লস এঞ্জেলেসে টিকা গ্রহীতাদের মধ্যেও বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে এবার টিকার পূর্ণ ডোজ গ্রহণকারীদের শরীরেও করোনা শনাক্ত হচ্ছে। একই সাথে সামগ্রিক সংক্রমণ আরো বাড়ছে।
লস এঞ্জেলস কাউন্টিতে বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) নতুন করে ২ হাজার ৭০০ ব্যক্তির শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
জুন মাসে রিপোর্টকৃত মোট করোনা রোগীর মধ্যে ২০ শতাংশ ব্যক্তিই টিকার পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করেছেন। মে মাসে এই হার ছিল ১১ শতাংশ ও এপ্রিল মাসে এই হার ছিল ৫ শতাংশ।
লস এঞ্জেলেস কাউন্টি হেলথ ডিপার্টমেন্টের প্রধান বারবারা ফেরার বলেন, সম্প্রতি টিকা গ্রহীতাদের মধ্যেও করোনা শনাক্ত হওয়ায় এবার সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে।
তিনি জানান, টিকার পূর্ণ ডোজ গ্রহণকারী ব্যক্তিরা করোনা আক্রান্ত হলেও তাদের গুরুতর কোন সমস্যা দেখা দেয় না।
ফেরের বলেন, ‘টিকার পূর্ণ ডোজ গ্রহণকারীদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হওয়া ঘটনা ঘটলেও তাদের মধ্যে খুব কম ব্যক্তিরই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো অবস্থা হয়। করোনার কারণে টিকা নেওয়া কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হওয়া খুবই বিরল একটি ঘটনা।টিকার নেওয়া থাকলে গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যু থেকে সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও টিকাগুলো কার্যকর'।
তিনি আরো জানান, টিকা নেয়ার পর কেউ করোনা আক্রান্ত হওয়ার মানে এই না যে টিকা অকার্যকর। এই ইস্যু ব্যবহার করে টিকার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো যাবে না।
তিনি বলেন, ‘গাড়ির সিটবেল্ট দুর্ঘটনা থেকে আপনাকে সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনবে না। তারা আপনাকে চমৎকার সুরক্ষা দিতে পারে। এই কারণেই আমরা প্রতিনিয়ত সিটবেল্ট ব্যবহার করি। এখন সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষা দিতে পারবে না বলে আমরা যদি সিটবেল্ট ব্যবহার না করি, তাহলে সেটা বোকামি। ঠিক একইভাবে, শতকরা ১০০ ভাগ সুরক্ষা দিবে না বলে টিকা অগ্রাহ্য করাও বোকামি।‘
তিনি আরো জানান, টিকা ব্যবহার ও প্রচারের মূল উদ্দেশ্যেই ছিলো মানুষকে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ও মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করা। এখন দেশে পুনরায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির হার অত্যাধিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে টিকা নেওয়া ব্যক্তিরাও করোনা আক্রান্ত হতে পারে। বরং টিকা নেওয়া না থাকলে সংক্রমণের হার আরো বেশি থাকতো।
কাউন্টিতে জানুয়ারি ১৯ থেকে মঙ্গলবার ২০ জুলাই পর্যন্ত সর্বমোট ৪৮ লাখ ৫ হাজার ব্যক্তি সম্পূর্ণভাবে টিকা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ৬ হাজার ৫২০ জন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছে। সম্পূর্ণভাবে ভ্যাক্সিনেটেড ব্যক্তিদের মধ্যে সংক্রমণের হার ০.১৩ শতাংশ। বিগত সপ্তাহে সংক্রমণের হার ছিলো ০.০৯ শতাংশ।
এদের মধ্যে ২৮৭ জন্য ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিলো। এতে হাসপাতালে ভর্তির হার দাঁড়ায় ০.০০৫৯ শতাংশ যা গত সপ্তাহে ছিলো ০.০০৪৫ শতাংশ। এছাড়া, মৃত্যু ঘটেছে ৩০ জন ব্যক্তির। এতে মৃত্যুর হার দাঁড়ায় ০.০০০৬ শতাংশ।
বৃহস্পতিবারে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কাউন্টিতে বসবাসরত ১ কোটি ৩ লাখ ব্যক্তির মধ্যে ৫ কোটি ৩ লাখ ব্যক্তি সম্পূর্ণভাবে ভ্যাক্সিনেটেড। মোট জনসংখ্যার ১২ লাখ মানুষ বারো বছরের নিচে হওয়ায় তাদেরকে ভ্যাক্সিনের জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচিত করা হয় না।
এলএবাংলাটাইমস/এমডব্লিউ/ওএম
শেয়ার করুন