কেন গির্জাকে রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিলেন ট্রাম্প
গির্জার যাজকদের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালনের সুযোগ দিয়ে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ এরইমধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ৪ মে ২০১৭ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডে অব প্রেয়ারে ট্রাম্প এ নির্বাহী আদেশ জারি করেন। এর মধ্য দিয়ে গির্জাসহ খ্রিস্টানদের অন্যান্য ধর্মীয় সংগঠনগুলো রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ পাবে। প্রশ্ন উঠেছে, ঠিক কি কারণে ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত? বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প এই সংশোধনী চেয়েছিলেন কারণ তিনি দক্ষিণপন্থী খ্রিস্টানদের দ্বারা প্রভাবিত।
মার্কিন প্রশাসনের দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স-ও ব্যক্তিগতভাবে খ্রিস্টবাদের প্রতি আসক্ত। ট্রাম্পের ওপর তার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে।
ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশের ফলে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় গির্জাগুলো করমুক্ত সুবিধা পাবে। ১৯৫০-এর দশকের জনসন অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্টের আওতায় ধর্মীয় নেতাদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়। এর ফলে করমুক্ত সুবিধা বাদ দেওয়া ছাড়া ধর্মীয় নেতারা রাজনৈতিক প্রার্থীকে সমর্থন বা বিরোধিতা করতে পারতেন না। ট্রাম্পের নতুন আদেশ অনুযায়ী জনসন অ্যামেন্ডমেন্ট প্রয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বিবেচনা অবলম্বন করতে হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করা এক ধরনের অর্থনৈতিক শাস্তি। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে আমন্ত্রিত ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ট্রাম্প। এ সময় তিনি বলেন, ‘এখন আপনারা বলার মতো অবস্থানে রয়েছেন। আমি জানি আপনি ভালো কিছুই বলবেন। স্বাধীনতা সরকারের উপহার নয়, এটা ইশ্বরের উপহার।’
প্রমোটিং ফ্রি স্পিচ অ্যান্ড রিলিজিয়াস লিবার্টি (মুক্তমত ও ধর্মীয় স্বাধীনতার উন্নয়ন) নামের আদেশে স্বাক্ষর করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের দেশের ইতিহাসে বিশ্বাসের জায়গাটি গভীরভাবে গাঁথা আছে। তবে আমরা কখনও ধর্মীয় বৈষম্যকে সমর্থন করবো না।’ তবে নির্বাচনি প্রচারণা থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ট্রাম্প মুসলিমবিরোধী যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন এতে করে তার প্রশাসনের ধর্মীয় বৈষম্য সমর্থন না করার বক্তব্য সাংঘর্ষিক।
শেয়ার করুন