আপডেট :

        রিশাদের দাপটে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানো জয়

        বর্ধিত মাশুল স্থগিতে ব্যবসায়ীদের আন্দোলন, ৭ দিনের আল্টিমেটাম

        পিআর নিয়ে টালবাহানা সহ্য করবে না জনগণ: চরমোনাই পীর

        গাজার যুদ্ধবিরতি নেতানিয়াহুর জন্য ৬টি বড় বিপদ ডেকে আনল

        পাকিস্তান-আফগানিস্তানে ৪৮ ঘণ্টার নতুন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা

        নাশকতার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা: সরকার

        বিমানবন্দর দ্রুত চালুর প্রতিশ্রুতি দিলেন উপদেষ্টা

        নতুন ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি আর্জেন্টিনা-বাংলাদেশের

        জুলাই সনদে স্বাধীনতার ঘোষণা থাকায় অবস্থান বদলাল গণফোরাম

        ইউক্রেনের অভিযোগ, ড্রোন ঠেকাতে গিয়ে নিজের বিমানেই হামলা রাশিয়ার

        গাজায় রক্তপাত থামছে না—ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৮,১১৬

        বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ মেললে নাশকতা রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে সরকার

        নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার আগেই অলআউট বাংলাদেশ

        ঢাকায় নামতে না পেরে ৯টি ফ্লাইট গেছে চট্টগ্রাম ও সিলেটে

        ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে

        ১৯ অক্টোবর থেকে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচারকারীদের ওয়েবসাইট হবে ব্লক

        যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে “নো কিংস” বিক্ষোভের আগে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন

        ইরান থেকে ব্যালিস্টিক মিসাইলের যন্ত্রাংশ পাচার: পাকিস্তানি নাগরিকের ৪০ বছরের কারাদণ্ড

        যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

        ট্রাভেল হিস্টরি থাকা সত্ত্বেও বি১/বি২ ভিসা প্রত্যাখ্যান: অফিসার জোরে কথা বলছিলেন, আচরণ ছিল রূঢ়’

মোট মৃত্যুর প্রায় ৭০ শতাংশই ঘটে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রোগে

মোট মৃত্যুর প্রায় ৭০ শতাংশই ঘটে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রোগে

অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, কায়িক পরিশ্রমের অভাব, বায়ুদূষণ—রোগের প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী

বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর প্রায় ৭০ শতাংশই ঘটে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রোগে। তামাকপণ্যের ব্যবহার, অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, কায়িক পরিশ্রমের অভাব, বায়ুদূষণ—এর প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞগণ। হেলথ প্রমোশন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে এসব স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ এবং অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যু কমানো সম্ভব বলে মনে করেন তারা।


গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিএমএ ভবনে ‘টেকসই স্বাস্থ্য উন্নয়নে হেলথ প্রমোশন :বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব তথ্য উঠে আসে। প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এই কর্মশালার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘স্বাস্থ্য’ কেবল নিরোগ থাকা নয় বরং শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে ভালো থাকার নামই ‘স্বাস্থ্য’। সাধারণভাবে স্বাস্থ্য উন্নয়ন, রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষা, চিকিত্সা, পুনর্বাসন, এবং উপশম এই পাঁচটিকে একত্রে ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থা’ বলা হলেও প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী ‘স্বাস্থ্য’ বলতে কেবল ‘চিকিত্সা ব্যবস্থা’ কে বোঝানো হয়ে থাকে।


বিশ্ব স্বাস্ব্য সংস্থার মতে, হেলথ প্রমোশন একটি প্রক্রিয়া যার দ্বারা মানুষ নিজের স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যের নির্ধারকসমূহের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে এবং নিজ স্বাস্থ্যের উন্নতি লাভের সক্ষমতা অর্জন করতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম, খাবারে অতিরিক্ত চর্বি, লবণ ও চিনি পরিহার এবং তামাক ও অ্যালকোহল বর্জন প্রভৃতি কাজে উদ্বুদ্ধ করার পরিবেশ সৃষ্টি করা ‘হেলথ প্রমোশন’ কার্যক্রমের অংশ।

তবে এই কাজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার অংশগ্রহণে একটি সমন্বিত পদক্ষেপ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে সংস্থাটি। থাইল্যান্ড, সিংগাপুর, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের ১১টি দেশ ইতিমধ্যে হেলথ প্রমোশন কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি হ্রাসে সাফল্য দেখিয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ থেকে বছরে প্রায় ৩০০ কোটি আদায় হয়, যা স্বাস্থ্য উন্নয়নে খরচ করার কথা থাকলেও আমরা পারছি না। একটি স্বাধীন হেলথ প্রমোশন প্রতিষ্ঠান গঠন করে এই অর্থ স্বাস্থ্য উন্নয়নে ব্যয় করা গেলে জনগণ এবং সরকার উভয়ই লাভবান হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক ড. মো. এনামুল হক বলেন, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা নানাবিধ হেলথ প্রমোশন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। তবে টেকসই স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য একটি সমন্বিত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি।

২০২০ সালে বাংলাদেশে চিকিত্সায় ব্যক্তির ব্যয় প্রায় ৭৪ শতাংশ, যার দুই-তৃতীয়াংশই খরচ হয় ওষুধে। হেলথ প্রমোশনের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হলে ব্যয় হ্রাসের পাশাপাশি জনগণের অসুস্থতা, মৃত্যু এবং চিকিত্সা ব্যবস্থার ওপর চাপ কমে আসবে।

অনুুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রজ্ঞার হেড অব প্রোগ্রামস হাসান শাহরিয়ার। আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর পরিচালক গাউস পিয়ারী, অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স- আত্মার আহ্বায়ক মতুর্জা হায়দার লিটন, প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের প্রমুখ।

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত