নারায়ণগঞ্জে হিন্দুদের অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নিহত ১০
হিন্দুদের অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নিহত ১০
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় সনাতন
সম্প্রদায়ের পুণ্যস্থান লাঙ্গলবন্দে মহাঅষ্টমীরপুণ্যস্নানের সময় পদদলিত হয়ে সাত নারীসহ ১০জন পুণ্যার্থী মারা গেছেন। আজ শুক্রবার সকালসাড়ে নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রায়২০ জন আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বন্দর থানারভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলামেরদেওয়া ভাষ্য, সকালে পুণ্যস্নানের পদযাত্রায়প্রচণ্ড ভিড় হয়। তখন পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদেরপাশে রাজঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তিরা হলেন সুচিত্রা রানী (৭০),ভানুমতি (৫০), রাহী (২৮), কানন সাহা (৫০),মালতী (৬০), তুলসী দেবনাথ (৫০), ভগবতী (৪০),রঞ্জিত চন্দ্র (৫৫), মাদারীপুরের চরমুগরিয়াকলেজের শিক্ষক নকুল চন্দ্র বিশ্বাস (৫৫) ও নিতাই(৫০)। আহত ব্যক্তিরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্নহাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের ভাষ্য, ভোর পাঁচটা ৪৮মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে মহাষ্টমী স্নান উৎসবের লগ্নশুরু হয়। এ সময় থেকে পুণ্যার্থীদের ঢল নামে।পুণ্যার্থীদের জন্য ১৬টি ঘাটে স্নানের আয়োজনকরা হয়। ১৬টি স্নানঘাটের মধ্যে অন্যতম প্রধানহলো রাজঘাট। পুণ্যার্থীরা বিশ্বাস করেন, এইঘাটে স্নান করলে পুণ্য বেশি হয়। তাই এই ঘাটেভিড় বেশি ছিল। ভিড়ের চাপে সকাল সাড়ে নয়টারদিকে পদদলিত হলে ১০ জন পুণ্যার্থী মারা যান।তাঁদের মধ্যে সাতজন নারী।কয়েকজন পুণ্যার্থী অভিযোগ করেন, পুণ্যার্থীদেরভিড় সামলাতে ওই এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যকস্বেচ্ছাসেবক ছিলেন না। স্নানের সময় অনেকটাবিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ সময় পুণ্যার্থীরাপদদলিত হন।স্নান উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাসুদেবচক্রবর্তীর ভাষ্য, তাঁদের দায়িত্বে কোনো অবহেলাছিল না। ঘাটের রাস্তাটি ও কালভার্ট সরু হওয়ায়ধাক্কা খেয়ে এমনটা ঘটেছে।বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোকাররমহোসেনের ভাষ্য, এ ঘটনার পরে প্রত্যেকটি ঘাটেঅতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাস্তারমাঝখানে পুলিশ সদস্যরা নিজেরা মানবঢাল তৈরিকরে যাতায়াতের পথ তৈরি করেছে।নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করেদেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।লাঙ্গলবন্দে এখনো স্নান চলছে। লগ্ন শেষ হবেআগামীকাল শনিবার ভোর ছয়টা ৫৯ মিনিট ৩৮সেকেন্ডে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক শোকবার্তায় এঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন।
শেয়ার করুন