ইঞ্জিন বিকল হওয়ার ঝুঁকিতে জিএম-এর প্রায় ৬ লাখ গাড়ি রিকল
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
যুক্তরাষ্ট্রে ক্যাডিল্যাক, শেভ্রোলেট ও জিএমসি ব্র্যান্ডের প্রায় ৬ লাখ গাড়ি রিকল করছে জেনারেল মোটরস (GM)। সম্ভাব্য উৎপাদন ত্রুটির কারণে এসব গাড়িতে ইঞ্জিন বিকল হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্র্যাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NHTSA)-এর নথি অনুযায়ী, ২০২১ থেকে ২০২৪ মডেল বছরের মধ্যে নির্মিত কিছু Cadillac Escalade ও Escalade ESV, Chevrolet Silverado 1500, Suburban, Tahoe এবং GMC Sierra 1500, Yukon ও Yukon XL মডেল এই রিকলের আওতায় পড়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব গাড়ির গ্যাস ইঞ্জিনে কানেক্টিং রড বা ক্র্যাঙ্কশ্যাফট কম্পোনেন্টে ত্রুটি থাকতে পারে, যা সরবরাহকারীদের মান ও উৎপাদন সমস্যার কারণে হয়েছে। এর ফলে ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যেতে পারে—যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়।
ইঞ্জিন বিকল হওয়ার আগে গাড়ির মালিকরা জোরে ধাতব শব্দ, ‘চেক ইঞ্জিন’ লাইট জ্বলে ওঠা বা গাড়ির গতি হ্রাসের মতো সমস্যার মাধ্যমে সতর্ক হতে পারেন।
সমস্যার সমাধানে, জিএম ফ্রি-তে গাড়িগুলোর ইঞ্জিন পরিদর্শন ও প্রয়োজনে মেরামত বা নতুন কম্পোনেন্ট দিয়ে পরিবর্তনের ব্যবস্থা করবে। ডিলারদের কাছে ইতোমধ্যেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে, এবং ৯ জুন থেকে মালিকদের চিঠি পাঠানো শুরু হবে।
মোট ৫৯৭,৬৩০টি গাড়ি এই রিকলের আওতায় পড়লেও, জিএমের দাবি—শুধুমাত্র ৩% গাড়িতে প্রকৃতপক্ষে ত্রুটি রয়েছে।
কেন এত দেরিতে চিঠি পাঠানো হচ্ছে, সে প্রশ্নের জবাবে জিএম জানিয়েছে, মালিকদের ঠিকানা নিশ্চিত করা এবং ডিলারদের প্রস্তুতির জন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন। তবে তারা দাবি করেছে, এই রিকলের জন্য পর্যাপ্ত ইঞ্জিন সরবরাহ তারা নিশ্চিত করেছে।
ভুক্তভোগীরা তাদের গাড়ি এই রিকলে রয়েছে কিনা, তা NHTSA ওয়েবসাইট বা GM-এর রিকল লুকআপ টুল ব্যবহার করে যাচাই করতে পারবেন।
জিএম এক বিবৃতিতে জানায়, “আমাদের গ্রাহকদের নিরাপত্তা ও সন্তুষ্টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এই সমস্যাটি দ্রুত সমাধানে আমরা কাজ করছি।”
জিএমের তদন্তে দেখা গেছে, ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে মোট ২৮,১০২টি অভিযোগ বা ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ১৪,৩৩২টি ক্ষেত্রে গাড়ি চলার ক্ষমতা হারিয়েছে। এছাড়া ১২টি দুর্ঘটনা, ১২টি আঘাতপ্রাপ্তের অভিযোগ এবং ৪২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে—যদিও সবগুলোর কারণ নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি এবং বেশিরভাগ চোট ছিল তথাকথিত ‘হালকা’ বা দুর্ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট নয়।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন