জলবায়ু পরিবর্তন: ঝুঁকিতে বাংলাদেশের সাড়ে ১৩ কোটি মানুষ
জলবায়ু পরিবর্তন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের কারণে বাংলাদেশের সাড়ে ১৩ কোটি মানুষ জীবনযাত্রার ঝুঁকিতে রয়েছে।
২৬ সেপ্টেম্বর, বুধবার বিশ্বব্যাংকের ‘সাউথ এশিয়া’স হটস্পট: দ্য ইমপ্যাক্ট অব টেম্পারেচার অ্যান্ড প্রিসিপিটেশন চেঞ্জেস অন লিভিং স্ট্যান্ডার্ড’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬০ বছর ধরে এই অঞ্চলের গড় তাপমাত্রা বেড়েছে এবং বাড়ছে। ফলে এ অঞ্চলের কৃষি, স্বাস্থ্য ও উৎপাদন কমে গেছে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, আবহাওয়া ও তাপমাত্রার এমন পরিবর্তনের ফলে জিডিপির ৬.৭ শতাংশের সমান ক্ষতি হতে পারে। ২০৫০ সালের মধ্যে দেশের এক-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষের জীবনযাত্রার ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনের তথ্য অনুসারে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, কোনো প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এই সময়ের মধ্যে গড় তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টইউগ স্কাফার বলেন, সারা বিশ্বে, বিশেষ করে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন তীব্র আকার ধারণ করায় দারিদ্র্যের হার কমিয়ে উন্নয়ন চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে।
কয়েক দশকের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়বে জানিয়ে স্কাফার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনকে মোকাবিলায় কৃষির বাইরে অন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
এ জন্য প্রয়োজনে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
প্রতিবেদনে চট্টগ্রাম বিভাগকে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়, বিভাগের ১০টি জেলার মধ্যে সাতটি বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
শেয়ার করুন