা সভ্য সমাজে বাস করি। এছাড়া, কারাগারে আদালত বসানোর বিষয়ে তিনি বলেন- আমি আদালতে গেলে বলব এটা সংবিধান সম্মত না। কোর্ট বিচার করবে এটা আসলেই সংবিধান সম্মত কিনা।

মঙ্গলবার (১১সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরামের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মূলত সাম্প্রতিক সময়ে ধরপাকড় নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

ড. কামাল বলেন, ‘কর্নেল তাহেরের বিচারের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বিচার মেলানো হয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে কর্নেল তাহেরের বিচার হয়েছিল সামরিক আদালতে। এভাবে কারাগারে খালেদা জিয়ার বিচার সংবিধান সম্মত না, এটা আমরা উচ্চ আদালতে বলব।’ ‘খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে উচ্চ চিকিৎসা দিতে হবে। দেশে যে অবস্থা চলছে তা সভ্য দেশে চলতে পারে না। এখানে অসভ্য কোনোকিছু করা হলে তা দেশের জনগণ মেনে নেবে না।’

তিনি বলেন, ‘অনেক মানুষ গুম হয়ে যাচ্ছে, নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে। এগুলো কারা করছে তা তদন্ত করে দেখা দরকার। গুম-নিখোঁজ শেষে যারা ফিরে আসছে তারাও মুখ খুলছে না। কেন খুলছে না? এভাবে গুম-নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি সংবিধান সমর্থন করে না। এগুলোর বিষয়ে আদালতে তদন্ত হওয়া দরকার।’

তিনি আরও বলেন, সরকার সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছে না। সংবিধানে বলা আছে, কাউকে আটক করা হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে আদালতে সোর্পদ করতে হবে। সংবিধানের এ নিয়ম মানা হচ্ছে না। আমরা এ সব বিষয়ে আদালতে যাব। উচ্চ আদালতের কাছে আমরা আদেশ চাইব।’

বিশেষ কারণে দুই একবার সাদা পোশাকে গ্রেপ্তার করা যেতে পারে। তবে এটা এখন নিয়মিত করা হচ্ছে। কারো অপরাধ থাকলে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তাও সংবিধানে স্পষ্ঠ করে উল্লেখ আছে কিভাবে আইনের আওতায় আনতে হবে। এখন যা হচ্ছে সরকার তা করতে পারেনা।

সংবিধান প্রণেতা আরও বলেন, ‘মৃত ব্যক্তিকে পুলিশ ককটেল ছুড়তে দেখেছে, আসামিকে বাদী চেনেন না। কিন্তু মামলা হচ্ছে এগুলো আজব দেশেই ঘটতে পারে।’ ‘পুলিশ যদি সরকারের অনুমতি ছাড়া এগুলো করে তাহলে সেটা গুরুতর অপরাধ। আর যদি সরকারের অনুমতি নিয়ে করে তাহলে সরকার সংবিধান অমান্য করছে।’

‘সাদা পোশাকে ধর-পাকড় চলছে। সাদা পোশাকে যারা আটক করছে তারা কারা? সাদা পোশাকধারীদের ছিনতাইকারী ভেবে জনগণ যদি ব্যবস্থা নেয় তখন কী হবে? সংবিধানে রয়েছে কাউকে আটক করতে হলে ইউনিফর্ম পরে আটক করতে হবে। আমরা এ সব বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমরা সংবিধানের শাসনের বাইরে চলে যাচ্ছি।’

কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এভাবে কেন ছাত্রদের আটক করা হচ্ছে? ছাত্ররা কোটা সংস্কার চেয়েছে তারা বাতিল চায়নি। ৪৬ বছর আগে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোটার কথা বলা হয়েছিল সেটা বিশেষ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে। এত বছর পর কোটার দরকার আছে কি না সেটা ভাবতে হবে। সংবিধানে বলা আছে যোগ্যতার ভিত্তিতে সবাইকে মূল্যায়ন করতে হবে। সংবিধানে সকলের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে।’

সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) প্রেস ক্লাবে বিএনপির মানববন্ধন শেষে নেতাকর্মীদের আটকের বিষয়ে ড. কামাল বলেন, ‘এটা গণতন্ত্রের নমুনা না।’

২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণফোরাম ও যুক্তফ্রন্টের সমাবেশের বিষয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু অনুমতি পাইনি। অনুমতি না পাওয়ায় মহানগর নাট্যমঞ্চে সমাবেশ করব। আওয়ামী লীগ তো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করে। তারা করতে পারলে অন্যরা করতে পারবে না কেন? আওয়ামী লীগকে এই জমিদারি ভাব পরিহার করতে হবে।’

আওয়ামী লীগ দশ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে গণফোরাম সভাপতি বলেন, ‘তারা নির্বাচিত হয়ে পাঁচ বছরের জন্য এসেছিল। পাঁচ বছর পর এক ‘অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় এসে টিকে আছে।

২০ দলীয় জোটে জামায়াত আছে, এই জোটে আপনারা থাকবেন কি না জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াত এখন নিবন্ধিত কোনো রাজনৈতিক দল না। আমরা জামায়াতের সঙ্গে আন্দোলনে জোটবদ্ধ হবো না। আমাদের এ অবস্থানের বিষয়টি আমরা পরবর্তীতে আরও স্পষ্ট করব।’

ড. কামাল বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে স্বাভাবিক পরিবেশ নেই। আমি আগে বলেছিলাম নির্বাচনটা আদৌ হবে কিনা। আসলে নির্বাচনটা হোক। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পরিবেশ দরকার। কিন্তু এখন ভয়ভীতির আশঙ্কা তৈরী হয়েছে।

এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত