আপডেট :

        দীর্ঘ অভিজ্ঞতার পরও এড়ানো গেল না বিমান দু র্ঘ ট না

        স্বাস্থ্যসেবার কেন্দ্রেই অবহেলা স্বাস্থ্যবিধি

        পাকিস্তানের শোকবার্তা: ভারতীয় বিমান দু র্ঘ ট না

        পাচার হওয়া অর্থের তথ্য সংগ্রহে বড় চ্যালেঞ্জ: মন্তব্য

        এ টি এম আজহারুল: ‘জনসমর্থন থাকলে পালানোর প্রশ্নই ওঠে না’

        নির্বাচনী কাঠামো পরিবর্তন ছাড়া নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন অসম্ভব

        তারেক রহমান জানালেন ভারত বিমান দু র্ঘ ট না র জন্য শোক

        একতরফা নির্বাচন নিয়ে সরব জিএম কাদের

        আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারি হেলথ কেমন?

        জোভানের ‘আশিকি’ দখল করল ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষ স্থান

        ‘কোন একদিন’ দিয়ে ফিরলেন আফজাল-মৌ জুটি

        আমিরের সঙ্গে পর্দায় ফিরছেন জেনেলিয়া

        অবশেষে অনুদানের অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য শাকিব খান

        সমু চৌধুরী উদ্ধার: পুলিশ জানালো ঘটনার বিবরণ

        হামজারা এখনও এশিয়ান কাপের দৌড়ে টিকে আছে

        শান্তর মন্তব্য: টেস্ট ফাইনাল নয়, এখন মনোযোগ প্রক্রিয়ায়

        ফিফা র‍্যাংকিংয়ে উন্নতির ঝলক বাংলাদেশের নারী ফুটবলে

        শান্তর সরে দাঁড়ানো: ব্যাটিং ফোকাসেই সিদ্ধান্ত

        লেভানদোভস্কি-কোচ বিরোধ: পোল্যান্ড কোচ সরে দাঁড়ালেন

        ব্লেন্ডার ছাড়াই টিকিয়া বানানোর মজার রেসিপি

১ হাজার বনাম ১ হাজার যুদ্ধবন্দী বিনিময়ে সম্মত

১ হাজার বনাম ১ হাজার যুদ্ধবন্দী বিনিময়ে সম্মত


রাশিয়া ও ইউক্রেন ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ১ হাজার বনাম ১ হাজার যুদ্ধবন্দী বিনিময়ে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ। শুক্রবার (১৬ মে) তুরস্কে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, আমরা বিনিময়ের তারিখ জানি, তবে এখনই তা প্রকাশ করব না।


এদিকে অল্প সময়ের মধ্যেই রাশিয়ার প্রতিনিধিদলের প্রধান ভ্লাদিমির মেদিনস্কিও রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এই বন্দিবিনিময়ের খবরটি নিশ্চিত করেছেন।


রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে এ ধরনের বন্দিবিনিময় বিরল যোগাযোগ ও সহযোগিতার নিদর্শন। সর্বশেষ বন্দিবিনিময় হয়েছে ৬ মে। সে সময় ২০৫ জন বন্দীর বিনিময়ে ২০৫ জন বন্দীকে মুক্ত করে দেয় দুই দেশ।

এর আগে ২০২৪ সালে ইউক্রেন সব বন্দিবিনিময়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে রাশিয়া এখনো সেই প্রস্তাবে সম্মতি দেয়নি। ইউক্রেন জানিয়েছে, রাশিয়ার হাতে কতজন ইউক্রেনীয় বন্দী রয়েছে, সে তথ্য তারা প্রকাশ করে না।


সপ্তাহের শুরুতে মস্কো শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তা গ্রহণ করেন এবং পুতিনকে সরাসরি বৈঠকের আহ্বান জানান। তবে পুতিন নিজে না গিয়ে তাঁর উপদেষ্টা মেদিনস্কিকে পাঠান। রুশ প্রতিনিধিদলে কিছু উপমন্ত্রী ও নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা থাকলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভসহ শীর্ষস্থানীয় কেউ ছিলেন না।

এই অবস্থায় জেলেনস্কি বলেছেন, মস্কো একটি লোকদেখানো প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে। পশ্চিমা কূটনীতিকেরাও মনে করছেন, পুতিন প্রকৃতপক্ষে শান্তি আলোচনায় আন্তরিক নন।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে অংশ নেন প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের প্রধান আন্দ্রি ইয়েরমাক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী উমেরভ। তারা একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গেও বৈঠক করেন।

ইউক্রেন ও তার মিত্ররা ১২ মে থেকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিলেও রাশিয়া সেটিকে উপেক্ষা করেছে। ইউক্রেন চায় এই যুদ্ধবিরতি থেকেই শান্তি আলোচনার পথ খুলুক। রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই আলোচনাকে ২০২২ সালের আলোচনার ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখা উচিত এবং যুদ্ধের ‘মূল কারণগুলো’ আলোচনায় আনা জরুরি।

এই বৈঠকের বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে আশাবাদী প্রতিক্রিয়া দিলেও পরে মন্তব্য করেন, যতক্ষণ না পুতিনের সঙ্গে তার দেখা হচ্ছে, ততক্ষণ এই আলোচনা থেকে বড় অগ্রগতি আশা করা যায় না। এই বৈঠকে শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প, পুতিন ও জেলেনস্কির কেউই অংশ নেননি।

 

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত