আপডেট :

        দীর্ঘ অভিজ্ঞতার পরও এড়ানো গেল না বিমান দু র্ঘ ট না

        স্বাস্থ্যসেবার কেন্দ্রেই অবহেলা স্বাস্থ্যবিধি

        পাকিস্তানের শোকবার্তা: ভারতীয় বিমান দু র্ঘ ট না

        পাচার হওয়া অর্থের তথ্য সংগ্রহে বড় চ্যালেঞ্জ: মন্তব্য

        এ টি এম আজহারুল: ‘জনসমর্থন থাকলে পালানোর প্রশ্নই ওঠে না’

        নির্বাচনী কাঠামো পরিবর্তন ছাড়া নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন অসম্ভব

        তারেক রহমান জানালেন ভারত বিমান দু র্ঘ ট না র জন্য শোক

        একতরফা নির্বাচন নিয়ে সরব জিএম কাদের

        আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারি হেলথ কেমন?

        জোভানের ‘আশিকি’ দখল করল ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষ স্থান

        ‘কোন একদিন’ দিয়ে ফিরলেন আফজাল-মৌ জুটি

        আমিরের সঙ্গে পর্দায় ফিরছেন জেনেলিয়া

        অবশেষে অনুদানের অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য শাকিব খান

        সমু চৌধুরী উদ্ধার: পুলিশ জানালো ঘটনার বিবরণ

        হামজারা এখনও এশিয়ান কাপের দৌড়ে টিকে আছে

        শান্তর মন্তব্য: টেস্ট ফাইনাল নয়, এখন মনোযোগ প্রক্রিয়ায়

        ফিফা র‍্যাংকিংয়ে উন্নতির ঝলক বাংলাদেশের নারী ফুটবলে

        শান্তর সরে দাঁড়ানো: ব্যাটিং ফোকাসেই সিদ্ধান্ত

        লেভানদোভস্কি-কোচ বিরোধ: পোল্যান্ড কোচ সরে দাঁড়ালেন

        ব্লেন্ডার ছাড়াই টিকিয়া বানানোর মজার রেসিপি

করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২০২

করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২০২


বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ইতোমধ্যে ৭০টিরও বেশি দেশে করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। প্রাণঘাতী হয়ে ওঠা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ২০২ জনে। অপরদিকে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ১৫৮।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ২৭০ জন। আর মারা গেছেন ২ হাজার ৯৮১ জন। চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণ কোরিয়ায় এবং সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন ইতালিতে। দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৩২৮ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৩২ জন। ইরানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৩৩৬ এবং মারা গেছে ৭৭ জন। অপরদিকে ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৫০২ এবং মৃত্যু হয়েছে ৭৯ জনের।

জাপানে নোঙ্গর করা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ৭০৬ জন যাত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৬ জন। জাপানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২৯৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। অপরদিকে, ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২১২ এবং মৃত্যু হয়েছে চারজনের।

এছাড়া জার্মানি, স্পেন, সিঙ্গাপুর, কুয়েত, বাহরাইন, যুক্তরাজ্যে, মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইজারল্যান্ডসহ ৭০টিরও বেশি দেশে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। নিউমোনিয়ার মত লক্ষণ নিয়ে নতুন এ রোগ ছড়াতে দেখে চীনা কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ঠিক কীভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছিল- সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। তবে ধারণা করা হচ্ছে, উহানের একটি সি ফুড মার্কেটে কোনো প্রাণী থেকে এ ভাইরাস প্রথম মানুষের দেহে আসে। তারপর মানুষ থেকে ছড়াতে থাকে মানুষে।

করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

নভেল করোনাভাইরাস এর কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন এখনো তৈরি হয়নি। ফলে এমন কোনো চিকিৎসা এখনও মানুষের জানা নেই, যা এ রোগ ঠেকাতে পারে। যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলাই আপাতত এই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত