লস এঞ্জেলসে মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক কেনো?
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
রবিবার (১৮ জুলাই) থেকে পুনরায় লস এঞ্জেলস কাউন্টিতে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহারের আদেশ কার্যকর হবে। ইতোমধ্যেই এই সিদ্ধান্তটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) কাউন্টি হেলথ অফিসার ড. মুন্টু ডেভিস ঘোষণাটি দেন। শনিবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট থেকে ঘোষণাটি কার্যকর হবে।
ডেভিস বলেন, ‘এখনো কাউন্টিতে পূর্বের ন্যায় লক্ষ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়নি। কিন্তু আমরা যদি এখনি কোন পদক্ষেপ না নেই, তাহলে সেটি চরম বোকামি হবে। কারণ, করোনার হার আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পাছে।‘
ডেভিস জানান যে কাউন্টিতে ভাইরাসটি আশংকাজনকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত সপ্তাহেও কাউন্টিতে প্রতি ১০০,০০ এর মধ্যে ৪.৮টি কেস পাওয়া যেত। বর্তমানে সেটি বৃদ্ধি পেয়ে ৭.১ এ দাঁড়িয়েছে। ভ্যাক্সিন নেয়নি এমন ব্যক্তিরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
লস এঞ্জেলস কাউন্টির ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ সার্ভিসেস-এর প্রধান ড. ক্রিশ্চিয়ানা ঘালি বলেন ‘কাউন্টির হাসপাতালে ভর্তি হওয়া করোনার রোগীদের মধ্যে কেউই ভ্যাক্সিন নেয়নি।‘
মঙ্গলবারে ড. ঘ্যালি বলেন ‘এখন পর্যন্ত আমরা এমন কোন রোগী পাইনি যারা ভ্যাক্সিনের সম্পূর্ণ ডোজ নেওয়ার পরেও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।পাশাপাশি, আমরা দেখতে পেয়েছি যে নতুন রোগীদের মধ্যে কেউই ভ্যাক্সিন নেয়নি।‘
রাজ্য ও কাউন্টি হতে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান দেখায় যে যারা ভ্যাক্সিন নেয়নি তাদের মধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট অতি দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে।
টেস্ট পজিটিভিটির হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বুধবারে টেস্ট পজিটিভিটির হার শতকরা ৩ দশমিক ৭ ভাগ ছিলো। বৃহস্পতিবারে তা বৃদ্ধি পেয়ে শতকরা ৩ দশমিক ৭৫ ভাগে পৌঁছিয়েছে।
ডেভিস ভ্যাক্সিনের কার্যকরিতার ওপর জোর দিয়েছেন। তাঁর মতে, যারা এখনো ভ্যাক্সিন নেয়নি তারাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির সম্মুখীন।
এখনো রাজ্যের ৪০ লক্ষ মানুষ ভ্যাক্সিন নেয়নি।
বর্তমানে রাজ্যের ১৬ বছর ও তাঁর বেশি ব্যক্তিদের মধ্যে এক ডোজ ভ্যাক্সিন নিয়েছে এমন মানুষের হার৬৯ শতাংশ আর পরিপূর্ণভাবে ভ্যাক্সিনেটেড মানুষের সংখ্যা ৬১ শতাংশের মত। ৬৫ বছর বা তাঁর বেশি বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে, ৮৮ শতাংশ ব্যক্তি এক ডোজ ও ৭৮ শতাংশ ব্যক্তি সম্পূর্ণ ভ্যাক্সিন নিয়েছে।
অনেকেই জানিয়েছে যে তারা এই সিদ্ধান্তটিতে অবাক হয়েছেন। সিদ্ধান্তটি নিয়ে জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে।
তুজুংগার বাসিন্দা ক্যারেন পারডু বলেন ‘আপনার মাস্ক ব্যবহারের ইচ্ছে থাকলে ব্যবহার করুন। আপনার করোনা নিয়ে ভয় থাকলে ঘরে থাকুন। এ সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকেই নারাজ। আমরা কেন সবাইকে নিজেদের মত চলতে দিচ্ছি না। আমার কাছে মনে হয় আমরা আবার লকডাউনের স্টেজে চলে যাবে।‘
সান বার্নাডিনোর বাসিন্দা ফ্রান্সিসকো ফেলিক্স বলেন ‘মাস্ক ব্যবহার করাটাই আমার স্বাভাবিক মনে হয়। নিজে সাবধান থাকার পাশাপাশি বাকিদেরও কথাও ভাবতে হবে।‘
এলএবাংলাটাইমস/এমডব্লিউ
শেয়ার করুন