আপডেট :

        পাকিস্তানী অভিনেত্রী হানিয়াকে এক ব্ক্স পানির বোতল উপহার পাঠালেন ভারতীয় ভক্ত

        ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার ৬০০ জন প্রাণ হারিয়েছে

        আজ কর্ণফুলী নদী থেকে ক্ষুদে ক্রিকেটারের লাশ উদ্ধার

        ৭ বছর মেয়াদি শরিয়াহ বন্ড ছাড়ছেন সরকার

        ফিলিস্তিন-ইসরায়েলকে আলোচনা শুরুর আহ্বান জানায় রাশিয়া

        আগামী বছরের পাঠ্যবই ছাপার কাজ এবার আগেভাগেই শুরু করছে এনসিটিবি

        ‘বিনোদন সারাদিন’ আয়োজনে দুই হাজার পর্বে বিশেষ অতিথি অপি করিম

        ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেওয়ায় কর্ণাটকে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা

        জামিন পেয়েছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস

        পাশের বাসার ‘আন্টি’দের জীবনে ‘ফেস’ করেন নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন

        রাজনীতি বা ধর্ম কোনোটিই মানুষের মূল পরিচয় নয়: মির্জা ফখরুল

        ব্রাজিলকে না করে দিয়েছেন আনচেলত্তি!

        মে দিবসে মঞ্চে আসবে আরণ্যকের ‘রাঢ়াঙ’

        সহজে পাকিস্তানে কেউ হামলা করতে পারবে না: মরিয়ম নওয়াজ

        অন্য বছরের চেয়ে ২০২৪ সালের বন্যা ছিল ভিন্ন: প্রধান উপদেষ্টা

        ব্যস্ত জীবনে একাকীত্ব একটি বড় মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা

        ব্যস্ত জীবনে একাকীত্ব একটি বড় মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা

        ১৭ অভিনয়শিল্পীর নামে হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়েছে

        আর্সেনালকে তাদের মাঠে হারিয়ে ফাইনালের পথে আছে পিএসজি

        রমনা বটমূলে হামলা: হাইকোর্টের রায় ৮ মে

অন্য বছরের চেয়ে ২০২৪ সালের বন্যা ছিল ভিন্ন: প্রধান উপদেষ্টা

অন্য বছরের চেয়ে ২০২৪ সালের বন্যা ছিল ভিন্ন: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৪ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পে নির্মিত ঘরের চাবি তুলে দিয়েছেন।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই চাবি তুলে দেওয়া হয়। 

এই সময় চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলা থেকে উপকারভোগীদের ভার্চুয়ালি চাবি হস্তান্তর করা হয়। 

প্রতিটি জেলা থেকে একজন করে উপকারভোগী তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। তারা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি ধন্যবাদ জানান।

এইদিন অন্যান্য বছরের চেয়ে গতবছরের বন্যাকে ভিন্ন ও অস্বাভাবিক উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যখন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করি, সঙ্গে সঙ্গে বন্যা শুরু হয়। ঠিক বুঝতে পারছিলাম না, এ জায়গায় কি বন্যা হবে। অন্যান্য বছর যে বন্যা হয়, এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন জায়গার বন্যা। এটা কত গভীরভাবে মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, এটার কোনো ধারণা ছিল না। অথবা আন্দাজ করা হয়েছিল যে, তাড়াতাড়ি চলে যাবে। কিন্তু দিন যত যাচ্ছিল, এটা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বন্যা বেড়ে যাচ্ছিল। সবাই ত্রাণ নিয়ে দৌড়াদৌড়ি, সাহায্যের জন্য সারাদেশ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এটা যে কত বড় বন্যা ছিল, তা বুঝতে পেরেছি বন্যা চলে যাওয়ার অনেক পরে। বন্যায় যারা বাড়িঘর হারিয়েছিল, তাদের কোথাও যাওয়ার কোনো জায়গা ছিল না।’

তিনি আরও বলেন, ‘নানাভাবে প্রস্তাব আসছিল, বাড়ির জন্য টাকা দিতে হবে। টাকা দেওয়ার ব্যাপারে আমি একটু শক্ত অবস্থান নিয়েছিলাম। টাকা দিতে গেলে এই টাকার ভাগ-বাটোয়ারা অনেক রকম হয়ে যাবে। যারা প্রাপ্য, তাদের হাতে পৌঁছাবে না। তখন প্রস্তাব এসেছিল আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে করার। সেই প্রকল্পের বিষয়ে জানা ছিল না, কিন্তু নামটা জানা ছিল। তখন ভাবলাম যে এটা কী করা যায়। পরে জানলাম, এটা সেনাবাহিনী করবে। তখন স্বস্তি পেলাম—আসলে টাকাটা সঠিকভাবে ব্যবহার হবে।’

‘ভালো লাগছে যে, টাকাটার সঠিক ব্যবহার হয়েছে। ঘরটাও সঠিকভাবে নির্মাণ হয়েছে। অনেক সময় টাকা ব্যবহার করা হলেও গুণগতমান ঠিক হয় না। আজকে গুণগতমানের ব্যাপারেও আশ্বস্ত হলাম।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যে টাকা দিয়েছিলাম, তার অর্ধেক টাকাতে কাজটা হয়েছে। উল্টো খবর। সাধারণত যে টাকা দেওয়া হয়, তার দ্বিগুণ চাওয়া হয়। এখানে যা দেওয়া আছে, তার অর্ধেক ব্যবহার হয়েছে। একটা আনন্দের খবর।’

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত