আপডেট :

        দমে যাবেন না পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো

        নিজের ৪০তম জন্মদিনে একটু ভিন্নভাবে সেজেছেন মার্ক জাকারবার্গ

        ক্রিকেটার তাসকিনের বদলে যাওয়ার গল্প

        ক্রিকেটার তাসকিনের বদলে যাওয়ার গল্প

        যে কারণে ভোটকেন্দ্রে এখন আর ভোটার পাওয়া যায় না

        বাংলাদেশ ব্যাংকে তথ্য দেওয়ার জন্য ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ করা হয়েছে

        বাংলাদেশ ব্যাংকে তথ্য দেওয়ার জন্য ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ

        সৌদি আরবে বাংলাদেশি এক হজযাত্রী মারা গেছেন

        মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে দেশে পুরুষের চেয়ে নারীরা অনেকে পিছিয়ে

        বাংলাদেশ সেন্ট্রাল ব্যাংক অনেক তথ্যই ওয়েব সাইটে না দিয়ে গোপন রাখে

        আবারও একবার টিভি পর্দায় ফিরে এলো ডকুড্রামা ‘হাসিনা

        এশিয়ার ফুটবলে নতুন করে বর্ষপঞ্জি সাজিয়েছে এএফসি

        যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়ঃ শেখ হাসিনা

        এশিয়ার ফুটবলে নতুন করে বর্ষপঞ্জি সাজিয়েছে এএফসি

        দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর

        ১০ হাজার বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে ব্রিটেন

        সহজেই কিছু ফেসপ্যাক বানানোর টিপস

        অন্ততপক্ষে ২০ এমবিপিএসেক আমরা সর্বনিম্ন ব্রডব্যান্ড হিসেবে ঘোষণা করবঃ পলক

        সবজির বাজারে লাফিয়ে বাড়লো কাঁচা মরিচের দাম

        ঝুঁকি বিবেচনায় এআই আইন করা হবে

আপাতত সুষ্ঠু নির্বাচন করাই সরকারের লক্ষ্য: পররাষ্ট্রসচিব

আপাতত সুষ্ঠু নির্বাচন করাই সরকারের লক্ষ্য: পররাষ্ট্রসচিব

নির্বাচনের পর নিষেধাজ্ঞা আসা না আসা নিয়ে এখনই অস্থিরতা বা ভীতির কোনো কারণ দেখছেন না পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের পর কোন নিষেধাজ্ঞা আসবে কি না, সেটা নিয়ে সরকার এখন ভাবছে না। আপাতত সুষ্ঠু নির্বাচন করাই সরকারের লক্ষ্য। আর যদি কিছু আসে তা বাংলাদেশ মোকাবিলা করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

 

নির্বাচনের পর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসলে বাংলাদেশ কি করবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আমরা সবচেয়ে খারঋপটা চিন্তা করব কেন? আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতির কথা বলা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরাও আশা করছি, একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সেজন্য আমরা সবাই কাজ করছি। তিনি বলেন, আশা করছি, নির্বাচন ভালো হবে। আর নির্বাচনের সময় যদি কোনো রকমের সমস্যা হয়, সেটা তখন আমরা দেখব। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। তারপরও কোনো নির্দিষ্ট দেশ যদি মনে করে, নিষেধাজ্ঞার ইস্যু আসে তখন আমরা সেটা তুলব। এটার জন্য এখনই আমরা অস্থির হয়ে যাওয়া বা ভীতির সৃষ্টির কোনো কারণ তো আমরা দেখছি না।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, সমস্যা টুকটাক থাকবে এটা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা নিজেরা যদি ঠিক থাকি, নির্বাচন যদি আমরা সুষ্ঠু করতে পারি, ভোটাররা যদি ভোট দেন তাহলে কোন দেশ কি ভাবল বা কি করল সেটা নিয়ে আসলে এতটা দুশ্চিন্তা করার কিছু নাই। পররাষ্ট্রসচিব বলেন, প্রত্যেকটা দেশে তাদের সার্বভৌমত্বের ব্যাপার আছে। আমরা সবাইকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য স্বাগত জানিয়েছি। তারা নির্বাচন প্রক্রিয়া দেখবে, সবকিছু দেখবে। কমনওয়েলথ থেকে বড় একটা দল আসছে। শহরে এনডিআই, আইআরআই দল রয়েছে, ইইউর দল রয়েছে। এছাড়া আরও অনেক পযবেক্ষক আসবে। আমরা আশা করছি, উত্সবমূখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করার পরও যদি নিষেধাজ্ঞার ইস্যু আসে, তাহলে তা আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।

নির্বাচন পরবর্তীতে কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমরা এখন মনোযোগ দিচ্ছি, নির্বাচন যাতে আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারি। নির্বাচনে কেউ বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার কথা যুক্তরাষ্ট্রের দিকে থেকে বলা হয়েছে। যেহেতু আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করব সেই ভয় থাকছে না।

মিয়ানমারকে কেন্দ্র করে গত কয়েক মাসে নানামূখী ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ দেখা যাচ্ছে। তাহলে এ অঞ্চলে বাংলাদেশ কোনো ছায়া যুদ্ধের আশঙ্কা করছে কি না- এমন প্রশ্নে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, অবশ্যই আমরা যেকোনো ধরণের যুদ্ধ-সেটা বাস্তব হোক আর ছায়া যুদ্ধ হোক, সেটার বিপক্ষে। মিয়ানমার আমাদের প্রতিবেশি দেশ। ভারত আমাদের প্রতিবেশি দেশ। এ দুটো প্রতিবেশির সঙ্গে আমাদের সীমান্ত রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, উন্নয়ন। যেকোনো ধরনের দ্বন্ধ, ছায়াযুদ্ধ বা অন্য কিছু আমাদের যে অভিষ্ট লক্ষ্য সেটা থেকে বিচ্যুত করতে পারে। সেজন্য আমরা সব সময় চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে আসছি।

রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বন্দ্বে না জড়ানোর প্রসঙ্গ টেনে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ২০১৭ সালে মিয়ানমার যখন রোহিঙ্গাদের পাঠাল তখন নানা রকমের উস্কানি ছিল। কিন্তু আমাদের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব থেকে বলা হয়েছে, কোনো দ্বন্দ্বে না জড়াতে। বাংলাদেশ কোনো কিছুতে জড়ায়নি। কারণ, আমরা কোনো দ্বন্দ্ব চাই না। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক সরকারকে জানিয়েই ছুটিতে গিয়েছিলেন বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।

 এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত