আপডেট :

        মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে দেশে পুরুষের চেয়ে নারীরা অনেকে পিছিয়ে

        বাংলাদেশ সেন্ট্রাল ব্যাংক অনেক তথ্যই ওয়েব সাইটে না দিয়ে গোপন রাখে

        আবারও একবার টিভি পর্দায় ফিরে এলো ডকুড্রামা ‘হাসিনা

        এশিয়ার ফুটবলে নতুন করে বর্ষপঞ্জি সাজিয়েছে এএফসি

        যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়ঃ শেখ হাসিনা

        এশিয়ার ফুটবলে নতুন করে বর্ষপঞ্জি সাজিয়েছে এএফসি

        দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর

        ১০ হাজার বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে ব্রিটেন

        সহজেই কিছু ফেসপ্যাক বানানোর টিপস

        অন্ততপক্ষে ২০ এমবিপিএসেক আমরা সর্বনিম্ন ব্রডব্যান্ড হিসেবে ঘোষণা করবঃ পলক

        সবজির বাজারে লাফিয়ে বাড়লো কাঁচা মরিচের দাম

        ঝুঁকি বিবেচনায় এআই আইন করা হবে

        গুগল ট্রান্সলেটরে মুখের কথা অন্য ভাষায় অনুবাদ করার পদ্ধতি

        বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ তাই দুই মাস পর পর ঋতু পরিবর্তন

        বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ তাই দুই মাস পর পর ঋতু পরিবর্তন

        বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের রহস্যজনক নিষ্ক্রিয়তায় ছাত্রলীগ হলগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ

        বাংলাদেশে আসতে চলেছেণ তুর্কি সুপারস্টার অভিনেতা বুরাক ঔজচিভিত

        পিরামিড তৈরির রহস্য সমাধানের আশা গবেষকদের

        সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ঋষি সুনাকের

        সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ঋষি সুনাকের

ঢাকা ছাড়িয়ে সংক্রমণের শীর্ষে বরিশাল

ঢাকা ছাড়িয়ে সংক্রমণের শীর্ষে বরিশাল

করোনা সংক্রমণে দেশে আক্রান্ত ও মৃ্ত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে শনাক্ত ও মৃত্যুর হার বিবেচনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে চতুর্থ স্থান থেকে এক লাফে সংক্রমণের শীর্ষে চলে এসেছে বরিশাল বিভাগ। গত এক সপ্তাহে এই বিভাগে সংক্রমণের হার বেড়েছে ১১৮.৩ শতাংশ।

এদিকে গত সপ্তাহের প্রতিবেদনে শীর্ষে থাকা ঢাকা বিভাগ দ্বিতীয় স্থানে নেমে এসেছে। ঢাকায় গত এক সপ্তাহে সংক্রমণের হার বেড়েছে ৭৬.৯ শতাংশ। যা এর আগের সপ্তাহে ছিল ১১৪.৪ শতাংশ।

বাংলাদেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) নিয়মিত সাপ্তাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত ২১ থেকে ২৮ জুন এই এক সপ্তাহের নমুনা পরীক্ষা ও রোগী শনাক্তের হার বিবেচনায় এসব তথ্য জানিয়েছে তারা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে সংক্রমণের ২৫তম সপ্তাহে সব বিভাগে আগের সপ্তাহের চেয় শনাক্তের হার বেড়েছে। এর মধ্যে সর্বাধিক ১১৮.৩ শতাংশ বেড়েছে বরিশাল বিভাগে। আলোচিত সপ্তাহে বিভাগটিতে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৩৮ জনের। যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৩৮ জন। এরপরেই দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা বিভাগ। এ বিভাগে নতুন করে শনাক্তের হার বেড়েছে ৭৬.৯ শতাংশ। এই সপ্তাহে বিভাগটিতে ১৪ হাজার ৫৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা আগের সপ্তাহে ছিল আট হাজার ২১৫ জন।

সংক্রমণ বিবেচনায় সারাদেশে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ। বিভাগটিতে শনাক্তের হার বেড়েছে ৭১.৬ শতাংশ। সপ্তাহটিতে এ বিভাগে এক হাজার ৮৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৬৩৩ জন। চতুর্থ অবস্থানে আছে রংপুর বিভাগ। এই বিভাগে গত এক সপ্তাহে করোনা শনাক্তের হার বেড়েছে ৬৭.৮ শতাংশ। এ বিভাগে আগের সপ্তাহের এক হাজার ৫৯৮ জন শনাক্ত থেকে শনাক্ত বেড়ে হয়েছে দুই হাজার ৬৮২ জন।

গত এক সপ্তাহে চট্টগ্রাম বিভাগে শনাক্তের হার বেড়েছে ৪০.৭ শতাংশ। এই বিভাগে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে চার হাজার ১২৭ জনের। তার আগের সপ্তাহে শনাক্ত হয়েছিল দুই হাজার ৯৩৩ জন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে ষষ্ঠ স্থানে আছে সিলেট বিভাগ। এ বিভাগে করোনা শনাক্তের হার বেড়েছে ৩৩.৫ শতাংশ। সিলেটে গত সপ্তাহে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮১৩ জন, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৬০৯ জন।

এছাড়া সংক্রমণ বিবেচনায় সপ্তম স্থানে রয়েছে খুলনা বিভাগ। এ বিভাগে শনাক্তের হার বেড়েছে ৩১.৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ বিভাগে শনাক্ত ছিল পাঁচ হাজার ৪১৮ জন। আর এ সপ্তাহে শনাক্ত হয়েছেন সাত হাজার ১৩৫ জন। এক সপ্তাহে সর্বনিম্ন সংক্রমণ হয়েছে রাজশাহী বিভাগে। বিভাগটিতে শনাক্তের হার বেড়েছে ১২.৪ শতাংশ। এ বিভাগে গত সপ্তাহে শনাক্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ৬২২ জন। গত সপ্তাহে শনাক্ত ছিল পাঁচ হাজার দুই জন।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এর আগে গত ২৭ জুন সর্বোচ্চ ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গতকাল ৩০ জুন মারা যান ১১৫ জন।  

এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৬৪৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৩০১ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ লাখ ২১ হাজার ৫৫৯ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৪৩ জনের মধ্যে ৪৬ জনই খুলনার। এছাড়া ঢাকায় ৩৫, চট্টগ্রামে ১৫, রাজশাহীতে ১৯, বরিশালে ৮, সিলেটে ৭, রংপুরে ১০ এবং ময়মনসিংহে ৩ জন মারা গেছেন।

মারা যাওয়াদের মধ্যে ৯০ জন পুরুষ এবং ৫৩ জন নারী। এদের মধ্যে ১১ জন বাসায় মারা গেছেন। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়া ১৪ হাজার ৬৪৬ জনের মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৪১৫ জন এবং নারী ৪ হাজার ২৩১ জন।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত