“ফরিদপুরে এ.কে. আজাদ বাড়িতে বিএনপি মিছিল নিয়ে চড়াও, গণসংহতি আন্দোলনের তীব্র প্রতিবাদ
এ পরিস্থিতি কতদিন চলবে জানি না: প্রধানমন্ত্রী
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে সারা বিশ্ব এখন স্তবির, মানুষ ঘরে বন্দি। এই ধরণের অদ্ভূত পরিস্থিতিতে আর কখনও কেউ পড়েনি। যাইহোক, আমরা জানি না এটা কতদিন ধরে চলবে। এজন্য আগামী তিন বছরে আমাদের অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেজন্য আমরা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছি।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের সংক্ষিপ্ত অধিবেশনে সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে চলতি সংসদের সপ্তম এ অধিবেশন বিকেল ৫টায় শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই করোনা নিয়ে অনেক গবেষণা হচ্ছে। অনেক চিন্তা হচ্ছে। অনেকেই বলছে শীত হলে বেশি হয়, গরম হলে কমে। আবার বলে গরম হলেও থাকবে। এর স্থায়িত্ব কী, সারা বিশ্বে অদ্ভুত একটা অবস্থা। কত শক্তিশালী দেশ, কত তাদের শক্তিশালী অস্ত্র। কোনো কিছুই কাজে লাগছে না।
তিনি বলেন, একটা ভাইরাস যা চোখে দেখা যায় না, কিন্তু তার কারণে সারা বিশ্ব স্থবির। সারাবিশ্বের মানুষ ঘরে বন্দী। এরকম অদ্ভুত পরিস্থিতি বোধ হয় আর কখনো হয়নি। এজন্য আমরা আশু করণীয় হিসেবে মধ্যমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থা নিয়েছি। আগামী তিন বছর অর্থনৈতিকভাবে দেশের মানুষ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তার জন্য আমরা প্রণোদনা প্যাকেজ ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সংকট যেন কাটিয়ে উঠতে পারি সেভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি। অর্থনৈতিকভাবে যে নেতিবাচক দিকগুলো সামনে আসতে পারে সেটা যেন আমরা মোকাবেলা করতে পারি, মানুষের কর্মসংস্থান, মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দেয়া, মানুষের জীবনটা যেন চলতে পারে এজন্য সর্বস্তরের যেমন- শিল্প, কৃষি, একেবারে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, শ্রমিক, কৃষক, তাঁতি, ব্যবসায়ী- সবার কথা বিবেচনা করে আমরা এই প্যাকেজ তৈরি করেছি।
তিনি বলেন, আমরা যে ৯৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছি, তা জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। আমি আজকে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, আমাদের ৩৩৩ যে হটলাইন আছে সেটিতে সংযোগ রেখে এই ধরনের পরিস্থিতিতে যারা পড়বে তাদের ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করতে। সেটা ইনশাল্লাহ আমরা করবো। আল্লাহর রহমতে আমাদের খাদ্যের অভাব নেই এবং হবে না। সেই সঙ্গে কৃষি কাজ যেন অব্যাহত থাকে এজন্য ৫ শতাংশ সুদের কথা বলেছিলাম ওটা এখন কমিয়ে ৪ শতাংশ করেছি। তাছাড়া দুই কোটি কৃষক ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তাদের ভর্তুকি পাবেন। এছাড়া কৃষি শ্রমিকরা কোথাও কাজ করতে যেতে চাইলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া আছে, তারা যেন ধান কাটার শ্রমিকদের পৌঁছে দেন।
এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এন
শেয়ার করুন