আপডেট :

        মে দিবসে মঞ্চে আসবে আরণ্যকের ‘রাঢ়াঙ’

        সহজে পাকিস্তানে কেউ হামলা করতে পারবে না: মরিয়ম নওয়াজ

        অন্য বছরের চেয়ে ২০২৪ সালের বন্যা ছিল ভিন্ন: প্রধান উপদেষ্টা

        ব্যস্ত জীবনে একাকীত্ব একটি বড় মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা

        ব্যস্ত জীবনে একাকীত্ব একটি বড় মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা

        ১৭ অভিনয়শিল্পীর নামে হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়েছে

        আর্সেনালকে তাদের মাঠে হারিয়ে ফাইনালের পথে আছে পিএসজি

        রমনা বটমূলে হামলা: হাইকোর্টের রায় ৮ মে

        ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে ভারত!

        পাকিস্তানে ইমরান খানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান

        ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানানো উচিত

        ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানানো উচিত

        ডাকাত দেখে অসুস্থ ব্যবসায়ীকে পানি পান করিয়ে সুস্থ করার পর টাকা-স্বর্ণালংকার লুট

        হামলার পর পেহেলগামে ধীরে ধীরে ফিরছেন পর্যটকেরা

        মেট গালায় ভারতীয় সেলিব্রিটিদের ঝলকানি

        স্পেনে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, অনিশ্চয়তায় বার্সা-ইন্টার সেমিফাইনাল ম্যাচ

        ফোবানা সম্মেলনে দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরা হবে

        স্পেনে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, অনিশ্চয়তায় বার্সা-ইন্টার সেমিফাইনাল ম্যাচ

        কাঁচা না পাকা আম, কোনটি বেশি উপকারী

        এশিয়ার মধ্যে নবম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হলো বাংলাদেশ

বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন : ‘জিহাদি’ দমনে যুক্তরাজ্যের নতুন আইন

বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন : ‘জিহাদি’ দমনে যুক্তরাজ্যের নতুন আইন

সিরিয়ায় কথিত জিহাদে অংশ নেওয়া ব্রিটিশ নাগরিকদের ফিরে আসা ঠেকাতে এবং সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি রোধে যুক্তরাজ্য সরকার যে নতুন আইন প্রণয়ন করছে, তার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, কোনো নাগরিককে নিজ দেশে ফিরতে না দেয়ওয়াটা আন্তর্জাতিক নাগরিকত্ব আইনের লঙ্ঘন। এ ছাড়া নতুন আইনে এমন কিছু বিষয় যুক্ত করা হয়েছে, যা বিদ্যমান মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী।
চলতি মাসের শেষের দিকে পার্লামেন্টে উত্থাপনের অপেক্ষায় থাকা এই সন্ত্রাসবিরোধী বিলে (কাউন্টার টেরোরিজম বিল) বলা হয়েছে, সিরিয়া গেছেন এমন ব্রিটিশ নাগরিকদের দুই বছর পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ফিরতে দেওয়া হবে না। তাদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হবে। দেশে ফিরে গৃহবন্দী বা পুলিশি নজরদারিতে থাকবেন অথবা বেঁধে দেওয়া শর্তে রাজি হলে তাদের ফেরার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। সন্দেহভাজনেরা যাতে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ কিংবা যুক্তরাজ্যের বাইরে ভ্রমণ করতে না পারেন, সেজন্য পাসপোর্ট জব্দ করার বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এয়ারলাইনসগুলোর জন্যও রয়েছে কঠোরতা। যুক্তরাজ্যে অবতরণ করবে এমন ফ্লাইটগুলোকে উড়াল দেওয়ার আগেই যাত্রী তালিকা হস্তান্তর করতে হবে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কাছে।
গতকাল শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন নতুন বিলের বিস্তারিত তুলে ধরেন। জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি অস্ট্রেলিয়া সফর করছেন।
গার্ডিয়ান–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার জানুয়ারির মধ্যে আইনটি বাস্তবায়ন করতে চায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) জন্য একই রকম একটি আইন প্রণয়নে নেতৃত্ব দিচ্ছে যুক্তরাজ্য।
নাগরিক অধিকার সংগঠন ‘লিবার্টি’ ও ‘কুল্লিয়াম’ প্রস্তাবিত আইনকে ব্রিটেনের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে বলেছে, এ আইন বিচারের আগেই মানুষকে দোষী সাব্যস্ত করবে। পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করলে সংশ্লিষ্টরা রাষ্ট্রহীন হবেন। সে ক্ষেত্রে ব্রিটেনের সমস্যার বোঝা অন্য রাষ্ট্র কেন বইবে? সে প্রশ্নও উঠেছে। ইসলামিক হিউম্যান রাইটস কমিশন নতুন এই আইনকে মুসলিমদের ওপর আরও একটি খড়্গ হিসেবে দেখছে। মুসলিমদের ব্রিটেন থেকে বিতাড়নে এ আইন ব্যবহৃত হতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা।
টার্গেট গ্রুপের প্রতি অপব্যবহার করা হচ্ছে—এমন অভিযোগে যুক্তরাজ্যের বিদ্যমান সন্ত্রাসবিরোধী আইনকে ইতিমধ্যে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এ আইনের ৭ ধারায় পুলিশ বিমানবন্দরে যে কাউকে নয় ঘণ্টা পর্যন্ত আটক রাখতে পারে। ২০১২-১৩ সালে এ আইনের শিকার হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের ৭৮ শতাংশই ছিল অভিবাসী। মার্কিন গোপন নজরদারির তথ্য ফাঁসকারী এডওয়ার্ড স্নোডেনের তথ্য বহনকারী ডেভিড মিরান্ডাকে গত আগস্ট মাসে হিথ্রো বিমানবন্দরে আটক করলে আইনটি সবার নজরে আসে। ফ্রান্সের এক মুসলিম নারীও একই হয়রানির শিকার হন। এঁরা দুজনই ধারাটিকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেন, যা এখনো বিচারাধীন। গত বৃহস্পতিবার ইসলামিক হিউম্যান রাইটস কমিশনসহ বেশ কয়েকটি ইসলামিক সংগঠন ধারাটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আদালতে পিটিশন দিয়েছে।
সিরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস গত সেপ্টেম্বরে সাংবাদিক জেমস ফোলিকে শিরশ্ছেদ করলে যুক্তরাজ্যে সন্ত্রাসী হামলার সতর্কতা বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ক্যামেরন সন্ত্রাস দমনে নতুন আইনের প্রতিশ্রুত দিয়েছিলেন। ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের ধারণা, পাঁচ শতাধিক ব্রিটিশ নাগরিক সিরিয়া গেছেন, যাঁদের মধ্যে ২৫ জন ইতিমধ্যে নিহত হয়েছেন। এদের পাঁচজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত