লস এঞ্জেলেস থেকে উড্ডয়নের পর ডেল্টা বিমানের ইঞ্জিনে আগুন, নিরাপদে জরুরি অবতরণ
চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতাল থেকে নিয়ে গেল ICE, উদ্বেগে পরিবার ও সমাজকর্মীরা
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
অভিবাসন অধিকারকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থা (ICE) মিলাগ্রো সোলিস পোর্তিলো নামের এক নারীকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ক্যালিফোর্নিয়ার গ্লেনডেল মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে গেছে।
জানা গেছে, গত ৩ জুলাই (বৃহস্পতিবার) শারমান ওক্স এলাকার নিজ বাসার বাইরে তাকে আটক করে ICE এজেন্টরা। আটকের সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গ্লেনডেল মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
অভিযোগ উঠেছে, পোর্তিলো আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বমি-মাখা অবস্থায় হাতকড়া পরিয়ে ফেলে রাখা হয়েছিল এবং সে সময় তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। এজেন্টরা হাসপাতালের লবিতে ও করিডোরে অবস্থান করছিল, যা পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
পরিবারের দাবি, পরে পোর্তিলোকে অ্যানাহেইম গ্লোবাল মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়, তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে কিছু জানাচ্ছে না।
অধিকারকর্মীদের মতে, পোর্তিলোর চিকিৎসক জানিয়েছেন তিনি শারীরিকভাবে স্থিতিশীল ছিলেন না এবং তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার উপযোগীও নয়।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, পোর্তিলোকে অতীতে দুইবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য, চুরি ও চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। সংস্থাটি জানায়, “ICE হেফাজতে নেওয়া প্রত্যেক অভিবাসীকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা ও ২৪ ঘণ্টার ইমার্জেন্সি কেয়ারের নিশ্চয়তা দেয়। নিরাপদ ও মানবিক পরিবেশ নিশ্চিত করাই তাদের অঙ্গীকার।”
স্থানীয় সমাজকর্মীরা গ্লেনডেল মেমোরিয়াল হাসপাতালের সমালোচনা করেছেন কারণ তারা ICE কর্মকর্তাদের হাসপাতালে প্রবেশে বাধা দেয়নি। তাদের মতে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন উপস্থিতি কর্মী ও রোগীদের জন্য হুমকি তৈরি করছে।
এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আমরা আইনত আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে হাসপাতালের পাবলিক এলাকায় প্রবেশ থেকে বিরত রাখতে পারি না। আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার সব সময়ই রোগীর সুস্থতা ও নিরাপত্তা, তা সে যেকোনো পটভূমি বা অবস্থার হোক না কেন।”
এছাড়া, ডিগনিটি হেলথ নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে বিশেষ করে প্রান্তিক জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে এবং কেউ যেন ভয়ে চিকিৎসা নিতে বিলম্ব না করে, সে বিষয়ে উদ্বিগ্ন।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন