আপডেট :

        কেন্দ্রীয় কি ঋণখেলাপি ও অর্থপাচারের সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে, প্রশ্ন টিআইবির

        ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

        বিমান হামলায় নিহত এক নারীর গর্ভ থেকে প্রসব হওয়া সন্তানটি মারা গেছে

        ফেনীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাং গ্রেফতার

        তাপ্প্রবাহে ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড

        তিন দিনের সফরে বর্তমানে চীনে রয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন

        ভারতীয় দলে হার্দিক পাণ্ডিয়া ও বিরাট কোহলি নেই

        উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৭৩ জনকে সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার

        ভারতে ভোটারদের আগ্রহ বাড়াতে বিনামূল্যে খাবার

        থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির আশা প্রধানমন্ত্রীর

        বাজারে বেড়েই চলছে অস্থিরতা

        ইংরেজ গায়ক, গীতিকার ও সঙ্গীতজ্ঞ জন লেননের গিটার

        ইংরেজ গায়ক, গীতিকার ও সঙ্গীতজ্ঞ জন লেননের গিটার

        ভারতে আজ চলছে ৭ দফা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা

        উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল

        মানবাধিকারের উল্লেখযোগ্য উন্নতি

        প্রচণ্ড এই গরম থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির জন্য বিভিন্ন জায়গায় নামাজ পড়ে দোয়া

        যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ, শতাধিক শিক্ষার্থী গ্রেফতার

        এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো

        মার্কিন বিমান আটকে দিলো ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির!

রাজধানীতে বাড়ির নিচে ‘গুপ্তধন’

রাজধানীতে বাড়ির নিচে ‘গুপ্তধন’

রাজধানীর মিরপুরের একটি বাড়ির নিচে বিপুল পরিমান গুপ্ত ধন রয়েছে এমন সংবাদের পর ওই বাড়িতে খনন কাজ চালিয়েছে প্রশাসন। তবে প্রায় ৬ ঘন্টা ধরে প্রায় চার ফুট গভীর পর্যন্ত খুড়েও গুপ্ত ধনের আলামত পাওয়া যায়নি। তাই শনিবারের মত খনন কাজ স্থগিত করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে খননের ব্যপারে পরবর্তীত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

শনিবার সকাল ১০ টা থেকে ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: আনোয়ারুজ্জামানের উপস্থিতিতে ২০ জন শ্রমিক মিরপুর ১০ নম্বরের সি ব্লকের ১৬ নম্বর রোডের ১৬ নম্বর টিন সেড বাড়িতে খনন কাজ শুরু করে। আনোয়ারুজ্জামান বলেন, শনিবার ৬ ঘন্টা খনন কাজ করেও গুপ্তধনের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। তাই বিকেল ৪ টার দিকে খনন কাজ স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

গুপ্তধনের সন্ধানদাতা তৈয়ব বলেন, তার ঘনিষ্ট বন্ধু আলমের দুর সম্পর্কের আত্মীয় দিলশাদ খান। তিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তান চলে যান। আলমও পাকিস্তানে থাকেন। তবে আলম মাঝে মধ্যে দেশে আসেন। বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তিনি জানান, আলম তাকে তথ্য দিয়েছেন, মিরপুরের ওই বাড়িটির নিচে দুই মণের বেশি স্বর্ণালংকার ও দামি জিনিসপত্র রয়েছে। পাকিস্তানে থাকাকালে আলমকে ওই তথ্য দিয়েছেন দিলশাদ।

এরপর আলমকে নিয়ে তৈয়ব মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা এ সম্পদ দখলে নিতে টেকনাফ থেকে ঢাকায় আসেন। ঢাকায় আসার পর তৈয়বকে আড়ালে রেখে গোপনে বাড়িটির বর্তমান মালিকের সঙ্গে আঁতাত করেন আলম। তারা মাটির নিচের সম্পদ হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে তিনি তার পূর্বপরিচিত রাবেয়া চৌধুরী নামে এক নারীকে নিয়ে থানায় যান। তারা বিষয়টি জানিয়ে থানায় একটি জিডি করার সিদ্ধান্ত নেন।

অন্যদিকে, এই বাড়ির বর্তমান মালিক ব্যবসায়ী মনিরুরল ইসলাম বলেন, ২০১০ সালে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সেলিম রেজা নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে বাড়িটি তিনি কিনেছিলেন। বাড়ি ভেঙ্গে নতুন করে নির্মান করা হবে বলে ভাড়াটিয়াদের বের করে দেয়া হয়। বর্তমানে বাড়িতে কেউ থাকে না। দুইজন কেয়ারটেকার দেখাশোনা করেন। তিনি পল্লবীর আরেকটি বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবার করেন। তিনি বলেন, ওই বাড়ির নিচে গুপ্তধন রয়েছে এমন তথ্য দিয়ে থানায় জিডি করেছেন।

গত ১২ জুলাই রাতে জোর করে কয়েকজন যুবক আমার বাড়ির ভেতরে ঢোকার চেষ্টা চালায়। তারা বাড়িতে প্রবেশের জন্য কেয়ারটেকারদের আর্থিক লোভনও দেখান। এই বাড়ির মাটির নিচে গুপ্তধন রয়েছে বলে জানান তারা। ওই লোকদের মধ্যে আবু তৈয়ব নামের এক ব্যক্তি ছিলেন। পরদিন আমি মিরপুর মডেল থানায় গিয়ে এ সংক্রান্ত একটি জিডি করি। পাশাপাশি আমার বাড়ির মাটির নিচে যদি কোনো ধরনের গুপ্তধন থাকে তা উদ্ধারের আহ্বান জানাই। এ সংক্রান্ত সকল ব্যয়ভার বহন করারও আশ্বাস তিনি।

মিরপুর মডেল থানার ওসি দাদন ফফির বলেন, ‘বাড়ির মালিক দাবিদার তৈয়বের দায়ের করা জিডির পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালতের আদেশে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতি ঘরের দুটি কক্ষে খনন কাজ করা হয়েছে। ঘরে বামপাশে চারটি কক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে দুটিতে খনন । পর্যায়ক্রমে সবকটি কক্ষই খনন করা হবে।

খননকাজ বন্ধ করার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের বলেন, বাড়ির অবকাঠামো বেশ দুর্বল। মজবুত কাঠামোর ওপর এই বাড়ির ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়নি। এখানে খননকাজ করা হলে ঘরগুলো ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আজ খননকাজ বন্ধ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যদি কালই (আজ) বিশেষজ্ঞদের মতামত পাওয়া যায় তবে কাল থেকেই খনন কাজ শুরু হবে। সে পর্যন্ত বাড়িটি পুলিশ পাহারায় থাকবে। এর আগেও গুপ্তধনের খবর পাওয়ার পর থেকে বাড়িটিতে পুলিশের পাহারা বসানো হয়।


এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো খবর