পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় আকস্মিক বন্যায় ৫ জনের মৃত্যু, নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে
লস এঞ্জেলেসে সহিংস বিক্ষোভ: আন্দোলনকারী নাকি পরিচিত দাঙ্গাবাজেরা দায়ী?
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
ICE-এর (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) বিরুদ্ধে টানা পাঁচদিন ধরে চলা বিক্ষোভ লস এঞ্জেলেসের ডাউনটাউনে রূপ নিচ্ছে সহিংসতার। শহরের একাংশে এখন জরুরি অবস্থা ও রাত্রীকালীন কারফিউ জারি হয়েছে। এর মাঝেই প্রশ্ন উঠেছে—সহিংসতা, লুটপাট ও ভাঙচুরের পেছনে কারা? প্রকৃত আন্দোলনকারীরা, নাকি পেশাদার অরাজকতাবাদীরা?
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে লস এঞ্জেলেসের মেয়র ক্যারেন ব্যাস ঘোষণা দেন, শহরের ১১০, ১০ এবং ৫ ফ্রিওয়ের মাঝখানে অবস্থিত স্কিড রো, চাইনাটাউন, লিটল টোকিও ও ফ্যাশন ডিস্ট্রিক্ট এলাকায় কারফিউ কার্যকর হয়েছে। প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে এবং এটি কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে।
মেয়র ব্যাস বলেন, “গত রাতে ২৩টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লুটপাট হয়েছে। শহরের সর্বত্র গ্রাফিতি ছড়িয়ে পড়েছে, যা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বহু সম্পত্তি।”
তিনি আরও হুঁশিয়ারি দেন, কারফিউ চলাকালে অনুমতি ছাড়া যে কেউ এলাকায় অবস্থান করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
সোমবার ব্যাস বলেন, “যারা অভিবাসী অধিকারের কথা বলে সহিংসতা করছে, তারা আসলে অভিবাসীদের সহায়তা করছে না। শহরের সম্পদ ধ্বংস করে তুমি কোনো ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠা করতে পারো না।”
লস এঞ্জেলেস পুলিশ প্রধান জিম ম্যাকডনেল জানান, পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশকে প্রাণঘাতী হামলার মুখে পড়তে হয়েছে। এক পুলিশ সদস্যকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়েছে মলোটভ ককটেল, দুই মোটরসাইকেল আরোহী পুলিশ স্কার্মিশ লাইন ভেঙে ঢুকে পড়েছে, আবার কোথাও আতশবাজি ও পাথর ছোঁড়া হয়েছে পুলিশদের দিকে।
তিনি বলেন, “এসব ঘটনা যে কাউকে মেরে ফেলতে পারে।”
৯ জুন রাতে লস এঞ্জেলেসের উত্তরাংশে পাঁচটি Waymo স্বচালিত ট্যাক্সিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং সেগুলোতে স্প্রে করে গ্রাফিতি লেখা হয়। এতে বিষাক্ত ধোঁয়া ও আগুনে এলাকা জর্জরিত হয়ে পড়ে।
প্রধান ম্যাকডনেল বলেন, “এই সহিংসতার পেছনে যারা রয়েছে, তারা সব সময় মুখ ঢেকে রাখে, সন্ত্রাস ছড়িয়ে এক শহর থেকে আরেক শহরে চলে যায়। অনেকেই বাইরে থেকে আসে শুধুই বিশৃঙ্খলা ছড়াতে।”
মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত প্রায় ২০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাত ৯টার কিছু আগে LAPD-এর সেন্ট্রাল ডিভিশন জানায়, কারফিউ লঙ্ঘনের কারণে গণগ্রেফতার শুরু হয়েছে।
শহরজুড়ে চলছে একটাই আলোচনা—এই সহিংসতার জন্য দায়ী আসলে কারা? আদর্শবাদী আন্দোলনকারীরা, নাকি বহিরাগত বিশৃঙ্খল চক্র যারা বিক্ষোভের সুযোগে নিজেদের নাশকতা চালাচ্ছে?
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন