দুই শতাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকার নিশ্চুপ : বিএনপি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিশ্ববাসী যখন রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যা, নির্যাতন ও নিজেদের বসত বাড়ি থেকে উৎখাতের বিরুদ্ধে সোচ্চার তখন নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশ সরকার প্রায় নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে।
মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন ও হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় দেয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি তাদের মিয়ানমার যাতে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়, সে বিষয়ে কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়ারও দাবি জানিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, "রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া ও তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের মৌলিক দায়িত্ব, বিশ্ব মানবতার পাশে সব সময় দাঁড়াতে হবে, একথা পরিস্কার করে সংবিধানে বলা আছে। কিন্তু সরকার এক্ষেত্রে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।" নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানোর পাশাপাশি তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দিতে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব।
মানববন্ধনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের জন্য মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি ও দেশটির সেনাবাহিনীর কঠোর সমালোচনা করেন। গণহত্যা থেকে প্রাণ বাঁচাতে রাখাইন থেকে বাংলাদেশে হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের সরকার রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘এই সরকার তাদেরকে (রোহিঙ্গা) শুধু গ্রহণ করবে না, সেটাই বলছে না, বরঞ্চ তারা এই অন্যায়ের কোনো প্রতিবাদ করছে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্বের যে সমস্ত দেশে এই ধরনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে, সেই সমস্ত দেশ নিরাপত্তা পরিষদে এইটাকে নিয়ে সুরাহার ব্যবস্থা করেছে। বাংলাদেশ এখানে ফেইল করেছে।’
মানববন্ধন কর্মসূচি উপলক্ষে সকাল ১০টার আগেই ঢাকার রাস্তায় নেমে আসেন বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। ফলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনটি বিশাল সমাবেশে পরিণত হয়।
এ কর্মসূচিতে বিএনপির কেন্দ্রীয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী যোগদেন। এ ছাড়া ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, শ্রমিক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও মানববন্ধনে অংশ নেন।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
শেয়ার করুন