আপডেট :

        লিভারপুল ও পর্তুগালের তারকা দিয়াগো জোতা গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত

        জুলাই সনদের দাবিতে অনড় এনসিপি, নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না: নাহিদ

        প্রধানমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতিমন্ত্রী: পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার নতুন ভূমিকা

        বিটিএস ফিরছে পুরো দমে: ২০২৬-এ নতুন গান ও গ্লোবাল ট্যুরের প্রতিশ্রুতি

        ‘কফি খাচ্ছিলাম, চিল করছিলাম—হঠাৎ দেখি পাঁচ উইকেট নেই’

        দুপুরে আজ জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

        পহেলগাম হামলার পর নিষেধাজ্ঞা শিথিল, পাকিস্তানি সেলিব্রিটিদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্সেস ফিরল

        করোনার টিকা নিরাপদ, আকস্মিক মৃত্যুর গুজবে জবাব দিল গবেষণা

        জুলাই বিপ্লবের গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ কিছু মানুষঃ বাঁধনের আক্ষেপ

        শুঁটকি পিৎজা: উত্তরায় ঢাকার খাবারের নতুন ট্রেন্ড সেট করছে

        অর্থ উপদেষ্টার বিপাকে পড়ার কারণ এনবিআর নিয়ে প্রকাশিত খবর

        বাংলাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী জীনাত রেহানা প্রয়াত হয়েছেন

        টাইগারদের শক্তিশালী শুরু: প্রথম সেশনেই তিন উইকেটের ধাক্কা

        ট্রাম্পের বাজেট বিল নিয়ে মাস্কের তীব্র সমালোচনা: শত্রুতার শুরু

        স্বৈরাচারের ছায়া মুছে ফেলতে তৎপর সমাজ

        ধর্ষকের শাস্তি সবার সামনে হোক: সোহম

        বায়ার্নের দাপটে বিদায় ব্রাজিলের ফ্ল্যামেঙ্গো, পিএসজির মুখোমুখি কোয়ার্টারে

        ধর্ষণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুরাদনগরে রাজনৈতিক উত্তেজনা: কে দায়ী?

        ইরানের কঠোর হুঁশিয়ারি: ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি

        এশিয়া কাপের সম্ভাব্য সূচি জুলাইয়ে প্রকাশিত হবে

উত্তরাঞ্চলের কৃষকদের ঘরে নেই ঈদ আনন্দ

উত্তরাঞ্চলের কৃষকদের ঘরে নেই ঈদ আনন্দ

দেশের উত্তরাঞ্চলের কৃষক পরিবারে এবার ছোবে না ঈদের আনন্দের ন্যুনতম পরশ। ঈদ আনন্দ এবার তাদের ফিঁকে হয়ে গেছে। বোরো আবাদই সারা বছরের খাদ্য নিরাপত্তা দেয় তাদের। সেই বোরো ধানেই প্রতি মণে লোকসান গুনতে হচ্ছে কমবেশি ৩৪০ টাকা। ঋণ-ধার-দেনা করে লাগানো ধান আবারও একই পদ্ধতিতে টাকা লগ্নি নিয়ে করতে হচ্ছে কাটা-মাড়াই। ঈদে পরিবারের পরিজনের নতুন পোশাক, ভালো খাবারের আয়োজনের ফুরসত তো নেইই; রাজ্যের চিন্তা-উৎকণ্ঠা-শংকায় হাপিত্যেস উঠে গেছে কৃষক কর্তার। চোখে সরষে ফুল দেখছেন তারা।

এবার এই অঞ্চলের প্রায় ১৫ লাখ হেক্টর জমি থেকে প্রায় ৭৭ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে। উৎপাদন খরচের চেয়ে ধানের দাম প্রায় ৪৫ ভাগ কম হওয়ায় এই অঞ্চলের প্রায় ২০ লাখ কৃষকের মাথায় এবার লোকসানের বোঝা দাড়িয়েছে পৌনে ছয় হাজার কোটি টাকার ওপরে। গড়ে প্রতি হেক্টর জমি আবাদে লোকসান হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। পরিস্থিতি উত্তরণে ধান কেনার সরকারি দর বাড়িয়ে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একই দাবিতে মাঠেও চলছে আন্দোলন।

দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলা কৃষি বিভাগের রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া ও রাজশাহী কৃষি অঞ্চল নিয়ে গঠিত। এই অঞ্চল থেকে উৎপাদিত ধানই সারাবছর সারাদেশের চালের চাহিদা পুরণ করে। কিন্তু এবার বাম্পার ধান ধান ফলিয়ে উৎপাদন খরচের চেয়ে প্রতিমনে কমবেশি ৩৯০ টাকা লোকসানের কারনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। বিশেষ করে ঈদ-উল-ফিতর এর সময় এই লোকসান তাদের নাওয়া খাওয়া হারাম করে দিয়েছে।

 খামার বাড়ি থেকে পাওয়া তথ্য মতে, এবার রংপুর কৃষি অঞ্চলের গাইবান্ধায় ১ লাখ ৩১ হাজার ২০০ হেক্টর, কুড়িগ্রামে ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৯১ হেক্টর, লালমনিরহাটে ৪৮ হাজার ১৫০ হেক্টর, নীলফামারীতে ৮৩ হাজার ৬৪৫ হেক্টর ও রংপুরে এক লাখ ৩০ হাজার ৮৭০ হেক্টর; দিনাজপুর কৃষি অঞ্চলের দিনাজপুরে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৩২৪ হেক্টর, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬২ হাজার ৩৬০ হেক্টর ও পঞ্চগড়ে ৩৫ হাজার ৪৬০ হেক্টর; বগুড়া কৃষি অঞ্চলের বগুড়ায় এক লাখ ৮৮ হাজার ১০০ হেক্টর, জয়পুরহাটে ৭২ হাজার ১৫০ হেক্টর, পাবনায় ৫৮ হাজার ৬৫ হেক্টর ও সিরাজগঞ্জে এবছর এক লাখ ৪১ হাজার ৮০ হেক্টর এবং রাজশাহী কৃষি অঞ্চলের রাজশাহীতে ৭০ হাজার ১৮০ হেক্টর, নাটোরে ৬১ হাজার ৪৩৫ হেক্টর নওগাঁয় এক লাখ ৮৯ হাজার ৫৩৫ হেক্টর, ও চাপাইনবাবগঞ্জে ৫০ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে এবার বোরোর আবাদ হয়েছে। সে হিসেবে উত্তরাঞ্চলের এই ষোল জেলায় এবার আবাদ হয়েছে ১৪ লাখ ৮৬ হাজার ২৩ হেক্টর অর্থাৎ ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৭৬ দশমিক ৮১ একর ( প্রতি হেক্টর ২ দশমিক ৪৭ একর হিসেবে) জমিতে।

কৃষি বিভাগ এবং মাঠ পর্যায়ে কৃষকের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, গড়ে প্রতি হেক্টরে ৪ দশমিক ৫০ মেট্রিক টন একরের হিসেবে ১ দশমিক ৮২ মেট্রিক টন এবং মনের হিসেবে ৪৫ দশমিক ৫ মন ধান উৎপাদন হয়েছে এবার এই অঞ্চলের জেলাগুলোতে। সে হিসেবে এই অঞ্চলে এবার ধান উৎপাদন হওয়ার কথা ৬৬ লাখ ৭৮ হাজার ৩৫ মেট্রিক টন। যা মনের হিসেবে দাড়ায় ১৬ কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার ৮৭৫ মন। কৃষি বিভাগের ভাষ্যমতে, যার উৎপাদন মুল্য প্রতি মন কমবেশি ৭৯১ টাকা হিসেবে ১৩ হাজার ২০৫ কোটি ৮১ লাখ ৪২ হাজার ১২৫ টাকা। বিপরীতে এই পরিমাণ ধানের বর্তমান বাজার মূল্য গড়ে কমবেশি ৩৪১ টাকা হিসেবে ৭ হাজার ৫১২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭৫০ টাকা। অর্থাৎ কৃষকের এবার বোরোতে লোকসান ৫ হাজার ৬৯৩ কোটি ২ লাখ ৪৮ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা। গড়ে যারা ১ হেক্টর জমি আবাদ করেছেন তাদের লোকসান হয়েছে ৩৮ হাজার ৩১০ টাকা। প্রতি মনে এই লোকসান দাড়িয়েছে ৩৪১ টাকার ওপরে।

উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার কৃষকদের সাথে মাঠ পর্যায়ে কথা বলে এবং সিএসডি নামের একটি জরিপ প্রতিষ্ঠানের গবেষণা রিপোর্টের তথ্যমতে, এই অঞ্চলে এবার এক একর জমির ধান চাষ থেকে গোলায় তুলতে কম বেশি ৩৬ হাজার টাকা খরচা হয়েছে। এরমধ্যে চাষ করতে ৪ হাজার ২০০, বীজ কিনতে ৩ হাজার ৬০০, সেচ বাবদ ৪ হাজার ৩০০, রোয়া লাগাতে ৩ হাজার ৫০০, সার বাবদ ৫ হাজার ২০০, ওষুধ বাবদ ৪ হাজার, নিড়ানীতে ৫ হাজার, ধান কাটা ৮ হাজার ২০০ এবং মাড়াইয়ে ১ হাজার ২০০ টাকার মতো খরচ হয়।

কৃষি বিভাগ, গবেষণা রিপোর্ট ও নয়া দিগন্তের অনুসন্ধানে জানা গেছে,  গড়ে এক হেক্টর করে জমি আছে এই অঞ্চলের কৃষকদের। সে হিসেবে প্রায় ২০ লাখ কৃষক আছে এই অঞ্চলে। এরমধ্যে ৫ লাখ কৃষক আছেন এমন যাদের নিজস্ব জমি নেই; তারা বন্দক, বরগা ও লীজ নিয়ে চাষ করেন। ধানে লোকসানের কারণে তারা এবার ঈদের সকল ধরনের কেনাকাটা থেকে বিরত রয়েছেন।

কৃষকদের ভাষ্য মতে, তাদের নিজস্ব মুলধন তেমন একটা থাকে না। আবাদের শুরুতে তাঁরা ধানের ওপর টাকা নিয়ে, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে, কারো কাছ ধারদেনা করে আবাদ করেন। কাটামড়াই করে সেই টাকা শোধ দিয়ে বাকি ধান গোলায় তোলেন। সেই ধান থেকে চাল এবং ধান বিক্রি করে তরিতরকারি, সাংসারিক খরচ, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালান তারা আমন আবাদ না আসা পর্যন্ত। কিন্তু এবার পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। ঋণ-ধারদেনা শোধ তো দুরের কথা, জমিতে বাম্পার সোনালী ধান কাটতে হচ্ছে নতুন করে টাকা লগ্ন্ নিয়ে। ফলে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এবার আনন্দের বদলে নিরানন্দ নিয়ে এসেছে কৃষক পরিবারগুলোতে। নতুন জামা কাপড় কেনার তো কোন পরিস্থিতি নেই। ঈদের দিন ভালো খাবারের আয়োজনও তারা করতে পারছেন না। সব চাপ পড়ে গেছে কৃষক কর্তা-কর্তির ওপর।

কৃষকদের সাথে কথা বলে এবং গবেষণা রিপোর্টের তথ্যমতে, নতুন জামা কাপড় আর ভালো খাবারে ঈদের আনন্দ এবার নাই বা হলো। সেটার রেশ কৃষক পরিবারে হয়তো থাকবে ৪ থেকে ৫ দিন। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি শংকা সংকটের শংকা ভর করেছে সেই সব কৃষক কর্তার ওপর- যাদের ছেলেমেয়েরা দেশের বিভিন্নস্থানে বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে পড়া লেখা করে। ধান বিক্রি করা টাকা দিয়েই মুলত: তাদের পড়ালেখার যোগান দেয়া অভিভাবকরা। কিন্তু এবার তো ধান উৎপাদনে ধারদেনা মুল ধন শোধ করতেই পারবেন না তারা। তাহলে ছেলে মেয়েদের পড়ালেখার টাকা জোগান দিবেন কিভাবে তারা। অনেক কৃষক বোরো ধান তুলে মেয়ের বিয়ে দেন। অনেক কৃষক মেয়ের বিয়ে আগে দেন, তারা বোরো ধান ওঠার পর বিয়ে তুলে দেন। এসব কিছুর পেছনেই থাকে ধান বিক্রির টাকার যোগান। কিন্তু এবার এ ধরনের কৃষকদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। কি করবেন তারা, ভেবে কুল কিনারা পাচ্ছেন না। সেকারনে ঘটকদের মাধ্যমে পাত্রপক্ষের সাথে ইতোমধ্যেই তাদের অপারগতার কথা জানিয়ে সময় চেয়ে নিচ্ছেন।

 কৃষকদের এই পরিস্থিতি উত্তরণে প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন কৃষকদের ধান কেটে দিচ্ছেন। কিন্তু সেটা চাহিদার তুলনায় একেবারেই কম। যা কৃষকের কোন উপকারে আসছে না। ফটো ও ভিজ্যুয়াল ফ্রেমে বন্দি হয়ে তা বিভিন্ন আলোচনা সমালোচনার ঝড় তুলছে ঠিকই, কিন্তু কৃষকের সমস্যা সমাধানে কোন কাজে আসছে না। এমন পরিস্থিতিতে দিশেহারা কৃষক সরকারের কাছে সরাসরি তাদের কাছ থেকে ধান কেনার দাবি জানিয়ে উত্তরাঞ্চলের মাঠে ময়দানে প্রতিদিন বিক্ষোভ সমাবেশ মিছিল করছেন। রাস্তায় ধান ফেলে জমিতে আগুন দিয়ে নানাভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। কিন্তু কোনভাবেই টনক নড়ছে না সরকারের।

কৃষকের এই সমস্যা সমাধানের সুশাসনের জন্য নাগরিক রংপুর মহানগর শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ ফখরুল আনার বেঞ্জু নয়া দিগন্তকে জানান, ধানে লোকসানের কারনে উত্তরের কৃষকরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। তাদের বাঁচাতে হবে। আমরা বার বার সরকারকে বলছি, পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। এজন্য কৃষকদের ঘরে গিয়ে ধান ক্রয় করুন। প্রয়োজনের ধান ও চালের সরকারি ক্রয় মুল্য বাড়িয়ে দিয়ে কেনাকাটা করুন। তা না হলে দেশের কৃষি খাত হুমকির মুখে পড়বে। কৃষক না বাঁচলে কৃষি বাঁচবে না। কৃষি না বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে না। কৃষকের এই পরিস্থিতি উত্তরণে কোন ধরনের কাল বিলম্ব না করে তিনি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ত্বড়িত পদক্ষেপ দাবি করেন।

 রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ নয়া দিগন্তকে জানান, এবারের পরিস্থিতি সরকারের জন্য একটি বড় সিগনাল। এজন্য আমাদের পুরো কৃষি ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে হবে। পরিকল্পিতভাবে ঢেলে সাজাতে হবে কৃষি ব্যবস্থাপনাকে। আমাদের চাহিদা কতটুকু, উৎপাদন হয় কতটুকু। সেটার সঠিক পরিসংখ্যান থাকতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি উত্তরণে ব্যাপকভাবে সরাসরি কৃষক পর্যায় থেকে ধান কিনে সরকারকে গুদামজাত করতে হবে। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। সরকারিভাবে ধান কেনা কাটার প্রক্রিয়ায় গলদ থাকার কারনে কৃষক সরকারি মুল্য পাচ্ছে না। মধ্যস্বতভোগি ব্যবসায়িরা পুরো মুনাফা লুটে নিচ্ছেন। তারা সিন্ডিকেট করে দেশের কৃষি খাতকে অকার্যকর করার পাঁয়তারা করছেন। সরকারকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ ব্যপারে ব্যবস্থা নিতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতি উত্তরণে ব্যাপকভাবে সরাসরি দাম বাড়িয়ে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার পরামর্শ তার।

সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের দাবি দাওয়া নিয়ে মাঠে সরব বিভিন্ন সংগঠন। এরমধ্যে রংপুর জেলা বাসদের আহ্বায়ক কমরেড আব্দুল কুদ্দুস নয়া দিগন্তকে জানান, আমরা গত দেড়মাস থেকে মাঠে চিৎকার করে সরকারকে বলছি, কৃষকদের বাঁচান। সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনেন। কিন্তু সরকার সে কথা শুনছে না। উল্টো সিন্ডিকেটের কাছে মাথানত করে বসে আছে।  এভাবে দেশের কৃষি খাতকে কোনভাবেই বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে না সরকার। যত টাকা ভুর্তকি যাক না কেন দাম বাড়িয়ে কৃষকদের কাছ থেকে সরকারকে সরাসরি ধান ক্রয় নিশ্চিত করতে হবে।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত