চারটি ধাপ অনুসারে খুলবে ক্যালিফোর্নিয়ার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান: গভর্নর নিউসাম
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
করোনাভাইরাসের কারণে এখনো ক্যালিফোর্নিয়ার অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে৷ এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন রূপরেখা প্রনয়ণ করেছেন গভর্নর গেভিন নিউসাম। এই রূপরেখায় চারটি ধাপ অনুসারে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে খুলবে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গেভিন নিউসাম 'কালার কোডেড ক্লাসিফিকেশন সিস্টেম' প্রনয়ণের ঘোষণা দেন। সেই সাথে পূর্বের 'ওয়াচ লিস্ট' পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করেন তিনি।
গেভিন নিউসাম জানান, ওয়াইডস্প্রেড বা পার্পেল, সাবস্ট্যানশিয়াল বা লাল, মডারেট বা কমলা মিনিমাল বা হলুদ - এই চারটি ধাপ অনুসরণ করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের গতিবিধি ও সেই অনুযায়ী পদক্ষেপের রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে।
তিনি জানান, যেসব অঞ্চলে প্রতি এক লাখ বাসিন্দার মধ্যে সাতজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবে অথবা সংক্রমণের হার আট শতাংশ হবে তারা ওয়াইডস্প্রেড বা পার্পেল কালার কোডের অন্তর্ভুক্ত হবে। এই কোডের অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলের অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে।
যেসব অঞ্চলে এক লাখ বাসিন্দার মধ্যে চার থেকে সাতজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবে বা আক্রান্তের হার পাঁচ থেকে আট শতাংশ হবে, সেসব অঞ্চল সাবস্ট্যানশিয়াল বা লাল কোডের অন্তর্ভুক্ত হবে। এসব অঞ্চলে কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে।
এরপর যেসব অঞ্চলে এক লাখ বাসিন্দার মধ্যে এক থেকে তিনজন আক্রান্ত হবে বা সংক্রমণের হার দুই শতাংশের বেশি হবে, সেসব অঞ্চলকে মডারেট বা কমলা কোডের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এসব অঞ্চলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান কিছুটা পরিবর্তন করে খোলা যেতে পারে।
এছাড়া মিনিমাল বা হলুদ কোডে থাকবে সেসব অঞ্চল সংক্রমণের হার প্রতি লাখে একজন। সেখানে প্রায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি রয়েছে।
নতুন কালার কোড সিস্টেম অনুযায়ী, ক্যালিফোর্নিয়ার ৩৮ টি কাউন্টি রয়েছে পার্পেল এ, নয়টি কাউন্টির অবস্থান লালে, আটটি কাউন্টির অবস্থান কমলায় আর মাত্র তিনটি কাউন্টি রয়েছে হলুদ এ৷
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন