এলএএক্স-এর পাশে বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রো ট্রানজিট সেন্টার স্টেশন উদ্বোধন
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
লস এঞ্জেলেস শহরের গণপরিবহন ব্যবস্থায় একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো শুক্রবার, যখন আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো বহুল প্রতীক্ষিত LAX/Metro Transit Center Station। এই স্টেশনটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কাছের রেল স্টপ যা লস এঞ্জেলেস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (LAX)-এর সন্নিকটে তৈরি হয়েছে এবং এটি যাত্রীদের জন্য একটি নতুন গাড়িমুক্ত ভ্রমণের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।
স্টেশনটি LAX-এর পূর্ব পাশে অবস্থিত এবং ভবিষ্যতে এটি চলমান নির্মাণাধীন ‘People Mover’ সিস্টেমের সাথে সরাসরি সংযুক্ত হবে, যা যাত্রীদের বিমানবন্দরের টার্মিনাল এলাকায় পৌঁছে দেবে। People Mover প্রকল্পটি চলতি বছরের শেষ নাগাদ চালু হওয়ার কথা। বর্তমানে, যাত্রীরা এই নতুন ট্রানজিট সেন্টার থেকে প্রতি ১০ মিনিট অন্তর চলা বিনামূল্যের শাটল বাসের মাধ্যমে বিমানবন্দরের টার্মিনালগুলোতে পৌঁছাতে পারবেন।
মেট্রোর সিইও স্টেফানি উইগিনস বলেন, “আপনি আর কাউকে ফোন করে বলতে হবে না, ‘আমাকে কি LAX নিয়ে যেতে পারবে?’ এখন আপনার কাছে রয়েছে একটি উন্নত বিকল্প।” এই প্রকল্পটির পেছনে ৯০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে, যার মাধ্যমে ক্রীড়া ও বিনোদন কেন্দ্র — যেমন SoFi Stadium, Intuit Dome — এবং সমুদ্রতটীয় পর্যটন এলাকাগুলোর সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ স্থাপন করা যাবে।
মেট্রো বোর্ডের চেয়ার এবং লস এঞ্জেলেস কাউন্টি সুপারভাইজার জেনিস হান বলেন, “অবশেষে, আমরা একটি ট্রেন পাচ্ছি LAX পর্যন্ত। যখন People Mover চালু হবে, তখন আমরা সত্যিকার অর্থে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর সংযোগ ব্যবস্থা পাবো।”
নতুন স্টেশনটি শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত হয়। স্টেশনের উদ্বোধন উপলক্ষে মেট্রো কর্তৃপক্ষ শুক্র, শনি ও রবিবার—তিন দিনব্যাপী মেট্রোর সব রেল ও বাস সার্ভিসে বিনামূল্যে যাতায়াতের সুযোগ দিচ্ছে।
নতুন LAX স্টেশনটি মেট্রোর K ও C লাইনের সংযোগস্থল, যেখানে থাকবে মাল্টিলেভেল বাইসাইকেল পার্কিং হাব, যাত্রী পিক-আপ ও ড্রপ-অফ জোন, পাদচারীদের জন্য আলাদা প্লাজা, এবং ১৬-বে বিশিষ্ট বাস প্লাজা। এই স্টেশনের মাধ্যমে এখন থেকে রেডন্ডো বিচ থেকে শুরু করে E (এক্সপো) লাইন পর্যন্ত যাত্রা নিরবচ্ছিন্নভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রেল সংযোগটি লস এঞ্জেলেস শহরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক অগ্রগতি, বিশেষ করে যখন শহরটি ২০২৬ সালের FIFA World Cup এবং ২০২৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমসের মতো বৈশ্বিক আয়োজনে স্বাগতিক ভূমিকা পালন করতে যাচ্ছে।
মেট্রোর সিইও উইগিনস বলেন, “আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীরা যারা পরিচ্ছন্ন, দ্রুত এবং আধুনিক সংযোগ প্রত্যাশা করেন, তারা এখন এই স্টেশনের মাধ্যমে সেটা পেতে যাচ্ছেন। এটি আমাদের শহরের বৈশ্বিক প্রত্যাশা পূরণে এক বড় পদক্ষেপ।”
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন