লস এঞ্জেলেসে জরুরি বিভাগের আসন সংকট, আগুনে ঘি ঢালবে বড়দিন
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
লস এঞ্জেলেসের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে বিপর্যস্ত রয়েছে রাজ্যটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। জরুরি বিভাগের আসন ও উপকরণ সংকট চলছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই। আর এই সংক্রমণের আগুন আরো উস্কে দিয়েছে বড়দিন।
বড়দিনের পর ক্যালিফোর্নিয়ায় আবারো নতুন করে সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বড়দিনে বাসিন্দাদের জনসমাগমের কারণে সংক্রমণ আরো বেড়ে যাবে বলে আশংকা করছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। তবে সংক্রমণ ঠিক কতোটা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে- সেটি নিশ্চিত হওয়া যাবে কয়েক সপ্তাহ পর।
এর আগে থ্যাংকসগিভিং হলিডের কারণে সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিলো। এর ফলে এখনো সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার হাসপাতালগুলোতে চাপ রয়ে গেছে। বড়দিনের কারণে আবারো নতুন করে চাপ সৃষ্টি হবে লস এঞ্জেলেসের হাসপাতালে।
ক্যালিফোর্নিয়ার অধিকাংশ কাউন্টির হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর জরুরি বিভাগের আসন পূর্ণ হয়ে গেছে কিংবা অল্প কিছু আসন খালি রয়েছে। টানা ১১ দিনের মতো হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আসন সংখ্যার হার ক্রমশ কমছে।
কাউন্টি হেলথ সার্ভিস ডিরেক্টর ক্রিস্টিয়ানা ঘ্যালি জানান, 'অধিকাংশ কাউন্টিতে জরুরি বিভাগের আসন খালি নেই বলে ঘোষণা করা হয়েছে'।
লস এঞ্জেলেসের হাসপাতালগুলোতে অল্প কিছু জরুরি বিভাগের আসন খালি রয়েছে। বড়দিনের প্রভাবে সেগুলোও খুব দ্রুতই পূর্ণ হয়ে যেতে পারে।
ক্রিস্টিয়ানা ঘ্যালি বলেন, ইতোমধ্যে লস এঞ্জেলেস কাউন্টির জরুরি বিভাগের ৯৬ শতাংশ আসন পূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে অনেক রোগীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এম্বুলেন্সে অপেক্ষা করে থাকতে হয়েছে।
তিনি জানান, প্রতিদিন অন্তত ৭৫০ জন বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
লস এঞ্জেলেসের '৯১১-ইমার্জেন্সি' হাসপাতালের মোট আসন ফাঁকা ছিলো ৭২৩টি। এর মধ্যে জরুরি বিভাগের আসন ফাঁকা ছিলো ৬৩টি। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য আসন ফাঁকা ছিলো ৪২টি ও শিশুদের জন্য খালি ছিলো ২১টি।
ক্রিস্টিয়ানা ঘ্যালি বলেন, লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে মোট ২ হাজার ৫০০টি নিবন্ধিত জরুরি বিভাগের আসন রয়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে প্রায় ২ হাজার ৬৬০ রোগীকে পালাক্রমে জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা রোগী দিয়েই ৩৭ শতাংশ আসন পূর্ণ হয়ে গেছে৷
জরুরি বিভাগের আসন সংকটের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উপকরণ সংকটও দেখা দিয়েছে। অক্সিজেন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ইতোমধ্যে প্রায় ফুরিয়ে গেছে৷
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন