ইউরোপে যুদ্ধের প্রস্তুতি: নাগরিকদের জন্য নতুন নির্দেশনা ও উদ্বেগ
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
ইউক্রেন যুদ্ধের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব এবং রাশিয়ার সম্ভাব্য আগ্রাসনের আশঙ্কায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সদস্য দেশগুলো নাগরিকদের জন্য যুদ্ধকালীন প্রস্তুতির নির্দেশনা জারি করছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে, নাগরিকদের ৭২ ঘণ্টার জন্য খাদ্য, পানি এবং জরুরি সামগ্রী মজুত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সুইডেন, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, ডেনমার্ক এবং নরওয়ে সহ একাধিক দেশ নাগরিকদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। সুইডেনের "If Crisis or War Comes" শীর্ষক পুস্তিকায় পারমাণবিক, রাসায়নিক বা জীবাণু হামলার সময় আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফিনল্যান্ডের নির্দেশিকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট, পানি সংকট এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার সময় করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।
ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল বলেছেন, "যদি আমরা শান্তি চাই, তবে আমাদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।" তিনি ইউরোপকে "যুদ্ধ অর্থনীতি" মোডে স্থানান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন এবং ইউক্রেনকে পর্যাপ্ত সহায়তা না দিলে ইউরোপ নিজেই ঝুঁকিতে পড়বে বলে সতর্ক করেছেন।
জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস ইউরোপকে ২০৩০ সালের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "আমাদের সশস্ত্র বাহিনী, শিল্প এবং সমাজকে প্রস্তুত করতে হবে।"
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও ইউরোপকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "যদি আমরা শান্তি চাই, তবে আমাদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।"
এই প্রেক্ষাপটে, ইউরোপীয় নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। তবে, অনেকেই এই প্রস্তুতিকে প্রয়োজনীয় মনে করছেন, বিশেষ করে বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে।
ইইউর এই উদ্যোগ নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সম্ভাব্য সংকট মোকাবিলায় প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে, এটি কতটা কার্যকর হবে এবং নাগরিকরা কতটা সাড়া দেবে, তা সময়ই বলে দেবে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন