আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে দোকান ঘরে দুর্বৃত্তদের হামলা ব্যাপক ভাঙচুর
নওগাঁর রাণীনগরের বিলকৃষ্ণপুর বাজারে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে একদল দুর্বৃত্ত একটি দোকান ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। দুর্বৃত্তদের হামলায় ওই দোকানে বসে থাকা উপজেলার পালশা গ্রামের মোশারফ হোসেন (৫৫) ও দোকানের মালিক রফিকুল ইসলামকে লোহার রড, হাসুয়া ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। পরে তাদের নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গত শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে মোশারফ হোসেনের ছেলে মো. আসাদুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৭ জনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
উপজেলা তেবাড়িয়া ও পালশা গ্রামের বাসিন্দারা জানান, যাদের নামে মামলা হয়েছে তারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তারা চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত জড়িত আছে। এরা এলাকার মানুষের জন্য চরম আতঙ্ক। তাই এদের হাত থেকে এই এলাকার শান্তিকামী মানুষরা রক্ষা পেতে চায়।
জানা গেছে, উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের রেদওয়ান ইসলাম, শাহিন হোসেন, আজাদ আলীসহ অন্যদের সঙ্গে মোশারফ হোসেনের নির্বাচন কেন্দ্রীকসহ নানা বিষয়ে বিরোধ চলছিল। ঘটনার রাতে মোশরাফ হোসেন বিলকৃষ্ণপুর বাজারে রফিকুল ইসলামের চায়ের দোকানে বসেছিল। এ সময় হঠাৎ করে রেদওয়ান, শাহিন, আজাদসহ আরও কয়েকজন মোশারফের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এবং রফিকুলের চায়ের দাকানে ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় আহতদের রক্ষায় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা সেখান থেকে দ্রুত চলে যায়।
মোশারফ হোসেনের ছেলে আশাদুল ইসলাম জানায়, গুরুতর আহত তার বাবা মোশারফ হোসেন ও দোকান মালিক রফিকুলকে প্রথমে রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আসামিদের অধিকাংশ সর্বহারা দলের সদস্য। তাদের ভয়ে এলাকার লোকজন সব সময় ভয়ে থাকে। সস্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে এদের অনেকের নামে থানায় মামলা রয়েছে।
প্রধান শিক্ষক আবু সাইদ বলেন, দুর্বৃত্তদের প্রায় সকলেই ঢাকায় থাকে এবং প্রতি ঈদে বাড়ি এসে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীদের ওপর নানা রকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। এদের মধ্যে কয়েকজন সর্বহারা দলের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। আমি এই ঘটনায় সোমবার রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় আসামিরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত তাদের কাউকেই আটক করতে পারেনি।
মামলার তিন নম্বর আসামি আজাদ আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং ঘটনায় আমি জড়িত নই। তবে অন্যরা কি করেছে তা আমি জানি না। মামলার অন্য আসামিদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা যায়নি।
রাণীনগর থানার ওসি আবু ওবায়েদ জানান, মামলার প্রেক্ষিতে আসামিদের আটক করার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। দ্রুতই আসামিদের আটক করা হবে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন