আপডেট :

        শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে সংবাদ , পত্রিকা অফিসে আগুন

        সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের

        আওয়ামী লীগের বিষয়ে ফয়সালা

        জম্মু বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ

        জন্ম নিচ্ছে ৬ হাজার শিশু

        ডিমের দাম বাড়ছে, কিন্তু মুরগি পালন কি সত্যিই সাশ্রয়ী? অভিজ্ঞ খামারিদের মতামত

        থ্রি ডোরস ডাউন ব্যান্ডের ব্র্যাড আর্নল্ডের স্টেজ-৪ ক্যানসার, সামার ট্যুর বাতিল

        গ্রিনল্যান্ডে গুপ্তচরবৃত্তি: মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করলো ডেনমার্ক

        লিবিয়ায় অভিবাসীদের বহিষ্কার পরিকল্পনা সাময়িকভাবে স্থগিত করলেন মার্কিন বিচারক

        কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রো-প্যালেস্টাইন বিক্ষোভে পুলিশের অভিযান, বহু শিক্ষার্থী আটক

        চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে তরুণকে ফেলে দেয় ছিনতাইকারীরা

        ট্রাম্পের বিলাসবহুল ডিনারে মাথাপিছু দেড় মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা হয়

        দুই কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে

        ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল

        এই হামলাকে কাপুরুষোচিত বলে উল্লখে করেছেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির ও মাহিরা খান

        স্কুলে আশ্রয় নিয়েও রক্ষা পাচ্ছে না বাস্ত্যুচ্যুতরা, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১৫

        মার্কিন অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে এখন থেকে রিয়েল আইডি বাধ্যতামূলক

        সরকারি চাকরি ফিরে পাচ্ছেন জিয়া পরিবারের সদস্য ডা. জোবাইদা রহমান

        আগুন নিয়ে খেলছে ভারত

        ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উদ্বেগ

ড. ইউনূস এর বক্তব‍্যের ভুল ব‍্যাখ‍্যা

ড. ইউনূস এর বক্তব‍্যের ভুল ব‍্যাখ‍্যা

সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে আসার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ২৭শে সেপ্টেম্বর মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সাক্ষাৎকারটি ছিল ইংলিসে ১৯ মিনিটের, মোডারেট, সোমিনী সেনগুপ্ত

আন্তর্জাতিক জলবায়ু সংবাদদাতা। সাক্ষাৎকারে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং ভবিষ্যতের বিষয়ে কথা বলেন। সেই সময় তিনি "রিসেট বাটন" এর ধারণাটি উল্লেখ করেন। এর পরই তর্ক-বিতর্ক এতদূর গড়িয়ে যায় যে অনেকেই তাদের ফেসবুক পোস্টে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে লিখতে শুরু করেন 'স্টেপ ডাউন ইউনূস'। সামাজিক মাধ্যমে ড. ইউনূসের নামে চলমান এই সমালোচনায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের বড় সংখ্যায় দেখা যাচ্ছে। তাঁর এই সাক্ষাৎকারের কিছু খণ্ড খণ্ড অংশ সংবাদমাধ‍্যমও ছেপেছে।

 

গত ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগ ছিল বাংলাদেশে একটি নাটকীয় রাজনৈতিক পালাবদলের সূচনা। এর পরপরই প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সমর্থন নিয়েই গত ৮ অগাস্ট তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। শপথ নেওয়ার পর থেকে বিরোধীপক্ষ তাঁকে নিয়ে নানা নেতিবাচক প্রচারণা চালাতে থাকে, বিশেষত 'ব‍্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার' হিসেবে তাঁকে চিহ্নিত করার প্রচেষ্টা শুরু হয়। ড. ইউনূস দায়িত্বে আসার পর যখন কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় হাসপাতালগুলোতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মৃত‍্যু চলমান(যা এখনো চলমান), তখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ‍্যালঘু নির্যাতন, ডাকাতি, এবং ভাস্কর্য ভাঙচুরের মতো অপরাধমূলক কার্যক্রমগুলো হঠাৎ করেই পুনরায় শুরু হয়। এমন উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝেই দেশের কয়েকটি জেলা বন‍্যা কবলিত হলো, যার ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতি তীব্র হয়ে ওঠে। বিদেশি ঋণের বোঝা ইতিমধ্যেই এই অন্তর্বর্তী সরকারের কাঁধে এসে পড়েছিল। ড. ইউনূস সরকারকে এই বিপর্যয় ও ঋণ মোকাবিলায় সংকটময় সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সংখ‍্যালঘুদের সুরক্ষা, এবং অর্থনৈতিক দুর্দশা এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।

 


এই পরিস্থিতিতে দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক গতিপ্রকৃতি অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে।

 

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎকারটি, যেখানে তিনি "রিসেট বাটন" শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন, তা পুরোপুরি প্রকাশ না করায় এবং মূল বক্তব্যের প্রেক্ষাপট বাদ দিয়ে কিছু সংক্ষিপ্ত অনুবাদিত অংশ প্রকাশিত হওয়ায় অনেক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে মূল প্রশ্ন-উত্তরের প্রসঙ্গ উপেক্ষা করে যে তিন/চারটি বাক্য কেটে ছাপানো হয়েছে, তা তার বক্তব্যের মূল সুর ও অর্থকে পরিবর্তন করেছে। এই খণ্ডিত ও ভুলভাবে উপস্থাপিত অংশের ফলে অনেক পাঠক প্রকৃত বক্তব্যের গভীরতা বুঝতে না পেরে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন। যদি ড. ইউনূসের পুরো বক্তব্য প্রকাশিত হতো, তাহলে সম্ভবত এত বড় বিতর্ক তৈরি হতো না। সাক্ষাৎকারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার মন্তব্যের ধারাবাহিকতা এবং প্রসঙ্গ বোঝার জন্য পূর্ণ বিবরণ প্রয়োজন ছিল। তাছাড়া, আওয়ামী লীগ সমর্থকরা ড. ইউনূসকে নিয়ে বিরোধিতায় তৎপর এবং এই ছোট খণ্ডিত অংশ তাদের জন্য একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে। দুঃখজনকভাবে, অনেক আইনজীবী, অভিনেত্রী, ও শিক্ষিত ব্যক্তিত্বও ড. ইউনূসের পুরো ১৯ মিনিটের সাক্ষাৎকার মনোযোগ দিয়ে শোনার প্রয়োজন মনে করেননি। তারা সাক্ষাৎকারের পুরো বিবৃতি শোনে তা থেকে সঠিকভাবে বাংলা অনুবাদ করে নেয়নি। এই ভুলবোঝাবুঝির ফলে সামাজিক মাধ্যমে তারা ড. ইউনূসের মন্তব্যের বিকৃতি ঘটিয়ে উপস্থাপন করেছেন। এখানে একটি বড় লজ্জার বিষয় হলো, এসব ব্যক্তিরা ড. ইউনূসের বক্তব্যের প্রকৃত মানে বোঝার চেষ্টাও করেননি। ফলে, তার ভাষণের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে 'মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলা'র মতো অপ্রাসঙ্গিক এবং বিভ্রান্তিকর প্রশ্ন তোলা হয়েছে, যা তার আসল বক্তব্যের সাথে কোন সম্পর্কই রাখে না।

 

বিভিন্ন সংবাদমাধ‍্যমে প্রকাশ হয়েছে, "প্রথমে স্বীকার করতে হবে যে ছাত্ররা বলেছে, আমরা 'রিসেট বাটন' পুশ করেছি; এভ্রিথিং ইজ গন; অতীত নিশ্চিতভাবে চলে গেছে। এখন নতুন ভঙ্গিতে আমরা গড়ে তুলবো। দেশের মানুষও তা চায়। সেই নতুন ভঙ্গিতে গড়ে তোলার জন্য আমাদের সংস্কার করতে হবে।"

সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, "We don't want to go back to what has happened to Bangladesh until of August 5 this year. So it's the way they express it is that 'we push the reset button, done. Build a new Bangladesh. So we are not inheriting things from our past. We build it completely new!'

ড. ইউনূস তার বক্তব্যে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি চাননি। তাঁর "reset button" ব্যবহার মূলত এই সময়ের (until August 5, this year) সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার কথা বোঝায্‌, যেখানে ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ভয়াবহ সহিংসতা এবং অন্যান্য সামাজিক, রাজনৈতিক সমস্যা ছিল। ছাত্ররাই এই ভয়াবহ পর্বটিকে পিছনে ফেলে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে 'reset button' চাপার কথা বলেছিল।

ড. ইউনূস তার মন্তব‍্যে, "এভ্রিথিং ইজ গন/ অতীত নিশ্চিতভাবে চলে গেছে" এমন মন্তব‍্য করেননি। তিনি 'Done' শব্দটি ব‍্যবহার করেছেন, 'everything is gone' বলেননি। 'Done' এবং 'everything is gone' এর মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে। যখন কেউ "done" শব্দটি ব্যবহার করে, সেটি সাধারণত বোঝায় যে কোনো কাজ বা প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, সম্পন্ন হয়েছে বা আর কিছু করার নেই। এটি একটি শেষ প্রক্রিয়া বা নির্দিষ্ট কিছুর সমাপ্তি বোঝায়।

 


Everything is gone-এটি বোঝায় যে সবকিছুই ধ্বংস হয়ে গেছে বা চলে গেছে, মুছে গেছে। অর্থাৎ, যা কিছু ছিল, তা আর নেই—সব কিছু হারিয়ে গেছে। ড. ইউনূস 'Done' বলতে বুঝিয়েছেন, ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো শেষ হয়েছে, এবং তিনি এই সময়ের ভয়াবহতা থেকে বেরিয়ে নতুনভাবে দেশ গড়ার কথা বলেছেন। এটি স্পষ্ট যে, তার মন্তব্যকে বিভ্রান্তিকরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং 'everything is gone' বলতে যে ধারণা দেয়, তা তার আসল বক্তব্যের সঙ্গে খাপ খায় না।

এখানে 'reset button' বলতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার কোনো ইঙ্গিত নেই। বরং এটি ২০২৪ সালের অস্থির পরিস্থিতিকে সংশোধন করে একটি নতুন সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার প্রতিফলন। সাক্ষাৎকারে এর পরের বাক‍্যে তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, "আমাদের জন্য সংস্কারই হলো প্রতিটি খাতে একটি বিশাল কর্মসূচি কারণ আমরা একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি, ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান, এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত কাঠামো উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছি(অর্থাৎ হাসিনা সরকার থেকে) আমাদের নীতি-নির্দেশনাগুলোও বিধ্বস্ত হয়েছে। তাই আমাদের সবকিছু নতুনভাবে গড়তে হবে, নতুন আকারে, নতুন ফরম্যাটে।" এটি বোঝায় যে তিনি ২০২৪ সালের সরকারের ব্যর্থতা এবং সেই সময়কার ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থার কথা বলছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলা নয় বরং বর্তমান অবস্থা থেকে বেড়িয়ে একটি নতুন পথ অনুসরণের আহ্বান ছিল।

 

সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস এর সম্পূর্ণ বক্তব‍্য বুঝতে, তার প্রতি কি প্রশ্ন ছিল, তিনি কি বলেছেন জবাবে, এর বাংলা সহ উপস্থাপন করলাম।

 

সোমিনি সেনগুপ্তা প্রশ্ন(ইংলিশে)

Somini Sengupta: You have inherited what you've called a revolutionary transition, you're tasked with restoring order, restoring the economy, creating jobs for the young people who were out on the streets, demonstrating accountability but all of this amid a climate crisis, how do you do that? Does it require a fundamental rethinking of how a country like yours prospers on a hotter Planet?

 

(সোমিনি সেনগুপ্তা প্রশ্ন-বাংলা: আপনি একটি বিপ্লবী পরিবর্তন উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন, যেখানে আপনাকে শৃঙ্খলা পুনঃস্থাপন, অর্থনীতি পুনর্গঠন এবং রাস্তায় আন্দোলনকারী তরুণদের জন্য চাকরির সুযোগ তৈরি করা সহ জবাবদিহিতা প্রদর্শনের দায়িত্ব পালন করতে হবে, তাও জলবায়ু সংকটের মধ্যে। আপনি কীভাবে এই কাজটি করবেন? এই প্রক্রিয়ায় কি এমন কোনও মৌলিক পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন আছে যা আপনার দেশের উন্নতি করতে পারে, বিশেষ করে উত্তপ্ত এবং ক্রমবর্ধমান জলবায়ু সংকটের মধ্যে?)

 

অধ‍্যাপক ইউনূস উত্তর(ইংলিশে): Well thank you for raising that question. We don't have the word start we said reform. The whole theme of the government that we inherited from the student movement and the student revolution that just took place which brought us into the power is reform. We don't want to go back to what has happened to Bangladesh until of August 5 this year. So it's the way they express it is that 'we push the reset button, done . Build a new Bangladesh. So we are not inheriting things from our past. We build it completely new. So that's the task reform is the big agenda for us in every sector because we have inherited devastated economy, devastated institution, destroyed structures everywhere policies. So we have to go build again in a new form new format. So this is the period that we go through the reform. Once the reform agenda is done then we go for the election and have the new government come in.

 

(অধ‍্যাপক ইউনূস উত্তর-বাংলা: আপনার প্রশ্নটির জন্য ধন্যবাদ। আমরা "শুরু" শব্দটি ব্যবহার করছি না, আমরা "সংস্কার" শব্দটি বলেছি। সরকারের মূলমন্ত্র হল সংস্কার যা আমরা ছাত্র আন্দোলন এবং ছাত্র বিপ্লব থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছি, এটিই আমাদের ক্ষমতায় নিয়ে এসেছে। আমরা ৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে যা ঘটেছিল, তাতে ফিরে যেতে চাই না। তারা(ছাত্ররা) বলেছে যে, 'আমরা রিসেট বাটন চেপেছি, কাজ শেষ, একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ব।' আমরা আমাদের অতীত থেকে(যা বিগত সরকার ১৫ বছরের শাসলকালে করে গেছেন) কোনো কিছু উত্তরাধিকার হিসেবে নিচ্ছি না। আমরা সব কিছু সম্পূর্ণ নতুনভাবে তৈরি করব। কাজেই সংস্কারই হলো আমাদের জন্য প্রতিটি খাতে একটি বিশাল কর্মসূচি কারণ আমরা একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি, ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান, এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত কাঠামো উত্তরাধিকারসূত্রে(বিগত সরকার থেকে) পেয়েছি। আমাদের নীতি-নির্দেশনাগুলোও বিধ্বস্ত হয়েছে। তাই আমাদের সবকিছু নতুনভাবে গড়তে হবে, নতুন আকারে, নতুন ফরম্যাটে। আমরা এখন সংস্কারের এই পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। একবার যখন সংস্কারের কর্মসূচি সম্পূর্ণ হবে, তখন আমরা নির্বাচন করব এবং একটি নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।)

 

ইউটিউভ লিঙ্ক-https://youtu.be/P4G4rvAeOUA?si=26t5MLMFs4KYCHkV

 

অধ‍্যাপক ইউনূসের সাক্ষাৎকারের প্রতিক্রিয়া নিয়ে যেসব বিতর্ক চলছে, তা মূলত তার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা এবং তার শব্দচয়নের অস্পষ্ট অনুবাদের ফলে সৃষ্টি হয়েছে। তিনি 'রিসেট বাটন' এবং 'ডান' শব্দ ব্যবহার করে ইঙ্গিত করেছেন যে, বাংলাদেশকে বিগত সরকারের ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে নতুনভাবে গড়ে তোলার প্রয়োজন। তার বক্তব্যকে 'মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার' সাথে মেলানো মোটেও সঠিক নয়। বরং, তিনি বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করে একটি নতুন পথে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন।

এই বিভ্রান্তি দূর করতে, আমাদের উচিত মূল প্রসঙ্গ ধরে ড. ইউনূসের পুরো বক্তব্য শোনা এবং বোঝা। এমন সময়ে যখন রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং গণমাধ্যমের অসংলগ্ন প্রতিবেদন পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করে তুলছে, সত্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা এবং বাস্তব প্রেক্ষাপটের আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। বিভক্তি বা ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা মন্তব্যগুলো আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রগতি ও সামাজিক স্থিতিশীলতার পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তাই, সঠিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই আমাদের প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত।

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত