আপডেট :

        ভারতে ভোটারদের আগ্রহ বাড়াতে বিনামূল্যে খাবার

        থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির আশা প্রধানমন্ত্রীর

        বাজারে বেড়েই চলছে অস্থিরতা

        ইংরেজ গায়ক, গীতিকার ও সঙ্গীতজ্ঞ জন লেননের গিটার

        ইংরেজ গায়ক, গীতিকার ও সঙ্গীতজ্ঞ জন লেননের গিটার

        ভারতে আজ চলছে ৭ দফা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা

        উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল

        মানবাধিকারের উল্লেখযোগ্য উন্নতি

        প্রচণ্ড এই গরম থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির জন্য বিভিন্ন জায়গায় নামাজ পড়ে দোয়া

        যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ, শতাধিক শিক্ষার্থী গ্রেফতার

        এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো

        মার্কিন বিমান আটকে দিলো ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির!

        চিতাবাঘের আক্রমণে আহত জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার হুইটাল

        যুক্তরাষ্ট্রে গরুর দুধেও বার্ড ফ্লু শনাক্ত

        পবিত্র হজ পালনের অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব

        গোপনে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

        পার্লামেন্টে জুতা চুরি, খালি পায়ে ঘরে ফিরলেন পাকিস্তানের এমপিরা

        অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা

        কুড়িগ্রামে হিটস্ট্রোকে মৃত্যু

        চীন সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন

ফাইনালে লাতিন-ইউরোপ লড়াই

ফাইনালে লাতিন-ইউরোপ লড়াই

ব্যাকুলতা ছিল, কিন্তু তাতে হতাশাটা সামান্যই। ভেতরের জেদ ছিল প্রচণ্ড, তাতে আবেগের সঙ্গে বাস্তবতাও মেশানো ছিল। তাই ফ্রান্সের কাছে ২-০ গোলের হার বিশ্বকাপের 'অদম্য সিংহ' মরক্কো মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়েনি, বরং ৯০ হাজারের টইটম্বুর লাল গ্যালারির সামনে দাঁড়িয়ে যেন কথা দিয়েছে- আবার আসব আরও বড় হয়ে। আসলে এই বিশ্বকাপে মরক্কো যে লাল রঙের বিপ্লব ঘটিয়েছে, এদিন তা থেমে যায় ফরাসিদের গাঢ় নীলের সুন্দর ফুটবলের কাছে। ধারে এবং ভারে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফরাসিরা শুরু থেকে এগিয়ে ছিল। তার ওপর ম্যাচের মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে কাউন্টার অ্যাটাকে গোল খেয়ে যাওয়ার ধাক্কা- এর পরও লড়াই করেছিল মরক্কো। ম্যাচে ৫৯ শতাংশ বল তাদেরই দখলে ছিল। কিন্তু বিশ্বচ্যাম্পিয়নের দেয়াল আর ভাঙা হয়নি তাদের। রোববারের ফাইনালে এই ফ্রান্সই লড়বে আর্জেন্টিনার সঙ্গে। বিশ্বফুটবলের জন্য যা কিনা হাতে পাওয়া চাঁদ। মেসি বনাম এমবাপ্পে।

এদিন ম্যাচ শুরুর প্রায় চার ঘণ্টা আগে থেকেই আল বায়াত স্টেডিয়ামের পুরো চত্বর মরক্কোর লাল জার্সিতে রঙিন হয়ে যায়। গ্যালারির এই বিপুল সমর্থনের সামনে মরক্কোর তারকা কোচ ৫-৪-১ ছকের রক্ষণাত্মক মাঠ সাজান। আর ফরাসি কোচের ছক বরাবরের মতোই ডানে গ্রিজম্যান আর বাঁয়ে এমবাপ্পে। মাঝে গোলমেশিন জিরুদ। ভারানের কাছ থেকে মাঝমাঠের বল পেয়ে গ্রিজম্যান দারুণ প্লেসিংয়ে পাঠিয়ে দেন এমবাপ্পের কাছে। ডি বক্সে এমবাপ্লের সামনে তখন মরক্কার তিন ডিফেন্ডার। সেখান থেকে বল বাঁ দিকে বেরিয়ে যেতে থাকলে প্রায় বুকসমান উঁচু থেকে বাঁ পায়ের সাইড ভলিতে দুর্দান্ত গোল করেন থিও হার্নান্দেজ। ইতিহাস বলছে, তাঁর ৪.৩৯ মিনিটে করা এই গোলটি গত ৬৪ বছরের মধ্যে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের দ্রুততম গোল। এর আগে ১৯৫৮ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ২ মিনিটে গোল করেছিলেন ব্রাজিলের ভাবা। তা আচমকা ওই গোলের পর কিছুক্ষণের জন্য নীরব হয়ে যায় লালে রাঙানো গ্যালারি। কিন্তু থেমে থাকেন তাঁদের মাঠের সৈনিকরা। ১০ থেকে ৩৫ মিনিটের মধ্যে অন্তত তিনটি সুযোগ তৈরি করেছিলেন হাকিম জিয়াচ, বোফাল আর নেসেরিরা। মাঝমাঠ থেকে বল পাসিংয়ের দারুণ কারুকাজে বারবারই ঢুকে পড়ছিলেন তাঁরা ফরাসি বক্সে।

কিন্তু গতিতে সত্যিই তাঁরা পেরে ওঠেননি ফরাসিদের সঙ্গে। যেমন জিরুদ, মাঝমাঠ থেকে বল টেনে নিয়ে যখন শট হাঁকান, তখন মরক্কোর গোলরক্ষক একা দাঁড়িয়ে। যদিও সেই শট পোস্টে লেগে ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয়ার্ধে যেন আরও গিয়ার বাড়িয়ে দেন এমবাপ্লে-গ্রিজম্যানরা। সেই সঙ্গে পাসিং আর প্লেসিংয়ের নান্দনিক ফুটবল। ৮০ মিনিটের গোলটি যেন সত্যিই ফরাসি সুবাস এনে দিয়েছিল গোটা মাঠে। ওই গোলটি দেখার পর সারাক্ষণ বাঁশি বাজিয়ে যাওয়া মরক্কান সমর্থককেও দেখা যায় হাততালি দিতে। এদিন নিজে হয়তো গোল পাননি, কিন্তু কোলো মুনাইকে দিয়ে যে গোলটি করিয়েছেন এমবাপ্পে, তা যেন ফাইনালের ট্রায়ালই হয়ে থাকল। ডি-বক্সের যেখানে শরীর ঘোরানোর জায়গা ছিল না, সেখানে তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাঁ দিক থেকে বল পাঠিয়ে দেন কোনো এক সতীর্থের উদ্দেশে। যাতে পা ছোঁয়াতে এতটুকু ভুল করেননি ক্যারিয়ারের প্রথম গোলের দর্শন পাওয়া মুনাই। ম্যাচের পর মুনাইকে বুকে জড়িয়ে নেন দেশম, যেন স্বস্তি আরও একজন স্কোরার যোগ হলো মেসিদের সঙ্গে ফাইনালে নামার আগে।


এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত