উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৭৩ জনকে সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার
আসছে শীতে যুক্তরাষ্ট্রে 'টুইনডেমিক' আতঙ্ক
করোনাভাইরাসে দুই লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে
বিশ্বে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত সেখানে দুই লাখ চার হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। শীতকালে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ আসার সম্ভাবনাও রয়েছে প্রবল। তবে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু-এর প্রকোপের আশঙ্কা। চিকিৎসকেরা এই পরিস্থিতিকে বলছেন, ‘টুইনডেমিক সিচুয়েশন’।
শরৎকাল শেষ হয়ে চলে আসছে শীতকাল। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই সময়টাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 'ফ্লু সিজন'ও বলা হয়। অর্থাৎ ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে দেখা দেয় জ্বর-ঠাণ্ডা-কাশির মতো প্রকোপ। চিকিৎসকরা বলছেন, ''সব চেয়ে আতঙ্কের হল, কোভিড-১৯ এবং ফ্লু-এর উপসর্গ প্রায় একই রকম। রোগীর শরীরে উপসর্গ দেখে কী হয়েছে তা বলা বেশ কঠিন।''
এই পরিস্থিতিতে মার্কিন চিকিৎসকেরা আগাম ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন বা ফ্লু-শট নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন দেশের জনগণকে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ফ্লু-শট কোনও কাজ দেবে না বলেও জানিয়েছেন তারা। শুধু ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ আটকাবে।
সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, মানুষ বলতে পারছেন না, কিসের অসুস্থতা। দুই রোগেরই সাধারণ উপসর্গ হল জ্বর, সর্দিকাশি, প্রবল ঠান্ডা লাগা এবং শ্বাস নিতে কষ্ট। তবে পার্থক্য— কোভিডে গন্ধ, স্বাদের মতো অনুভূতি চলে যায়। কিন্তু করোনা-আক্রান্ত সকলেরই যে আবার স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দিচ্ছে, তেমনটা নয়। আবার ফ্লু-তেও অনেক সময় ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে যায়, জিভের স্বাদ চলে যায়! অতএব করোনা-পরীক্ষার রিপোর্ট না-পাওয়া পর্যন্ত রোগ নির্ণয় করা বেশ মুশকিল।
তবে রোগীর পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ হতে যদি ফ্লু ও করোনাভাইরাস একই সঙ্গে হয়। এই দুই রোগ এক সঙ্গে হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞেরা।
এলএ বাংলা টাইমস/এমকে
শেয়ার করুন