২০১৫ সালের মামলা থেকে মুক্তি পেলেন খালেদা জিয়া, কুমিল্লায় আদালতের রায়
বাংলাদেশ থেকে নিত্যপণ্য নিয়ে ১৪টি ট্রাক নেপাল গেছে
ফাইল ছবি
নেপালের সাথে ভারতের অমানবিক ব্যবহার
হিমালয় কন্যা নেপালীদের কান্না থামছে না। ভুমিকম্প
বিধ্বস্থ নেপালের সাধারণ মানুষের
অতিব জরুরি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য
আমদানীতে ভারত এখনও পূরোপুরি ছাড়
দেয়নি। গত ১৫ দিন পর বাংলাদেশের
বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে ২০টি’র মত
ট্রাককে নেপাল পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ
দিয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় বিন্দু
কনার মত। তাও আবার আমদানীকারকদের
অতিরিক্ত খরচে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা’র
ফসল। ভারত এখনও নেপালী পণ্য
পরিবহনকারী ট্রাকে সুষ্ঠভাবে ডিজেল
সরবরাহ করছে না। ভারতের এধরনের
অমানবিক আচরণের কারণ হিসাবে জানা
গেছে হিন্দুত্ববাদ থেকে বের হয়ে আসা
এবং ভারতীয় টিভি চ্যানেল প্রচারে
নেপালে অনিহা। যদিও ভারত প্রতিবেশি
দেশের টিভি চ্যানেলগুলিকে তাদের
দেশে প্রচার করতে দিচ্ছে না এখনও।
ভারতীয় এমন অমানবিক আচরণে গত ১১
অক্টোবর বাংলাদেশের একটি জাতীয় দৈনিকে ভারতীয়
দাদাগিরীর অমানবিক আচরণের একটি
খবর প্রকাশিত হয়। পরদিন প্রকাশ হয়
সম্পাদকীয়। আমদানী রফতানী’র সাথে
জড়িত স্থানীয় এজেন্টদের সাথে
আলোচনা করে জানা গেছে, ভুমিকম্প
বিধ্বস্থ নেপালে নিত্য প্রয়োজনীয়
পণ্যের ব্যাপক চাহিদা। অর্ডার পড়ে
রয়েছে। কিন্তু ভারতের অঘোষিত
নিষেধাজ্ঞার কারণে মালামাল
পাঠানো যাচ্ছে না। তাদের মতে
বাংলাদেশ থেকে নেপালে পণ্য
পরিবহনকারী ট্রাকগুলিকে ভারতের
ট্রানজিট পরিবহনের কারণে ডিজেল
ভারত থেকেই ক্রয় করতে হয়। নিজ ধর্ম ও
সংস্কৃতি সর্ম্পকে নিজেদের চিন্তা
চেতনা অটুট করতে সংবিধান থেকে
হিন্দুত্ববাদ বাদ এবং ভারতীয় সংস্কৃতি
পরিহারে নেপাল সরকারে ভারত অখুশি
হয়েছে। দাদাগিরীর আঁতে ঘা লাঘায়
নেপালীদের শায়েস্তা করতে ডিজেল
সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি’র
অমানবিক কৌশলগ্রহণ করেছে।
ভুমিকম্পের ধ্বংস্বস্তুপ সরিয়ে মাথা
গোঁজার ঠাই তৈরিতে ব্যস্ত অসহায়
নেপালীদের কাছে সফট ফুড অত্যন্ত
জরুরি। যা কিনা মূলত বাংলাদেশ
থেকেই আমদানী করে থাকে নেপাল।গত
১৫ দিন আমদানী শূন্যের কোঠায় অবস্থান
করায় সংকট তীব্র হয়েছে। এর মধ্যে
দেশী বিদেশী মিডিয়ায় ভারতীয়
অমানবিক আচরণের কথা প্রকাশ হয়েছে।
বাংলাদেশের আপামর জনগণের সাথে এলএ বাংলাটাইমস নেপালের দুঃখের কথা
তুলে ধরেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,
গতকাল ১২ অক্টোবর সর্বশেষ প্রায় ১৪টি
ট্রাক বাংলাদেশ ছেড়েছে। প্রয়োজন
অনেক। প্রতিদিন ন্যুনতম ৫০ ট্রাক
মালামাল পরিবহনে প্রস্তুত বাংলাদেশ।
যা হোক ভারতের বোধদয় হবে এই আশা
বাংলাদেশের মানুষের।
শেয়ার করুন