আপডেট :

        ব্যাটে জয় পেলো বাংলাদেশ

        সম্পূর্ণ বাংলা সাপোর্টের স্মার্টওয়াচ নিয়ে এলো দেশীয় প্রযুক্তি

        ছায়ানটের অন্যতম সদস্য শ্রী অশোক রায় নন্দীর মৃত্যু

        ইসরায়েলে আল জাজিরার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশর পর অফিসে পুলিশের অভিযান

        ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় নিহত ৫৭, ঘরছাড়া ৭০ হাজার মানুষ

        ইসরায়েলে আল-জাজিরা টিভি বন্ধের সিদ্ধান্ত

        মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে বিক্ষোভ

        ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থীদের ওপর ইসরাইলি সমর্থকদের হামলা

        যুক্তরাষ্ট্রে কিশোরকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শিক্ষিকা গ্রেপ্তার

        যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি ‘বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ’ বলে উল্লেখ উত্তর কোরিয়ার

        যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিন কর্মকর্তার মৃত্যু

        বান্ধবী খুঁজে পেতে বিলবোর্ডে বিজ্ঞাপন, ব্যাপক সাড়া

        অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন্ধে রিট

        মানবপাচার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার

        বাংলাদেশ ট্যুর গ্রুপ

        বাংলাদেশ ট্যুর গ্রুপ

        রাশিয়ার সঙ্গে চলমান সংলাপ অব্যাহত রাখতে হবে

        চুক্তি চান না বরং বিরোধী পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত ইমরান খান

        চুক্তি চান না বরং বিরোধী পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত ইমরান খান

        এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

কোরআনের অনুবাদ পড়ে নামাজ আদায় করা শুদ্ধ কিনা?

কোরআনের অনুবাদ পড়ে নামাজ আদায় করা শুদ্ধ কিনা?

ছবিঃ প্রতীকী

আরবী ব্যতীত অন্য ভাষায় আল কুরআনের তরজমা পড়ে নামাজ আদায় করলে শুদ্ধ হবে কি না, এ নিয়ে দুটি মত রয়েছে। এক. সাধারণভাবে তা শুদ্ধ হবে অথবা আরবী উচ্চারণ করতে অক্ষম হলে শুদ্ধ হবে। দুই. শুদ্ধ হবে না।


প্রথম মতটি ইমাম আবু হানিফা (রহ.)- এর প্রাচীন মত। তিনি ফারসি ভাষায় অনূদিত কুরআন পড়ে নামাজ পড়া জায়েজ মনে করতেন। অর্থাৎ তিনি মনে করতেন যে কুরআন মূলত অর্থের নাম। আর একই অর্থ বিভিন্ন ভাষার শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা যায়। অবশ্য ইমাম আবু হানিফা (রহ.) এ মত থেকে ফিরে এসেছেন বলে প্রসিদ্ধ রয়েছে।


ইমাম আবু ইউসূফ ও ইমাম মুহাম্মদ বলেছেন যে, যে ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে শুধু সে ক্ষেত্রেই তা শুদ্ধ হবে। অতএব আরবীতে কুরআন পড়তে যে একেবারেই অপারগ তার জন্য অনুবাদ পড়েই নামাজ আদায় শুদ্ধ হবে। তবে যে ব্যক্তি আরবীতে কুরআন পড়তে পারে, তার জন্য শুদ্ধ হবে না। মিরাজুদ্-দেরায়াতে বলা হয়েছে- আমরা অপারগ ব্যক্তির জন্য, অর্থে কোনোরূপ বিকৃতিসাধন না করার শর্তে, কুরআনের অনুবাদ পড়া জায়েজ করেছি; কেননা অনুবাদ কুরআনের অর্থকে শামিল করে বলে তা এক হিসেবে কুরআন। অতএব তা পড়া একেবারে না পড়ার চেয়ে উত্তম। কারণ মানুষের সাধ্যের নিরিখে দায়িত্ব আরোপিত হয়েছে।’ (উদ্ধৃতিটি আল কাত্তান থেকে নেয়া, পৃ: ৩১২) 


দ্বিতীয় মতটি হলো জমহুর বা অধিকাংশ ফকীহদের। সে হিসেবে ইমাম মালেক, ইমাম শাফেঈ ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল আল কুরআনের অনুবাদ দিয়ে নামাজ পড়া অবৈধ বলেছেন। আরাবীতে কুরআন পড়তে মুসল্লী সক্ষম কি অক্ষম তা কোনো বিবেচনার বিষয় হবে না; কেননা অনুবাদ কুরআন নয়। কুরআন হলো, ইজাযবিশিষ্ট বাক্যমালা, যা আল্লাহর কালাম। দলিল হিসেবে তারা নিম্নবর্ণিত আয়াত পেশ করেন, 

وَلَوْ جَعَلْنَاهُ قُرْآَنًا أَعْجَمِيًّا لَقَالُوا لَوْلَا فُصِّلَتْ آَيَاتُهُ أَأَعْجَمِيٌّ وَعَرَبِيٌّ

আমি যদি একে (কুরআনকে) অনারব ভাষায় কোরআন করতাম, তবে অবশ্যই তারা বলত, এর আয়াতসমূহ পরিস্কার ভাষায় বিবৃত হয়নি কেন? কি আশ্চর্য যে, কিতাব অনারব ভাষায় আর রসূল আরবী ভাষী! বলুন, এটা বিশ্বাসীদের জন্য হেদায়েত ও রোগের প্রতিকার। যারা মুমিন নয়, তাদের কানে আছে ছিপি, আর কোরআন তাদের জন্যে অন্ধত্ব। তাদেরকে যেন দূরবর্তী স্থান থেকে আহবান করা হয়। (সূরা ফুসসিলাত:৪৪)


আল কুরআন আবরিতে বোঝার জন্য সকল মুসলমানকেই সচেষ্ট থাকতে হবে। এমনকি ফকীহদের কেউ কেউ আরবী ভাষা শেখা মুসলমানদের ওপর ফরজ বলেছেন। ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ ‘ইক্তিযাউস সিরাতিল মুস্তাকীম’ গ্রন্থে বলেন,‘ আর খোদ আরবী ভাষা শিক্ষা করা দ্বীনের একটি অংশ এবং তা জানা ফরজ; কেননা আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের সুন্নত বোঝা ফরজ। আর তা আরবী ভাষা বোঝা ব্যতীত বোঝা সম্ভব নয়। আর যা না হলে ওয়াজিব আদায় হয় না তাও ওয়াজিব। (উদ্ধিৃতিটি আল কাত্তান থেকে নেয়া হয়েছে: পৃ:৩১৩)

 

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত