সরকার নিজেরাই গোপনে রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ করছে: খালেদা জিয়া
সরকার নিজেরাই গোপনে রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ করছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সরকার নিজেই রাষ্ট্রদ্রোহী। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অনেক কিছু করছেন যা জনগণ জানে না। যা রাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর লেডিস ক্লাবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মানে এ ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সভাপতিত্ব করেছেন আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান কর্ণেল (অব.) অলি আহমদ।
খালেদা জিয়া বলেন, এই সরকার ব্যর্থ, অযোগ্য, অতর্ব, দুর্নীতিবাজ, খুনী, অত্যাচারী, গুম, হত্যাকারী এবং সরকার নিজেই রাষ্ট্রদ্রোহী। আজকে সকলের উচিত ঐক্যবদ্ধ হওয়া। কে কি পদ পাবে সেটা না ভেবে সকল রাজনীতিবীদদের উচিত যার যার অবস্থান থেকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। চাওয়া পাওয়া বড় নয়, গণতন্ত্রকে ফিরিযে আনা এবং দেশকে রক্ষা করা। জনগনের কল্যাণ করা।
তিনি বলেন, আজকে দেশের যে অবস্থা, এতে নতুন করে তেমন কিছু বলার নেই। এই সরকার দেশকে পুরোপুরি কারাগার বানিয়েছে। এ পর্যান্ত ১২ হাজারের অধিক গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৭শ’ এর অধিক বিএনপির নেতাকর্মী। এতে সহজেই বুঝা যায় লক্ষ্য সন্ত্রাসী ধরা নয়। সন্ত্রাসীকে পার করে দিয়ে বিএনপিরসহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের ধরা এবং নিরিহ মানুষকে জেলে ঢুকানো।
বেগম জিয়া বলেন, ছাত্রলীগ অবাধে অস্ত্র নিয়ে ঘুরলেও তাদের ধরা হয় না। সম্প্রতি ছাত্রলীগের এক নেতা অস্ত্র নিয়ে ধরা পড়লেও তাকে জামিন দিয়ে দেয়া হয়। আওয়ামী লীগের কাউকে অস্ত্র সহ ধরা হলে রিমান্ডে নেয়া দুরের কথা জেলে নিয়ে তার কয়েকদিন পর জামিনে ছেড়ে দেয়। অথচ অপরাধ না করলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের ধরে জেলে নেয়া হয়, জামিন হলেও আবার জেলগেট থেকে তাদের আটক করা হয়।
মুল মঞ্চে খালেদা জিয়ার সঙ্গে এলডিপির সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, মহাসচিব ড. রেদওয়ান আহমেদ, জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য এ টি এম আবদুল হালিম জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, চেয়ারম্যান ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তুজা, পিপলস লীগের মহাসচিব অ্যাডভোকেট মাহবুব, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি এইচ এম কামরুজ্জামান খান, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) মহাসচিব সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান পেশোয়ারী, সাম্যবাদী দলের মহাসচিব কমরেড সাঈদ আহমেদ, জাতীয় পার্টি (প্রয়াত কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য, আহসান হাবিব লিংকন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডিয়াম আবদুল রহিম আব্বাসী সদস্য ইফতার করেন।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন, আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল অংশ নেন।
এছাড়া জোটের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদৎ হোসেন সেলিম, এম এম আমিনুর রহমান, লেবার পার্টিও মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মো. শওকত আমীন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব খন্দকার লুৎফর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব মো. আবুল কাশেম, এনডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম ঈসা প্রমুখ অংশ নেন।
শেয়ার করুন