উত্তর কোরিয়াকে ক্ষেপিয়ে দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া-মার্কিন সামরিক মহড়া
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের বার্ষিক যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। উত্তর কোরিয়াকে উদ্দেশ্য করে প্রতিবছর আগস্টের এ সপ্তাহে সামরিক মহড়ার আয়োজন করে থাকে দু্ই মিত্রদেশ। উত্তর কোরিয়ার সতর্ক বার্তাকে উপেক্ষা করে কোরীয় উপদ্বীপে অনুষ্ঠিত এ সামরিক মহড়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার ৫০ হাজার এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১৭ হাজার ৫০০ সেনা অংশ নিয়েছে। খবর বিবিসির।
তবে এ বছর মহড়ায় অংশ নেয়া মার্কিন সেনাদের সংখ্যা তিন ভাগের এক ভাগে কমিয়ে আনা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার মিডিয়া জানিয়েছে, কোরীয় উপদ্বীপে যুক্তরাষ্ট্র তাদের দুটি এয়ার ক্রাফট কেরিয়ার পাঠানোর পরিকল্পনা বাতিল করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জাই-ইন এই মহড়াকে রক্ষণাত্মক ধরনের বলছেন। তিনি এই সামরিক মহড়ার কারণ হিসেবে গত মাসে উত্তর কোরিয়া কর্তৃক চালানো দুটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সহ অন্যান্য উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডকে দায়ী করেছেন।
পিয়ংইয়ং এ সামরিক মহড়াকে মোটেই ভালভাবে নেয়নি। তারা এই মহড়াকে ‘বেপরোয়া’ অভিহিত করে বলেছে, এটি ‘নিয়ন্ত্রণহীন এক পারমাণবিক যুদ্ধের’ দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তারা মহড়ার নিন্দা জানিয়ে একে ‘আগুনে পেট্রোল’ ঢালার সাথে তুলনা করেছে। গত সপ্তাহে চিন এবং রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে এই সামরিক মহড়া বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছিল।
এর আগে এ মাসের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়া গৃহীত কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ‘আগুন ও বারুদের’ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এর পাল্টা জবাবে উত্তর কোরিয়া মার্কিন ঘাটি গুয়ামে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের হুমকি দেয়। যদিও গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম-উন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে আসেন। আর কিম ওয়াশিংটনের পরবর্তী পদক্ষেপের উপর ভিত্তি করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরিকল্পনা আবার শুরু করা হতে পারে বলে সতর্ক করে দেন।
এবারের সামরিক মহড়ায় মার্কিন সেনা কমিয়ে আনার ব্যাপারে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জেমস মেটিস গত রবিবার (২০ আগস্ট) বলেন, পিয়ংইয়ংকে শান্ত করার জন্য নয় বরং ‘মহড়ার উদ্দেশ্য অর্জনের’ জন্যই এটা করা হয়েছে। ২০১৬ সালে পিয়ংইয়ং জাপান সাগরে পৌঁছতে সক্ষম এমন একটি ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর পর থেকে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি
শেয়ার করুন