আপডেট :

        পৌরসভা "খ" শ্রেণি থেকে "ক" শ্রেণিতেও উন্নীত হলো কিন্তু আলোর মুখ দেখছে না

        সর্বমোট ৫ হাজার ৪৫৬ জন সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছে

        ৪৮ ঘণ্টার জন্য হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ

        ৪৮ ঘণ্টার জন্য হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ

        ২-৩ বছরের মধ্যে মহাকাশে যাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট

        ব্যাংক নির্বাহীদের সন্দেহজনক লেনদেন ও বিলিয়ন ডলার ঋণ খেলাপির জন্য তারল্য সংকটে ভুগছে বাংলাদেশ

        নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের মধ্যে অস্বস্তি ছিল

        জিসিসি গ্রান্ড ট্যুর’ নামে নতুন ভিসা চালু করতে যাচ্ছে উপসাগরীয় ছয় দেশ

        বায়ু দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করা তরুণ কর্মীদের ক্ষমতায়ন পর্যন্ত বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র

        দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র নেই

        মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে ফাঁসির আসামিদের কনডেম সেলে না রাখার সিদ্ধান্ত

        নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে প্রার্থী হওয়া ৪৫ জনকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে বিএনপি

        নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে প্রার্থী হওয়া ৪৫ জনকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে বিএনপি

        ঢাকাসহ রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় আজ বৃষ্টি হতে পারে

        নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে প্রার্থিতা বাতিল

        গাড়ির জন্য মায়ের সঙ্গে অপেক্ষা করছিল ৪ বছর বয়সী শিশু, অতঃপর লরির ধাক্কায় মৃত্যু

        আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে

        আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে

        পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন

        দখলদার ইসরায়েলকে ১০০ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র সরবরাহ করতে চায় হোয়াইট হাউস

প্রধানমন্ত্রীর প্রতি প্রবাসী ব্যবসায়ী মোঃ বেলায়েত হোসেনের আবেদন

প্রধানমন্ত্রীর প্রতি প্রবাসী ব্যবসায়ী মোঃ বেলায়েত হোসেনের আবেদন

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের মাধ্যমে, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের প্রতি প্রবাসী বাংলাদেশীদের আবাসন প্রকল্পে বিনিয়োগ বৃদ্ধির অন্তরায় প্রসঙ্গে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী;
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও আপনার প্রচারিত ভাষণে আমরা অবগত হয়েছি; বর্তমানে বাংলাদেশ নিন্ম আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হয়েছে। আপনার দূরদর্শী ও সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ আরো এগিয়ে যাবে, অর্থনীতিতে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ হবে। বিশ্ব অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে, “নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশ উন্নত দেশে রূপান্তরীত হবে আপনার ঘোষিত ভিশন টুয়েন্টি টুয়েন্টি বাস্তবায়িত হলে”। বর্তমানে বিশ্ব ব্যাংকের পরিসংখ্যান মোতাবেক বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এক হাজার তিনশত ডলার অতিক্রম করেছে। যাহা উন্নত বিশ্বের সমকক্ষ প্রায়। তাই উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আমাদের দেশের সন্মানজনক অবস্থান তৈরী হয়েছে। অতি সাম্প্রতিক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক হুসেন ওবামা তার পিতৃভূমি কেনিয়া পরিদর্শণকালে বাংলাদেশের ভূয়োশী প্রসংশা করেন এবং তিনি বাংলাদেশকে সম্ভাবনাময়ী  ও উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। বর্তমানে দেশে সামাজিক অবকাঠামোসহ আইনশৃঙ্খলার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। নতুন প্রজন্মের মধ্যে আত্ম নির্ভরশীলতা ও সমাজ সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানী-রপ্তানী বৃদ্ধিতে মানুষের জীবন যাত্রার মান বেড়েছে। দক্ষ জনশক্তির কারণে বিশ্ব শ্রম বাজারে আমাদের শ্রমের কদর বেড়েছে। আমরা বাংলাদেশী হিসেবে সন্মানিত হয়েছি। দেশের প্রতি আমাদের দেশপ্রেম ও অনুরাগ বেড়েছে।



মাননীয় প্রধানমন্ত্রী;
শ্রম উন্নয়ন ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, কুয়েতসহ ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা তথা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রায় ৭০-৮০ লক্ষ অধিক প্রবাসী বাংলাদেশী আমরা আপনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় শামিল হতে পেরে এবং আমাদের শ্রম-আয় জাতীয় আয়ের বিন্দুমাত্র সহায়ক হয়েছে বলে আমরা প্রবাসী বাংলাদেশী হিসাবে গর্ববোধ করছি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী;
আমরা প্রবাসী, আমরা পরবাসী, আমাদেরকে বিভিন্ন নামে অবিহিত করা হয় কিন্তু আমরা মনে প্রাণে বাংলাদেশী। আমাদের শেকড়  বাংলার অস্তিত্বে অমুল প্রোথিত, আমাদের স্বপ্ন দেশ মাতৃকায় উন্নয়নে গ্রোথিত। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে কেউ পাড়ি দিচ্ছে অনিশ্চিত ভিনদেশ, কেউ কেউ মৃত্যুভয়কেও তুচ্ছ ভেবে প্রতিকূল অজানায় পাড়ি দিচ্ছে, তাতে কেউ কেউ জীবনের এ চরম ঝুঁকি নিয়ে অনিশ্চিত সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে সলিল সমাধিস্থ হয়েছেন, অনেকেরই নিথর দেহখানীও আপন স্বজন পরিজন’রা কোনদিন খুঁজে পায়নি। অথচ তাঁর দু’চোখে অঙ্কিত ছিল পরিবার সমাজ তথা দেশ উন্নয়নের স্বপ্ন। মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীরা বিভিন্ন ভাবে তাদের কষ্টার্জিত আয় দেশে পাঠিয়ে বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রেখেছে প্রতিনিয়ত। এভাবে বিভিন্ন দেশের প্রবাসী বাংলাদেশীরা তাদের শ্রম ও ঘামের বিনিময়ে অর্জিত সর্বশেষ সঞ্চয়টুকু দেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করেছে রেমিটেন্স বাড়াচ্ছে। বিশ^ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশীরা ১৫৩০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশী (রেকর্ড সংখ্যক) রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন, যা এযাবৎকালের মধ্যে সর্বাধিক বলে বিবেচিত হয়েছে। যার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ২৩৮ কোটি মার্কিন ডলার, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান মোতাবেক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী আয় প্রতিবছর বেড়েই চলেছে যাহা ২০১১-১২ অর্থবছরে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১৮৬ কোটি মার্কিন ডলার, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২৩২ কোটি মার্কিন ডলার বর্তমানে অর্থ্যাৎ ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২৩৮ মার্কিন ডলার আয় হয়েছে এবং বর্তমানে সাকুল্যে প্রবাসী-শ্রম আয় হয়েছে ১১০১ কোটি মার্কিন ডলার যাহা মোট প্রবাসী আয়ের ৭২ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ জনাব বিরূপাক্ষ পাল ; মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, আরব-আমিরাত, মালয়েশিয়া, কুয়েত ও যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমান সম্পন্ন প্রবাসী আয় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির আর্শীবাদ বলেছেন। উনি আরো বলেছেন, প্রবাসীদের জন্য ভাল প্রণোদনা, অর্থ প্রেরণের প্রক্রিয়া সহজ ও সাশ্রয়ী করা হলে প্রবাসী আয় আরো বেড়ে যাবে। বেসরকারী গবেষণা সংস্থা (পি আর আই) এর নির্বাহী পরিচালক জনাব আহসান এইচ মনসুর বলেছেন; বাংলাদেশকে পরিপূর্ণভাবে বসবাসের উপযোগী হিসাবে গড়ে তুলতে পারলে যুক্তরাষ্ট্রই হবে প্রবাসী আয়ের প্রধান উৎস। তিনি প্রচলিত শ্রমবাজারের বাইরে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের বড় উৎস হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী আয়কে আখ্যায়িত করেছেন। আমরা প্রবাসীরা শ্রম ও ঘামের কষ্টার্জিত আয়ের একটা অংশ দেশে (জমি, এ্যপার্টমেন্ট ও দোকান) আবাসন খাতে বিনিয়োগ করছি, আর অন্য অংশ পরিবার স্বজন-পরিজনের চাহিদা পূর্ণ করতে স্বদেশে পাঠিয়ে উৎপাদন ও যোগানের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধিতে অবদান যোগ হচ্ছে। সবকিছুর বিনিময়ে আমাদের মণনে, সর্বান্তকরণে পরিবার-পরিজন তথা সমাজ  ও স্বদেশ উন্নয়নের চিন্তা, তারই সাথে পরবর্তী প্রজন্মকে আপন ঠিকানায়, আপন সংস্কৃতির ধারক বাহক হিসাবে পরিচিতি প্রদান করা। যাতে আমাদের প্রজন্মকূল দেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠে এবং বাংলাদেশী নাগরীক হিসাবে স্বদেশী সংস্কৃতি মনে-প্রাণে পোষণ করেন।

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী;
আমি মোঃ বেলায়েত হোসেন ১৯৯০ সনে ভাগ্য অন্বেষনে সুদূর আমেরিকা পাড়ি দেই। প্রবাস জীবনে আমেরিকায় অভিবাসী হিসাবে বসবাসকালীন স্বদেশে আমার স্বজন-পরিজন ও নিজের প্রজন্ম ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্বদেশে আবাসন খাতে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিই। সেই মোতাবেক ২০০১ সনে দেশে গিয়ে বসুন্ধরা হাউজিং এর বসুন্ধরা বারিধারা আবাসিক প্রকল্প পরিদর্শণ করি এবং বসুন্ধরা হাউজিং এর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কে আমি ও আমার মত অনেক প্রবাসীদের মনবাসনা আবাসন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করি। এতে তারা আন্তরিকভাবে উৎসাহ প্রদান করেন। আমি বসুন্ধরা আবাসিক প্রকল্পে দু’টি প্লট ক্রয় করি এবং আমার পরিচিত আত্মীয়-স্বজন ও  বন্ধু-বান্ধবদেরকে উক্ত প্রকল্পে বিনিয়োগের পরামর্শ দিই। অনেকে আমার সাথে একমত পোষণ করে বিনিয়োগ করেন। ২০০৩ সনে আমাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত বসুন্ধরা গ্রুপের প্রবাসী প্রতিনিধি নিয়োগ করেন এতে আমার পরিচিতির পরিসর বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং আমিও অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করতে থাকি। ২০০৪ সনে বাংলাদেশ সরকারের পৃষ্টপোষকতায় আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব প্রথমবারের মত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে ফ্ল্যাট, প্লট ও দোকান বিক্রয়ের নিমিত্তে আবাসন মেলার আয়োজন করেন। তৎকালীন রিহ্যাব এর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে আমার একান্ত প্রচেষ্টায় বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী “আবাসন মেলা-২০০৪” অংশগ্রহণ করেন এবং প্রবাসীরা আবাসন খাতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিনিয়োগ শুরু করেন। সে থেকে অদ্যাবধি প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে রিহ্যাব বাংলাদেশ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় রিহ্যাব আবাসন মেলার আয়োজন করে থাকে এবং প্রবাসীরা স্বদেশে মাথা গোঁজার ঠাঁই ও নিজস্ব ঠিকানার সন্ধানে স্বদেশে বিনিয়োগ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী আবাসন প্রকল্পে বিনিয়োগ করে তাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের ঠিকানা নিশ্চিত করেছেন। অনেকে আবার অনেক প্রকল্পে তাদের অতীব কষ্টের শেষ সম্বলটুকু জমা দিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় দিনাতিপাত করছেন। ২০১১ সনে নিউ ইয়র্ক এর “আবাসন মেলা” চলাকালীন বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আব্দুল মান্নান খান এর আশ্বাসে প্রবাসী বাংলাদেশীরা আবাসন খাতে বিদ্যুৎসাহী হয়ে আবাসন খাতে বিনিয়োগ করেছেন। তৎকালীন রিহ্যাব এর প্রেসিডেন্ট , জনাব নসরুল হামিদ বিপু যিনি বর্তমানে খনিজ ও জ্বালানী মন্ত্রাণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। তিনি মেলা চলাকালীন প্রবাসী বাংলাদেশীদের আবাসন খাতে বিনিয়োগে যথেষ্ট উৎসাহ, উদ্দীপনা যুগিয়েছেন এবং তিনি আমেরিকা ক্রেতা সমিতির মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদার, শেখ মোশারেফ হোসেন ও মোঃ বজলুর রহমান সমন্বিত আবেদনে প্রবাসীদের আবাসন খাতে বিনিয়োগে অনেকের সমস্যা সমাধান করেছেন এবং সমাধানে সহযোগীতা করেছেন। এতে প্রবাসীরা আবাসন খাতে বিনিয়োগে উৎসাহিত হয়েছেন ও অপরকে উৎসাহ যুগিয়েছেন। এখন প্রতি বছর রিহ্যাব কতৃক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশী আবাসন মেলার আয়োজন করে থাকে। তার ই সাথে সাথে আমেরিকা প্রবাসীদের স্বদেশে বিনিয়োগের পরিমান ও বেড়ে গিয়েছে তারই সাথে সাথে দেশে বর্তমান প্রবৃদ্ধির হার প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে। বর্তমানে প্রায় সাত হাজার গ্রাহক আমার মাধ্যমে দেশে বিনিয়োগ করছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী;

আপনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরো উত্তরোত্তর সম্মৃদ্ধ হবে, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ মাথা তুলে দাঁড়াবে। তেমনি প্রবাসীরা আবাসন প্রকল্পে বিভিন্ন কোম্পানী যেমন বসুন্ধরা হাউজিং, আমিন মোহাম্মদ, প্রিয় প্রাঙ্গণ, স্বদেশ প্রপার্টিজ, বিশ্বাস বিল্ডার্স, এজি প্রপার্টিজ, রিজেন্ট টাউন, বসুধা বিল্ডার্স, মেঘা বিল্ডার্স, র‌্যাংগস্, রূপায়ন, সামছুল আলামিন, সেনা কল্যাণ, সাগুফতা, শতাব্দি হাউজিং, হাইপেরিয়ান বিল্ডার্স, পূর্বাচল আমেরিকান সিটি, বেষ্টওয়ে, বিটি আই, সানমার, ইকুইটি সহ বিভিন্ন কোম্পানীতে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রবাসীরাও লাভবান হয়েছে। আপনার সরকারের আবাসন নীতি ঢেলে প্রবাসী বান্ধব করা হলে হয়তো প্রবাসীরা আরো দ্বিগুন উৎসাহে স্বদেশে বিনিয়োগ করবে বলে আমার একান্ত আশাবাদ কিন্তু আবাসন খাতে বর্তমানে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির অপ্রতুলতার কারণে আবাসন কোম্পানীগুলো যেমন নির্ধারীত সময়ে তাদের তৈরীকৃত ফ্ল্যাট ভোক্তাদের নিকট হস্তান্তর করতে পারছেনা তেমনি ব্যাংক ঋণের প্রতুলতার কারণে স্বল্প আয়ের লোকজন আবাসন খাতে বিনিয়োগের সাহস পাচ্ছেনা। বাংলাদেশ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় রিহ্যাব এর উৎসাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আবাসন মেলা চলাকালীন সময়ে প্রবাসীরা  আবাসন খাতের ভূমি প্রকল্পে যেমন প্লটে সর্বাধিক বিনিয়োগ করেছেন এবং প্রবাসীরা তাদের কষ্টার্জিত আয় হতে ফ্ল্যাট বা প্লটের সকল কিস্তি পরিশোধ করা হলেও তাদের প্রাপ্য প্লট বা ফ্ল্যাট বুঝে পাচ্ছেনা এজন্য আবাসন কোম্পানীগুলো তাদের ঘোষিত সময়ের মধ্যে সরকারের ভূমি বা আবাসন আইনের আওতায় ড্যাপ (ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান) প্রকল্প সম্প্রসারণ করায় আমাদের অনেক প্রবাসীদের ক্রয়কৃত প্লট কোম্পানী বুঝিয়ে দিতে পারছেনা। আবাসন কোম্পানীগুলো ড্যাপ এর অযুহাতে কালক্ষেপন করছে, আমরা আমাদের কষ্টার্জিত সর্বশেষ শ্রমআয় বিনিয়োগ করে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনাতিপাত করছি। আমাদের আবেদন ভাগ্যহত এসকল প্রবাসীদের কথা বিবেচনা করে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরী করে প্রবাসীদের ক্রয়কৃত প্লট, ফ্ল্যাট ও দোকান সঠিক সময়ে হস্তান্তর করা হোক।  আমরা আপনার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো। অন্যথায় সকল প্রবাসী স্বদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। শুধু তাই নয় আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকূল দেশে বিনিয়োগে অনাগ্রহী হয়ে পড়বে।
আপনার নিকট প্রবাসীদের প্রাণের দাবী; দ্বৈত নাগরীকত্ব প্রদান যাতে প্রবাসীরা নির্বিঘ্নে ওয়ারিশান মালিকানা ভোগ-দখল করতে পারে, প্রণাদনা স্বরূপ বন্ড ইস্যু করা, অর্থ প্রেরণ ও আনয়ন সহজীকরণ, প্রবাসীদের মৌলিক সমস্যা সমাধানকল্পে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ, সর্বপূরী প্রবাসী বান্ধব আইন প্রণয়ন করা যাতে প্রবাসীরা আরো দ্বিগুন উৎসাহে স্বদেশে বিনিয়োগ করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাক্তিদের তালিকা তৈরী করে তাহা আশু সমাধানের ব্যবস্থাকরণ, আপনার দূরদর্শী দৃষ্টিতে যেভাবে ভাগ্যহত প্রবাসীদের কষ্টার্জিত ও সঞ্চিত আয় দেশে সঠিকভাবে বিনিয়োগে উৎসাহ পায়, দেশ যেন রেমিটেন্স না হারায় সেদিকে দৃষ্টি রাখা আবশ্যক, তবেই দেশ হবে স্বনির্ভর, আমাদের শ্রম হবে স্বার্থক, আমরা বাংলাদেশী হিসাবে হব গর্বিত, স্বাধীনতা হবে অর্থবহ, জাতীর জনকের স্বপ্ন হবে সফল বাস্তবায়ন।




ধন্যবাদান্তেঃ
মোঃ বেলায়েত হোসেন
2920, South Rainbow blvd
Las Vegas, NV-89146, USA
Phone-702-210-2839
E-mail: dhakahome@msn.com
(প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষে)

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত