আপডেট :

        দুটি এম্বুলেন্সের একটি নষ্ট গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

        নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে মোট শয্যা হবে এক হাজার

        উপজেলা নির্বাচন: ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ

        ব্যাটে জয় পেলো বাংলাদেশ

        ব্যাটে জয় পেলো বাংলাদেশ

        সম্পূর্ণ বাংলা সাপোর্টের স্মার্টওয়াচ নিয়ে এলো দেশীয় প্রযুক্তি

        ছায়ানটের অন্যতম সদস্য শ্রী অশোক রায় নন্দীর মৃত্যু

        ইসরায়েলে আল জাজিরার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশর পর অফিসে পুলিশের অভিযান

        ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় নিহত ৫৭, ঘরছাড়া ৭০ হাজার মানুষ

        ইসরায়েলে আল-জাজিরা টিভি বন্ধের সিদ্ধান্ত

        মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে বিক্ষোভ

        ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থীদের ওপর ইসরাইলি সমর্থকদের হামলা

        যুক্তরাষ্ট্রে কিশোরকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শিক্ষিকা গ্রেপ্তার

        যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি ‘বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ’ বলে উল্লেখ উত্তর কোরিয়ার

        যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিন কর্মকর্তার মৃত্যু

        বান্ধবী খুঁজে পেতে বিলবোর্ডে বিজ্ঞাপন, ব্যাপক সাড়া

        অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন্ধে রিট

        মানবপাচার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার

        বাংলাদেশ ট্যুর গ্রুপ

        বাংলাদেশ ট্যুর গ্রুপ

আজ পবিত্র শবে বরাত

আজ পবিত্র শবে বরাত

আজ ১৪ শাবান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত পবিত্র শবে-বরাত। পবিত্র কুরআন হাদিসের অসংখ্য বর্ণনা অনুযায়ী এ রাত অতীব মর্যাদাময় রাত। এ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন পৃথক বাণীতে দেশ ও জাতির অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করেছেন। শবে বরাত উপলক্ষে আগামীকাল সরকারি ছুটির দিন। প্রিন্ট মিডিয়ায় আজ ছুটি থাকবে, কাল শনিবার পত্রিকা প্রকাশ হবে না। এ উপলক্ষে বিভিন্ন মিডিয়া বিশেষ নিবন্ধন প্রকাশ করবে এবং বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। পবিত্র শবে-বরাত যে মুসলিম উম্মাহর একটি বরকতময় ও ফজিলতপূর্ণ রাত এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। অতীত এবং বর্তমান সময়ের সকল মুফাসসিরীন ও মুহাদ্দিসীনে কেরাম এ রাতকে এক বাক্যে বরকতময় রাত হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছেন। কারণ, পবিত্র এ রাতের অস্তিত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব পবিত্র কুরআন-হাদিস দ্বারা বহুল প্রমাণিত। শবে-বরাতের রাতে মানুষের বার্ষিক ভাগ্যলিপি লেখা হয় এবং বিগত বছরের আমলনামা আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়। এক বৎসরের হায়াত-মউত-রিজিক, দৌলত-তথা ভাগ্য নির্ধারণ হয়। এই রাতে আল্লাহপাক বান্দার দিকে বিশেষ রহমতের নজরে তাকান। এই রাত্রিতে ৭০ হাজার ফিরিস্তা নিয়ে জিবরাঈল (আ:) দুনিয়াতে আসেন এবং রহমত বণ্টন করেন। আরবের বনী কালব গোত্রের ৩০ হাজার বকরির পশমের সংখ্যারও অধিক গুণাহগারকে ক্ষমা করা হয় এ রাত্রে। এ রাত্রিতে কবিরা গুণাহ ব্যতীত অন্যান্য গুণাহ ক্ষমা করে দেয়া হয় এবং তওবা করলে কবিরা গুণাহগারকেও ক্ষমা করা হয়। হজরত আলী (রা.) নবী করীম (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, যখন শা’বানের পনেরো তারিখ হতো তখন তিনি বলতেন, তোমরা এ রাতে এবাদতে জাগ্রত থাকো এবং দিনের বেলায় রোজা রাখো। কেননা এ রাতে সূর্যাস্তের সাথে সাথে আল্লাহ দুনিয়ার নিকটবর্তী আসমানে নেমে এসে বলেন, আছো কি কোন প্রার্থনাকারী-আমি তার প্রার্থনা কবুল করবো। আছো কি কোনো রিজিক অন্বেষণকারী-আমি তাকে রিজিক দান করবো। আছো কি কোনো রুগ্ন ব্যক্তি-আমি তাকে সুস্থতা দান করবো। এ ধরনের আরো কেউ আছো কিÑ আমি তার প্রয়োজন মিটিয়ে দেবো। এমন করে সুবহে সাদিক পর্যন্ত আল্লাহ প্রত্যেক গোত্রের নাম ধরে ধরে ডাকতে থাকেন।মুহাম্মাদ ইবনে আলী (রা.) বর্ণনা করেছেন, এই রাত শবে কদরের পর সর্বোত্তম রাত। এই রাতে আল্লাহ তার বান্দাদেরকে নিজ করুণায় ক্ষমা করেন। তিনি আরো বলেছেন, এই রাতে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করো! কেননা, আল্লাহ তার পবিত্র নামের শপথ করে বলেছেন, তিনি তার কোনো বান্দাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেবেন না, তবে শর্ত হলো ঐ বান্দা পবিত্র এই রাতে যদি কোনো গুণাহ না করে।ইসলামের ইতিহাসে পবিত্র এ রাতটি বিশ্বের অন্যান্য মুসলমানদের ন্যায় বাংলাদেশের মুসলমানরাও যথাযোগ্য মর্যাদায় রাতভর এবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে পালন করবে। মধ্যপ্রাচ্য, ভারতীয় উপমহাদেশ, মিশর, আফ্রিকা এবং মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শবে বরাত ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে এবং জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করবে। শবে-বরাতের এ পবিত্র রাতে এবাদত বন্দেগির অন্তর্ভুক্ত থাকবে কুরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, ওয়াজ, জিকির আসকার, কবর জিয়ারত এবং মিলাদ দোয়া ও মোনাজাত। এই রাত্রে আগামী এক বছরের যাবতীয় বিষয়াদি নির্ধারিত হয় এবং শবে কদরে সংশ্লিষ্ট ফেরেস্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এই রাত্রে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শাফাআতের পূর্ণ অধিকার প্রদান করা হয়েছে। হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী (রহ.) তাঁর কিতাব মুকাশশাফাতুল কুলুব-এর ৬৪০ পৃষ্ঠায় ইমাম সুবকীর বরাতে উল্লেখ করেন শবে বরাতের রাতে (এবাদত) সারা বছরের গুণাহ মাফের জন্য বদলা হয়। একইভাবে শবে কদরের রাতের এবদত জিন্দেগির গুণাহ মাফের বদলা হয়। আর সপ্তাহের গুণাহ মাফের বদলা বা উসিলা হয় প্রতি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের (শুক্রবারের রাত) এবাদত বন্দেগি। এ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ, নফল নামাজ, তিলাওয়াত, জিকির আসকার, দান-খয়রাত, কবর জিয়ারত করা উত্তম।হজরত মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মধ্য শাবানের রাতে মহান আল্লাহ দুনিয়ার আসমানে জালওয়া রাখেন, অতঃপর তাঁর সকল বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। কিন্তু মুশরিক বা শত্রুতা পোষণকারী ব্যক্তিকে ক্ষমা করেন না। এছাড়াও হাদিসটি যেসব গ্রন্থে বর্ণিত আছে ইমাম ইবন হিব্বান-এর সহীহ “ইবন হিব্বান”-এর হাদিস নাম্বার ১৯৮০, পৃষ্ঠা-৩৫৫, খ-১৩। আহলে হাদিস তথা লা-মাজহাবীদের নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি নাসির উদ্দিন আলবানীর সিলসিলাতুল আহাদিস আসসাহীতা-এর ৩য় ভ. ১৩৫ পৃষ্ঠা, হাদিস নং-১১৪৪। ইমাম তাবারানী তার বিখ্যাত কিতাব “মুজামুল কাবীর”-এর ১৫ খ., ২২১ পৃষ্ঠা। ইমাম বায়হাকী “শুয়াবুল ঈমান”-এর হাদিস নং ৩৮৩৩। “ফাজায়েলুল আওকাত”-এর হাদিস নং-২২, পৃষ্ঠা-১১৯। “আত তারগিব ওয়াত তারহীব” এর ২য় খন্ড ২৪১ পৃষ্ঠা। “মাজমাউয যাওয়ায়েদ” এর ৮ম খ- ৬৫ পৃষ্ঠা। “আল হিলয়াহ” এর ৫ম খন্ড, পৃ-১৯১। “আসসুন্নাহ” এর হাদিস নং-৫১২।উল্লেখ্য, বায়হাকী শরিফে বর্ণিত হাদিসটি অন্যান্য ওলামায়ে-কেরাম ছাড়াও শবে-বরাতের বিরুদ্ধবাদী আলেমগণও সহীহ হাদিস হিসেবে বর্ণনা করেছেন। সুতরাং যারা শবে বরাতের বিরোধিতা করেন তারা রাসূল (সা:) ও সাহাবায়ে কেরামদের বিরোধিতা করেন।


শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত