পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় আকস্মিক বন্যায় ৫ জনের মৃত্যু, নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে
ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী বহিষ্কার অভিযান আরও জোরদার
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশজুড়ে অভিবাসীদের আটক ও বহিষ্কারের নির্দেশ আরও সম্প্রসারণ করেছেন। এই নির্দেশ আসে এমন এক সময়ে, যখন তার নীতির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে।
Truth Social-এ এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “আমার প্রশাসনের প্রতিটি সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছি তারা যেন আমেরিকার ইতিহাসের ‘সবচেয়ে বড় অভিবাসী বহিষ্কার অভিযান’ পরিচালনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে।” তিনি লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগো ও নিউ ইয়র্ককে এই অভিযানের প্রাথমিক লক্ষ্যবস্তু হিসেবে উল্লেখ করেন।
৬ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের প্রতিবাদে বড় ধরনের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এসব বিক্ষোভে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, “আমি পুরো প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি যেন তারা এই কার্যক্রমে সর্বোচ্চ সম্পদ নিয়োজিত করে।” তিনি আরও জানান, “যে কেউ যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করবে, তাকে দেশের বাইরে রাখা হবে।”
ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (DEA) এবং ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE) সহ ফেডারেল সংস্থাগুলোর উদ্দেশে তিনি লেখেন, “আপনাদের প্রতি আমার অটল সমর্থন রয়েছে। এখন এগিয়ে যান, কাজ শেষ করুন!”
এই ঘোষণা আসে একদিন পর, যখন “নো কিংস” আন্দোলনের পক্ষ থেকে লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে নিউ ইয়র্ক পর্যন্ত বহু শহরে ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভ হয়। ১৪ জুন এই বিক্ষোভগুলো হয়, যা ট্রাম্পের ৭৯তম জন্মদিনে ও মার্কিন সেনাবাহিনীর ২৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি সামরিক প্যারেডের দিনেই অনুষ্ঠিত হয়।
ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের সল্ট লেক সিটিতে “নো কিংস” মার্চ চলাকালে গুলিতে একজন নিহত হয়।
ট্রাম্প আরও নির্দেশ দেন যে, অভিবাসন কর্তৃপক্ষ যেন “সাংচুয়ারি শহর”গুলোর উপর বিশেষ নজর দেয়। এসব শহর ফেডারেল অভিবাসন সংস্থাগুলোকে সহায়তা না দিয়ে অবৈধ অভিবাসীদের সুরক্ষা দিয়ে থাকে। এই বিষয়টি ফেডারেল ও স্থানীয় সরকারের মধ্যে উত্তেজনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এমন সময়ে এই কঠোর নির্দেশ আসে, যখন একদিন আগেই ট্রাম্প প্রশাসন হোটেল, রেস্টুরেন্ট, খামার ও মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাগুলোতে অভিযান সাময়িক স্থগিত করার জন্য ইমিগ্রেশন অফিসারদের নির্দেশ দেয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত তার ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারের একটি প্রতিশ্রুতি পূরণে গুরুত্ব বহন করে, যেখানে তিনি “যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অপরাধী বহিষ্কার অভিযান” পরিচালনার কথা বলেছিলেন। তবে, এই কর্মসূচি যতই বিস্তৃত হচ্ছে, ততই দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদও তীব্র হচ্ছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন