আপডেট :

        শনিবার খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

        বৃষ্টি কামনায় ব্যাঙের বিয়ে নিয়ে প্রচলিত আছে নানা গল্পকথা

        ১৯৩ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ

        কংগ্রেসকে পাকিস্তানের ‘মুরিদ’ বলে অভিযুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

        নোবেল জয়ী বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস

        নাফ নদীতে মাছ শিকাররত ১০জন বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ

        টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে বিশ্বকাপের উদ্দেশে যাত্রা করবে টাইগাররা

        রাজধানীতে সন্ধ্যার মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস

        রাঙ্গামাটিতে স্বস্তির বৃষ্টি নামলেও এসময় বজ্রপাতে ৩জন নিহত

        কেউ কেউ আন্দোলন করে যাচ্ছে ফিজিক্যালি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে, আমরা কাউকে বাধা দিচ্ছি না

        কেউ কেউ আন্দোলন করে যাচ্ছে ফিজিক্যালি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে, আমরা কাউকে বাধা দিচ্ছি না

        অতি বামদের কাছে আমার প্রশ্ন, তারা আমাকে উৎখাত করে কাকে ক্ষমতায় আনবে?

        মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী

        শ্রম অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের অগ্রগতির পর্যায়

        কক্সবাজারের পেকুয়ায় বজ্রপাতে নিহত হলেন দিদারুল ইসলাম

        ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে

        ফিরছে নিহত আট বাংলাদেশির কফিনবন্দি লাশ

        বন্যহাতির আক্রমণে কিশোরের মৃত্যু হলো

        চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে একটি মহাসড়কের অংশ ধস

        চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে একটি মহাসড়কের অংশ ধস

লস এঞ্জেলেসঃ যেন এক ভূতুড়ে নগরী

লস এঞ্জেলেসঃ যেন এক ভূতুড়ে নগরী

লস এঞ্জেলেসের মানচিত্র

করোনাভাইরাসের প্রভাব


ক্যালিফোর্নিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় নগরী হচ্ছে লস এঞ্জেলেস। বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্র ও পর্যটন নগরী হিসেবে এর খ্যাতি রয়েছে। তাছাড়া, এই শহরকে বলা চলে পৃথিবীর প্রযুক্তি পণ্যের রাজধানী। কম্পিউটার চিপ তৈরির জন্য প্রসিদ্ধ সিলিকন ভ্যালি থেকে শুরু করে আইবিএম, মাইক্রোসফট, ফেসবুক ইত্যাদি সকল প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তর অবস্থিত এখানে।



লস এঞ্জেলেস নগরীতে রয়েছে বহু দর্শনীয় পর্যটন এলাকা ও বিনোদন কেন্দ্র। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এই শহর যেন এক ভূতুড়ে নগরীতে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি নগর প্রশাসন এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান। জরুরী অবস্থা জারি হয়েছে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর পর।




কয়দিন আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সকল বিনোদন ও পর্যটন স্থানগুলো। সেইসাথে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আদালত, ব্যায়ামাগার, বার কি নেই এই বন্ধের তালিকায়। সবখানে এক থমথমে ভীতিকর পরিবেশ। কেউ যেন আর বাইরে বের হতে চাচ্ছে না।




লস এঞ্জেলেসের পর্যটন ও বিনোদন স্পটগুলোতে নতুন করোনাভাইরাসের কতটুকু প্রভাব পড়েছে, তাই নিয়ে এলএবাংলা টাইমসের এই আয়োজন। এই সপ্তাহের শনি ও রবিবার শহরের বেশ কিছু এলাকা ঘুরে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। 

     



লা ব্রিয়া টার পিটস্ লস এঞ্জেলেস নগরীর একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান। বিভিন্ন ধরনের লাখ লাখ হাঁড় থাকার কারণে এটাকে ‘হাড় কংকাল জাদুঘর’ও বলা হয়। এখানে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি দেখলে মনে হবে জাদুঘরটির প্রবেশ ফি ৫ ডলার থেকে ৫০০ ডলার হয়ে গেছে। সেখানে গিয়ে এই প্রতিবেদক দুইতিন জনের বেশি দেখা পেলেন না।




গেট্টি সেন্টার, লস এঞ্জেলেসের একটি প্রসিদ্ধ শিল্প জাদুঘর। আধুনিক শিল্পকর্মে বিধৃত হয়েছে বিশ্বের ইতিহাস। এখানে রেনেসাঁর যুগ থেকে আধুনিককাল পর্যন্ত সময়ের বহু প্রাচীন ও আধুনিক আকর্ষণীয় শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে। রয়েছে ফরাসীদের ডেকোরেটিভ আর্ট ও ফটোগ্রাফি। কিন্তু এখন আর এসবে যেন কারো আগ্রহ নেই। দর্শনার্থীদের অভাবে এমনই ফাঁকা এই যাদুঘর।




বিশ্বের চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে একটি পরিচিত নাম ‘ইউনিভার্সাল স্টুডিওজ’। এখানে রয়েছে রেকর্ডিংয়ের সব আধুনিক সরঞ্জাম। চলচ্চিত্রপ্রেমীরা এখানে বিশ্বের বিশাল ব্যয় বহুল চলচ্চিত্রগুলোর প্রাথমিক নির্মাণ কাজ কীভাবে সম্পন্ন হয়, তা দেখতে আসে। এখানে আসলে অনেক বিখ্যাত অভিনেতা-অভিনেত্রীরও সাক্ষাৎ পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন অগণিত লোকের ভিড় হয় এখানে।




কিন্তু এখনকার দৃশ্য। যে কেউ তা দেখলে আঁতকে উঠবে। সেখানে গিয়ে যে কয়জনের দেখা পাওয়া গেল, প্রায় সবাই সেখানে কাজ করেন বলে জানান। গেইটে থাকা এক কর্মচারীর সাথে কথা হয় এলএবাংলা প্রতিবেদকের। জানতে চাই, দর্শনার্থীদের উপস্থিতির বিষয়ে। স্বল্পভাষী লোকটি খুব অল্প কথায় বলে দিলেন, কাজ না থাকলে এখন তেমন কেউ আসে না।




সানসেট বুলেভার। লস এঞ্জেলেসের একটি প্রসিদ্ধ রাস্তা। ম্যুভি, সংগীত ও অন্যান্য গণমাধ্যম বিনোদনের জন্য বিখ্যাত। রোমান্সপ্রিয় ও আড্ডাবাজদের আখড়া বলা যায় এই স্থানটিকে। কিন্তু পরিচিত এই জায়গাটি এখন আপনার চিনতেই কষ্ট হবে। বারবার মনে হবে ভুলে অন্য কোথাও এসে পড়লাম না তো। জন মানুষের চিহ্ন নেই জনাকীর্ণ এই স্থানটিতে।




প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে লস এঞ্জেলেসের বাউল সম্প্রদায়েও। সংগীত প্রেমীদের আনাগোনা কমে গিয়েছে ‘হলিউড বাউলে’। করোনাভাইরাসের ভয়ে এখন আর কোন সঙ্গীতপ্রেমী সংগীতের লাইভ পরিবেশনা উপভোগ করতে আসছে না নগরীর সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক এই এম্ফিথিয়েটার।




একইরকম চিত্র দেখা গেল, ডিজনিল্যান্ড, হলিউড সাইন ও লস এঞ্জেলেস এয়ারপোর্টেও। কর্মব্যস্ত এই জায়গাগুলোতে কোথাও নেই কোন কর্মচাঞ্চল্য। সবকিছু কেমন যেন স্থবির। যেন এক ভূতুড়ে নগরী।    

 



এলএবাংলা টাইমস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত