পরীক্ষা শেষ হওয়ার আনন্দে ভাগিনা-ভাগিনীকে নিয়ে মামার এক হাস্যকর আগমন
ভাগিনা-ভাগিনীর বার্ষিক পরীক্ষার শেষ দিন আজ। এই কথা শোনার পর আনন্দে হাতি নিয়ে স্কুলে হাজির হয়েছেন মামা। স্কুলের আঙ্গিনায় হাতির পিঠে উঠে আনন্দ উপভোগ করেন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা। বাড়তি আনন্দ উপভোগ করতে থাকেন একে একে সবাই।
গতকাল বুধবার মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আম্বিয়া কিন্ডার গার্টেন স্কুলে দেখা যায় এমন চিত্র। প্রায় সময় উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় হাতি নিয়ে ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষকে আনন্দ দেন হাতির মালিক সালমান।
হাতির মালিক সালমান বলেন, আমাদের দুটি হাতি। প্রায় সময় আমি ও মাহুত এভাবে ঘুরে ঘুরে সবাইকে আনন্দ দেই। তবে কারো থেকে আমরা টাকা নেই না। কমলগঞ্জ পৌর এলাকায় প্রতিষ্ঠিত আম্বিয়া কিন্ডার গার্টেনে আমার ভাগিনা-ভাগিনী পড়াশোনা করে। তাদের বার্ষিক পরীক্ষার শেষ দিন ছিল বুধবার। সেই খবর জেনে আমি মাহুতের সহযোগিতায় হাতি নিয়ে সেখানে যাই। ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুলের বাইরে বের হয়। তখন তাদেরকে হাতির মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্গ ভঙ্গি দেখিয়ে আনন্দ দেই। পরে আমার ছোট ভাগনী ও ভাগিনাকে হাতির উপরে বসিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসি। আসার পথে শত শত মানুষ হাতি ও আমাদের ছবি তোলে। তিনি আরও বলেন, আমরা হাতিকে বিভিন্ন জায়গায় সার্কাস ও গাছ টানার কাজে ব্যবহার করে থাকি।
অভিভাবকরা জানান, খুব ভালো লাগছে। শেষ পরীক্ষায় এ আনন্দটা আমাদের বাচ্চাদের দেওয়ার জন্য।
আম্বিয়া কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আসলে এখন হাতির সংখ্যা খুব কম। এক সময় হয়তো বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আমাদের স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষার শেষ দিন ছিল বুধবার। প্রায় সময় দেখি শখের বসে হাতির মালিক ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষদের আনন্দ দিয়ে থাকেন। তার ভাগনী ও ভাগিনা আমাদের স্কুলে পড়াশোনা করে। পরীক্ষা শেষের খবর শুনে তিনি হাতি নিয়ে আমাদের স্কুলে হাজির হন। তখন আমাদের বাচ্চারা বাড়তি আনন্দ উপভোগ করে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন