আপডেট :

        শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে সংবাদ , পত্রিকা অফিসে আগুন

        সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের

        আওয়ামী লীগের বিষয়ে ফয়সালা

        জম্মু বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ

        জন্ম নিচ্ছে ৬ হাজার শিশু

        ডিমের দাম বাড়ছে, কিন্তু মুরগি পালন কি সত্যিই সাশ্রয়ী? অভিজ্ঞ খামারিদের মতামত

        থ্রি ডোরস ডাউন ব্যান্ডের ব্র্যাড আর্নল্ডের স্টেজ-৪ ক্যানসার, সামার ট্যুর বাতিল

        গ্রিনল্যান্ডে গুপ্তচরবৃত্তি: মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করলো ডেনমার্ক

        লিবিয়ায় অভিবাসীদের বহিষ্কার পরিকল্পনা সাময়িকভাবে স্থগিত করলেন মার্কিন বিচারক

        কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রো-প্যালেস্টাইন বিক্ষোভে পুলিশের অভিযান, বহু শিক্ষার্থী আটক

        চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে তরুণকে ফেলে দেয় ছিনতাইকারীরা

        ট্রাম্পের বিলাসবহুল ডিনারে মাথাপিছু দেড় মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা হয়

        দুই কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে

        ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল

        এই হামলাকে কাপুরুষোচিত বলে উল্লখে করেছেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির ও মাহিরা খান

        স্কুলে আশ্রয় নিয়েও রক্ষা পাচ্ছে না বাস্ত্যুচ্যুতরা, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১৫

        মার্কিন অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে এখন থেকে রিয়েল আইডি বাধ্যতামূলক

        সরকারি চাকরি ফিরে পাচ্ছেন জিয়া পরিবারের সদস্য ডা. জোবাইদা রহমান

        আগুন নিয়ে খেলছে ভারত

        ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উদ্বেগ

আয়ারল্যান্ডে সাপ নেই যে কারণে!

আয়ারল্যান্ডে সাপ নেই যে কারণে!

প্রচলিত আছে যে, আয়ারল্যান্ডে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার করার পাশাপাশি সেখান থেকে সব সাপ তাড়িয়ে দিয়েছিলেন সেন্ট প্যাট্রিক। কিন্তু সত্যি কথাটি হলো আয়ারল্যান্ডে কখনোই কোনো সাপ ছিল না। আয়ারল্যান্ডে কোনো সাপের জীবাশ্মও পাওয়া যায়নি। এমনকি প্রকৃতপক্ষে সম্ভবত হাজার হাজার বছর ধরে আয়ারল্যান্ড এবং ব্রিটেনে কোনো সাপই ছিল না। পরে ব্রিটেনে তিনটি প্রজাতির সাপের আবাস গড়ে ওঠে। এরা হলো- গ্রাস স্নেক, অ্যাডার স্নেক এবং স্মুথ স্নেক।

কিন্তু কেন এমনটা হল? বরফযুগে আয়ারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ড এতটাই হিমশীতল ছিল যে সাপের মতো কোনো ঠাণ্ডা রক্তের প্রাণির বাসের উপযোগী ছিল না দেশ দুটি। কিন্তু এরপর ১০ হাজার বছর আগে হিমবাহ স্থানান্তরিত হলে ভূমি জেগে ওঠে এবং ইউরোপের সঙ্গে আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ড যুক্ত হয়। এসময় বাদামি ভাল্লুক, বনবিড়াল এবং বণ্য শুকর আয়ারল্যান্ডে গিয়ে বসতি গড়ে তোলে।

হিমবাহ গলতে শুরু করলে ৮,৫০০ বছর আগে আয়ারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের মধ্যকার ভূমি পানিতে তলিয়ে যায়। কিন্তু ব্রিটেন এবং ইউরোপের মধ্যকার ভূমি পানির নিচে যায় আরো পরে, ৬,৫০০ বছর আগে। এতে সাপেরা ইংল্যান্ডে প্রবেশে যথেষ্ট সময় পায়।

শুধু আয়ারল্যান্ডই নয়, বিশ্বের আরো অনেক দেশেই স্থানীয় প্রজাতির কোনো সাপ নেই। সেগুলো হলো- আইসল্যান্ড, গ্রিনল্যান্ড, হাওয়াই, নিউজিল্যান্ড, কানাডার একটি অংশ, উত্তর রাশিয়া এবং এন্টার্কটিকা।

ডাবলিনে অবস্থিত আয়ারল্যান্ডের জাতীয় যাদুঘরের প্রাকৃতিক ইতিহাসের কিপার নাইজেল মোনাঘান বলেন, “আয়ারল্যান্ডে কখনোই কোনো সাপ ছিল না। ফলে সেন্ট প্যাট্রিকেরও সাপ তাড়ানোর কোনো প্রয়োজন পড়েনি। ”

যুক্তরাষ্ট্রের লুইসিয়ানা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যবিজ্ঞান কেন্দ্রের লুইসিয়ানা পয়জন সেন্টারের পরিচালক মার্ক রায়ান বলেন, “আয়ারল্যান্ডে কোনো সাপ নেই কারণ তারা সেখানে বসতি গড়ে তুলতে পারেনি। সেখানকার জলবায়ু সাপদের বসতি গড়ে ওঠার অনুকূল ছিল না। ”

একমাত্র যে সাহসী সরীসৃপ প্রজাতিটি আয়ারল্যান্ডে বসতি গড়ে তোলে তারা হলো টিকটিকি। আয়ারল্যান্ডে বহিরাগত যে টিকটিকি দেখা যায় তাদের কোনো পা নেই। ফলে প্রায়ই এই টিকটিকিকে সাপ বলে ভুল করা হয়।

মজার বিষয় হলো কেলটিক টাইগারদের সময়ে ভিনদেশ থেকে আনা সাপ পোষাটা আয়ার‌ল্যান্ডে একটি মর্যাদার প্রতীক ছিল। কিন্তু অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হয়ে আসলে ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে লোকে সাপ পোষা বাদ দেন।

আরেকেটি মজার বিষয় হলো আয়ারল্যান্ডের লোকেরা স্বভাবগতভাবেই সাপকে ভয় পান। এবং লোকে সাপকে অশুভ এবং নোংরা প্রাণি হিসেবে গণ্য করেন। তাদের ধারণা সাপ ইভকে প্রলোভিত করে আয়ারল্যান্ড থেকে বের করে নিয়েছিল।


এলএবাংলাটাইমস/টি/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত