সালমার তিন বিয়ে ও বিতর্ক: ফিরে দেখা জীবনের গল্প
১৯৭০–৮০ দশকে বলিউডে এমন অনেক অভিনেত্রী ছিলেন, যাঁরা মাত্র একনজরেই দর্শকের মন কাড়তে পারতেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সালমা আগা। তিনি ছিলেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা রাজ কাপুরের ভাগনি, যিনি ক্যারিয়ার শুরুর পরই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। বি আর চোপড়া পরিচালিত ‘নিকাহ’ চলচ্চিত্র দিয়ে তিনি তুমুল সাড়া ফেলেন, যা শুধু গল্পের কারণে নয়, বিতর্কের কারণে একই সঙ্গে আলোচনায় আসে।
‘নিকাহ’: ইতিহাস গড়া সিনেমা
সালমা আগার পরিচিতি আসে ‘নিকাহ’ দিয়ে, যা তিন তালাকের সংবেদনশীল বিষয়কে কেন্দ্র করে নির্মিত। সিনেমাটির বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা হয়, যেখানে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবু এটি ব্যবসায়িক দিক থেকে বিপুল সাফল্য অর্জন করে, ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রযোজনার খরচের ১২৫ গুণ আয় করে। রাজ বাব্বর ও দীপক পরাশরের সঙ্গে সালমার অভিনয় তাঁকে রাতারাতি তারকা বানায়।
শুরুর গল্প
মূলত সালমা আগার বলিউড অভিষেক হওয়ার কথা ছিল রাজ কাপুরের ‘হিনা’ সিনেমায় ঋষি কাপুরের বিপরীতে।
কিন্তু পরিবারের আপত্তির কারণে সেটি হয়নি। কারণ, ঋষি কাপুর তাঁর কাজিন। আর তাঁর সঙ্গে পর্দার রোমান্স পরিবারে গ্রহণযোগ্য ছিল না। এর ফলে ছবিতে নেওয়া হয় জেবা বকতিয়ারকে।
সালমা নিজের সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবন ছিল উত্থান-পতনে ভরা। তিনি একাধিক প্রেমের সম্পর্কের মধ্যে ছিলেন, যদিও সব সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। প্রথম পরিচিত প্রেম ছিল নিউইয়র্কের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে, যা স্বল্প সময়ে শেষ হয়। পরবর্তী সময় পাকিস্তানি অভিনেতা মেহমুদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, তা–ও অল্প স্থায়ী।
সালমা তিনবার বিয়ে করেছেন, কিন্তু সংসার স্থায়ী হয়নি। প্রথম বিয়ে ১৯৮১ সালে, পাকিস্তানি অভিনেতা জাভেদ শেখের সঙ্গে; ছয় বছর পর আলাদা হয়ে যান তাঁরা। ১৯৮৯ সালে স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়ন রহমত খানকে বিয়ে করেন সালমা।
এই সংসারে তাঁদের দুই সন্তান—মেয়ে জারা খান ও ছেলে আলী খান। তবে এই সম্পর্কও ২০১০ সালে শেষ হয়। ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও সালমা তাঁর পেশাগত সাফল্যের সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনকে সুন্দরভাবে সামলেছেন।
বড় পর্দায় এখন নিয়মিত না হলেও সৌন্দর্য, প্রতিভার কারণে এখনো স্মরণ করা হয় তাঁকে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন