গুলশান হামলায় ব্যবহৃত রাইফেল পশ্চিমবঙ্গের তৈরি!
গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় ব্যবহৃত রাইফেল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায় তৈরি করা হয়।
খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ঘটনায় সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) অভিযানে আটক ছয়জনের মধ্যে একজন একথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।
খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ঘটনায় সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে জেএমবির সন্দেহভাজন ছয় সদস্যতকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের একজন বাংলাদেশের ত্রিশালে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ‘হোতা’ আনোয়ার হোসেন ফারুক বলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার একজনের দেয়া তথ্যে গুলশান হামলার অস্ত্র কারখানার হদিস মিলছে বলে এনআইএ কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন। গ্রেপ্তার সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীর ভাষ্যমতে, পাকিস্তানি উপজাতীয় বন্দুকনির্মাতা গোপনে মালদহ ভ্রমণ করেন মুঙ্গেরের বন্দুকনির্মাতাদের প্রশিক্ষণ দিতে। যারা এই সীমান্তবর্তী জেলায় একে-২২ রাইফেল তৈরির ক্ষেত্র স্থাপন করেছে। এইসব অস্ত্র চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা দিয়ে বাংলাদেশে চোরাচালান করা হয়।
এনআইএ সন্দেহ করছে, ওই বন্দুক নির্মাতা ও প্রশিক্ষক ‘দারা আতম খেল’ সম্প্রদায় থেকে এসেছে। যারা পেশোয়ার ও কোহাতের মধ্যবর্তী একটি গ্রামে বসবাস করে। এই সম্প্রদায়ের লোকজন অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরি করে তালেবানদের সহায়তা করে থাকে।
এনআইয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘আমরা এখনো নিশ্চিত না। তবে আটকরা সন্দেহভাজনের ভাষার যে বর্ণনা দিয়েছে তাতে এটা ধারণা করছি জায়গাটি খাইবার পশতুনখাওয়া প্রদেশের একটি গ্রামের।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিশ্চিত করেছে যে হলি আর্টিজানে ব্যবহৃত অস্ত্র সীমান্তের বাইরে থেকে এসেছে। বিহার পুলিশ এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে অনুসন্ধান শুরু করেছে বলে জানান ওই এনআইএ কর্মকর্তা।
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর বর্ধমান জেলার একটি বাড়িতে বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে যা খাগড়াগড় বিস্ফোরণ নামে পরিচিত।
গত ১ জুলাই জঙ্গিরা হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে ২০ জন দেশি-বিদেশি নাগরিককে হত্যা করে। তাৎক্ষণিক অভিযান চালাতে গিয়ে নিহত হন পুলিশের দুজন কর্মকর্তা। ২ জুলাই সকালে সেনা কমান্ডোরা অভিযান চালিয়ে হলি আর্টিজান থেকে ১৩ জনকে উদ্ধার করেন। কমান্ডো অভিযানে হামলায় জড়িত পাঁচ জঙ্গি নিহত হন।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
শেয়ার করুন