আপডেট :

        সুন্দরবনে সন্ধ্যায়ও বিক্ষিপ্তভাবে অর্ধশতাধিক স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা যায়

        উচ্চশিক্ষাকে ডিজিটালাইজেশনে আওতায় আনার সিদ্ধান্ত

        কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ওপরে ড্রোন, পাহারায় পুলিশ’

        বাংলাদেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয় বরং উন্মুক্ত

        বাংলাদেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয় বরং উন্মুক্ত

        দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছয় দিন ধরে হতে পারে ঝড়-বৃষ্টি

        দীর্ঘ সময় পর ঢাকা-জয়দেবপুরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

        জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পারফর্ম বিবেচনা করে বিশ্বকাপ ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে

        জবিতে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাড মেকিং প্রতিযোগিতা

        মিয়ানমারের আরও ৪০ সীমান্তরক্ষী টেকনাফে

        রাজউকের প্লট-ফ্ল্যাট বরাদ্দ এলো নতুন বিধিমালা

        সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু

        চুক্তিতে যেতে আগ্রহ নন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন

        গণহত্যার প্রতিবাদে চীন বর্জনের ডাক

        রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির আশা

        টানা তাপপ্রবাহের মধ্যে আবহাওয়ায় ব্যপক পরিবর্তন

        হানিফ ফ্লাইওভারের উপরের যানজটকে সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য সমন্বয় সভা

        মালদায় দেবের হেলিকপ্টারে আগুন

        প্যারিসের সায়েন্সেস পো ইউনিভার্সিটি থেকে গাজাপন্থী কিছু শিক্ষার্থীকে সরিয়েছে পুলিশ

        চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা পাকিস্তানের স্যাটেলাইট

বরিশালে নির্মিত হবে শেখ হাসিনা সেনানিবাস

বরিশালে নির্মিত হবে শেখ হাসিনা সেনানিবাস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নামকরণ করে বরিশালে নির্মিত হতে যাচ্ছে ‘শেখ হাসিনা সেনানিবাস’।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই প্রকল্পের  অনুমোদন দেওয়া হয়।

একনেক সভা শেষে প্রকল্পগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এটি হবে দেশের ৩১তম সেনানিবাস। দেড় হাজারের বেশি একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া সেনানিবাসটি হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে। ২০২১ সালের জুনের মধ্যে সেনানিবাসের নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে সেনা সদর ও পূর্ত পরিদপ্তর।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে একটি সেনানিবাস স্থাপন অত্যন্ত জরুরি। দক্ষিণাঞ্চলের ছয়টি জেলায় বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটলে ২০০ কিলোমিটার দূরের যশোর সেনানিবাসের সহায়তা নিতে হয়। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে সরকারের বেশকিছু মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। দুর্যোগ মোকাবিলার পাশাপাশি সেসব প্রকল্পে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বরিশালে একটি সেনানিবাস তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সেনানিবাসটি মূলত বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার মধ্যে পায়রা নদীসংলগ্ন এলাকায় লেবুখালীতে পড়ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯টি ডিভিশনের আওতায় দেশে এখন ৩০টি সেনানিবাস রয়েছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলের বৃহৎ উপকূলীয় এলাকা বরিশাল ও পটুয়াখালীতে সেনানিবাস নেই। জাতীয় নিরাপত্তা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় দক্ষিণে একটি সেনানিবাস গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।

এর মাধ্যমে সরকার ঘোষিত ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আওতায় আন্তর্জাতিক মানের সেনাবাহিনী গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

তিনি বলেন, প্রকল্প এলাকাটি চরাঞ্চল হওয়ায় সেখানে জনবসতি গড়ে ওঠেনি। ফলে ঘরবাড়ি কিংবা স্থাপনার জন্য কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসনের প্রয়োজন পড়বে না। প্রস্তাবিত সেনানিবাসে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে প্রায় ১৭ হাজার। পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হবে ১ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা। পুরো টাকাই সরকারি অর্থায়নে ব্যায় করা হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, এছাড়া তিন হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে পায়রায়। সেখানে দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের কাজও চলছে। একই সঙ্গে একটি বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের। দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে সরকারের নেওয়া এসব মেগা প্রকল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনানিবাসটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলা বরিশাল, বরগুনা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ভোলা উপকূলবর্তী জনপদ। এই সেনানিবাসের কাজ শেষ হলে উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করা সহজ হবে।

 এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত