৩১ ঘণ্টা পর সিলেটের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
অবশেষে প্রায় ৩১ ঘণ্টা পর বিদ্যুতের আলো জ্বলল সিলেটের কয়েকটি এলাকায়। প্রথমে নগরীর আম্বরখানা ও টিলাগড় এলাকায় বিদ্যুৎ এলেও পরে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে নগরীর জিন্দাবাজারসহ আশপাশের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে বুধবার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ) খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন বলেন, সন্ধ্যা ৫টা ৫৪ মিনিটের দিকে প্রথমে আম্বরখানা ও টিলাগড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। পরে জিন্দাবাজারসহ কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। দ্রুত বাকি সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
তিনি বলেন, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটলেও ওই এলাকার ফিডগুলো কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করে এগুলো সচল করা হয়েছে।
বুধবার বিকালে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ) খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকে প্রায় ৪০০ কর্মী কাজ করছেন। মেরামত করা কিছু পিলার পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব বাকি এলাকা বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে আগুন লাগার পর বিদ্যুৎহীন হয় সিলেট শহরসহ বিভাগের বেশ কয়েকটি অঞ্চল। এরপর প্রায় ৩০ ঘণ্টা চলে গেলেও আসেনি বিদ্যুৎ। আর তাতে সময়ে সময়ে বেড়েছে ভোগান্তি। বিশেষ করে সিলেট নগরে বাসাবাড়িতে দেখা দিয়েছে পানির তীব্র সংকট। প্রয়োজন মেটাতে লোকজন বালতি, ড্রাম কিংবা কলসি নিয়ে ছুটে চলছেন পানির সন্ধানে। যেখানে টিউবওয়েল আছে সেখানেই ভিড় করছেন মানুষ।
বুধবার নগরীর অধিকাংশ জায়গা ঘুরে দেখা গেছে পানির সংকট। এ সংকট মেটাতে শিশু, কিশোর-বৃদ্ধ, নারী থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ অন্যত্র ছুটছেন পানির জন্য। বিশেষ করে পাড়ার ভেতরে যেসব বাসায় জেনারেটর আছে ওই বাসায় ভিড় করছেন পানির জন্য। আবার পাড়ার ভেতরে কোথাও টিউবওয়েল থাকলে মিলছে কিছুটা স্বস্তি; বাদ পড়ছে না পুকুরও।
মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে সিলেটের আখালিয়ার কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে আগুন লাগার পর থেকেই এ অবস্থা। আগুন লাগার দুই ঘণ্টা পর বেলা পৌনে ১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এস
শেয়ার করুন