সিলেটের গোয়াইনঘাটে পাহাড়ী ঢল সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
পাহাড়ী ঢল
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় পাহাড়ী ঢলের পানিতে সর্বত্র তলিয়ে গেছে। অধিকাংশ এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কয়েক হাজার হেক্টর জমির আউশ-ইরি ও সবজি চাষের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে। দেশেরে বৃহত্তম দু’টি পাথর কোয়ারী থেকে উত্তোলনসহ সকল প্রকার কার্যক্রম বন্দ থাকায় লক্ষাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। অবিরাম বৃষ্টি আর ভারত থেকে নেমে আসা পিয়াইন ও সারী নদী’র ঢলে উপজেলার সর্বত্র প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রোপা আউশ ও আউশের বীজতলা এবং রোপা আউশ ও ইরি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে। পাশাপাশি দেশের বৃহত্তম জাফলং ও বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারী দুটি বন্দ রয়েছে। পিয়াইন ও সারী নদী দিয়ে আসা ঢলে উপজেলার পুর্ব জাফলং ইউনিয়ন, আলীরগাঁও ইউনিয়ন, রুস্তমপুর ইউনিয়ন, ডৌবাড়ী ইউনিয়ন, লেঙ্গড়া ইউনিয়ন, তোয়াকুল ইউনিয়ন, নন্দীরগাও ইউনিয়ন ও পশ্চিম জাফলংসহ সর্বত্র পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দি রয়েছেন। তাছাড়া উপজেলার সদরের সাথে যোগাযোগের দুটি রাস্তা সারী-গোয়াইন ও সালুটিকর- গোয়াইনঘাট রাস্তার বিভিন্নস্থানে সড়কের অংশ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চর্তুদিকে পানি থাকায় এবং অবিরাম বৃষ্টির কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি খুবই কম।জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সালাউদ্দিন জানান প্রত্যেক ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা সংগ্রহ করে জেলা প্রশাসকের বরাবরে ত্রাণের জন্য লিখিত পত্র প্রেরণ করব এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দিয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছি। এছাড়া জাফলং চা-বাগানের চা-শ্রমিকদের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করেছি। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী জানান, বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন অব্যাহত রাখছি।
শেয়ার করুন