আটককেন্দ্রে মেক্সিকান অভিবাসীর মৃত্যু, চলতি বছরে আইসিই হেফাজতে ১৪তম প্রাণহানি
লুইজিয়ানায় ধেয়ে আসছে হারিকেন ইডা, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
লুইজিয়ানার সন্নিকটে ধেয়ে আসছে হারিকেন ইডা। ফলে প্রাণ বাঁচাতে হাজার হাজার বাসিন্দা নিরাপদ স্থানে সরে যাচ্ছে।
রবিবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় গালফ অব ম্যাক্সিকোতে আছড়ে পরবে হারিকেন ইডা। ঘণ্টায় ১৪০ কি/মি বেগে হারিকেনটি উপকূলে আঘাত হানবে। এতে প্রাণহানির শঙ্কাও রয়েছে৷
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, ২০১৫ সালে নিউ অরল্যান্স রাজ্যে আঘাত হানা হারিকেন ক্যাটরিনার থেকেও এই ইডা আরো শক্তশালী।
আসন্ন হারিকেনের কথা চিন্তা করে বাসিন্দারা শহরের বাইরে চলে যাচ্ছে৷ কিছু কিছু রাস্তায় ইতোমধ্যে যাত্রী চাপে ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি হয়েছে।
গভর্নর জন বেল অ্যাডওয়ার্ডস বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, '১৫০ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ ও বৃহৎ হারিকেন হতে যাচ্ছে'।
শনিবার বাসিন্দাদের তিনি বলেন, 'আমাদের সময় ঘনিয়ে আসছে। আমাদের ইডার জলোচ্ছ্বাস থেকে দূরে থাকতে হবে। আগামীকাল আবহাওয়া দ্রুত পরিবর্তন হবে'।
পার্শ্ববর্তী রাজ্য মিসিসিপিতে সেখানের গভর্নর স্টেট অব ইমার্জেন্সি জারি করেছে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এর আগে বলেন, 'হারিকেন ইডা খুবই ভয়াবহ এক ঝড়ে রূপান্তরিত হচ্ছে। এটির মোকাবিলায় ফেডারেল সরকার সাহায্যের জন্য প্রস্তুত আছে'।
হারিকেনটি গালফ অব ম্যাক্সিকোর উষ্ণ পানি থেকে শক্তি সঞ্চয় করে ধীরে ধীরে ক্যাটাগরি-টু হারিকেন থেকে ক্যাটাগরি-ফোর হারিকেনে পরিণত হচ্ছে।
সাউদার্ন লুইজিয়ানায় সকাল ৮টা থেকে উপকূলীয় ঝড়ো বাতাস বইতে শুরু করবে।
একই দিনে ১৬ বছর আগে হারিকেন ক্যাটরিনা নিউ অরল্যান্সে আঘাত হেনেছিল। তৃতীয় মাত্রার হারিকেনে সেবার শহরের ৮০ শতাংশ ডুবে যায় ও ১ হাজার ৮০০ মানুষের মৃত্যু হয়।
ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট অব নিউ অরল্যান্সের জেষ্ঠ্য এক কর্মকর্তা বলেন, 'এটিই সত্যিই আতঙ্কের যে সিটি অব লুইজিয়ানার সবাইকে সরে যেতে হবে। হারিকেনে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাবে এবং গাড়ি ভেসে যাবে'।
এখন পর্যন্ত গালফ অব ম্যাক্সিকোর ৮০টির উপর তেল শোধানাগার খালি করে দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে ওই রাজ্যের অর্ধেক তেল-গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
এর আগে কিউবার বেশকিছু অংশে আঘাত হেনেছে হারিকেন ইডা। এতে গাছপালা উপড়ে যায় ও যানবাহন ভেসে যায়। এছাড়া জ্যামাইকায় ইডার প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাত হয়। তবে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
ঝড়ের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখনো পরিষ্কার না। তবে, সমুদ্রপৃষ্ঠের বর্ধিত তাপমাত্রা উপরের বাতাসকে উষ্ণ করে ও ঘূর্ণিঝড়ের জন্য শক্তির যোগান দেয়। যার ফলে ঘূর্ণিঝড় আরো শক্তিশালী হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হারিকেন যদি প্রবল ঢেউ এর সৃষ্টি করে তবে নিউ অরল্যান্সের উপর দিয়ে বন্যা বয়ে যাবে৷
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন