৮ জুলাই ঢাকায় আসছেন তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পপ্রধান হালুক গরগুন
উই হ্যাভ নাথিং টু হাইড: সিলেটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ঘোষণা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়ে কোনো সমস্যা নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, ‘(বিদেশি পর্যবেক্ষক) আমরা অ্যালাউ করবো। উই হ্যাভ নাথিং টু হাইড (আমাদের গোপন করার কিছুই নেই)।’ সিলেটে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশিদের ‘মাতব্বরি’ দরকার নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ড. মোমেন বলেন, ‘আমেরিকার ৭২ পার্সেন্ট জনগণ মনে করে আমেরিকার ডেমোক্রেসি খুব দুর্বল। আর দেশটির রিপাবলিকান পার্টির ৭৭ পার্সেন্ট মনে করে যে, গত প্রেসিডেন্সি ইলেকশন ছিল ফ্রড ইলেকশন এবং দে হ্যাভ স্টোলেন দ্য ইলেকশন। এইরকম তাদের মনমানসিকতা। আমাদের দেশেও কিছু লোক এই ধরনের আছে।’
‘ওই দেশে অ্যাভারেজ কতোজন লোকে ভোট দেয়? পঞ্চাশের নিচে ভোট দেয়। আর আমাদের দেশে ৭২, ৮০, ৯০ পার্সেন্ট লোকে ভোট দেয়। আমাদের দেশে ইলেকশন অংশগ্রহণমূলক হয়, স্বতঃস্ফূর্ত হয়। ওইসব দেশে ইলেকশনের এক মাস আগে ক্যাম্পেইন শুরু হয়, আমাদের এক বছর আগেই শুরু হয়ে যায়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই দেশের সৃষ্টি হয়েছিল গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। যখন (সত্তরের নির্বাচনে) আওয়ামী লীগ মেজরিটি পেল, তাদেরকে সরকার গঠন করতে দিল না। তখনই তো আমরা আন্দোলন শুরু করলাম। তারপর জেনোসাইড হওয়ার পর আমরা স্বাধীনতা ঘোষণা করলাম। আমাদের (দেশের) জন্ম হয়েছে ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান জন্য, তুলে ধরার জন্য। এই দেশের প্রত্যেক মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এই প্রিন্সিপলগুলো আছে। সো আমাদেরকে অন্যরা মাতব্বরি করে এই পরামর্শ দেওয়ার দরকার নাই। উনারা নিজেদের আয়নায় দেখুক। তবে আমরা অঙ্গিকার করেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অঙ্গিকার করেছেন যে, আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক, সবাইকে নিয়ে আমরা করতে চাই, যারা নির্বাচনে আসবেন।’
‘আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করি, আমার দল বিশ্বাস করে, আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব।’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘অন্যরা মাতব্বরি করতে পারেন। কিন্তু দে শ্যুড ফলো আস, আওয়ামী লীগ সবসময় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করেছে। সুতরাং ওই সম্পর্কে উনারা যে বিভিন্ন সন্দেহ পোষণ করেন, তাদের ইতিহাস সম্পর্কে অভিজ্ঞতার অভাব, জ্ঞানের অভাব। এবং তারা হয়তো জিনিসগুলো ঠিকমতো পর্যবেক্ষণ করছেন না বলে অনেক সময় অনেকগুলো অবান্তর বক্তব্য দিয়ে থাকেন। আমি আশা করবো, তারা আমাদের ইতিহাস পড়ুক আর আমাদের চলার পথটা দেখুক। যেই দেশটা হচ্ছে ডেমোক্রেসির একটা কেন্দ্রবিন্দু।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন