আপডেট :

        সিকৃবিতে পাঠ্যক্রম অভিযোজন প্রশিক্ষণ

        জাতির পিতার আদর্শে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে: গণপূর্তমন্ত্রী

        ভারতের গ্যাংস্টার রাজনীতিবিদ মুখতারের মৃত্যু

        প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আলোচনা ও ইফতার

        ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

        রাফাহ অভিযানের প্রস্তুতি ইসরায়েলিদের

        চারুপাঠের চিত্রাঙ্কন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

        চীনা উদ্যোক্তাদের বস্ত্র-পাট খাতে বিনিয়োগের আহ্বান পাটমন্ত্রীর

        এফটিএক্স প্রতিষ্ঠাতার ২৫ বছরের কারাদণ্ড

        পুলিশের পক্ষ থেকে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

        বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা চান ওবায়দুল কাদের

        ওসমানীনগরে বদর দিবস পালিত

        বাংলাদেশের কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান

        ট্রেনের টিকেটসহ কালোবাজারি গ্রেপ্তার

        ৪ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা

        প্রকাশ পেল তুফান সিনেমার ফার্স্টলুক

        নিউইয়র্কে রাস্তায় আচমকা নারীদের ঘুষি মারছে অজ্ঞাতরা

        যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

        পাপারাজ্জিকে ঘুষি: টেলর সুইফটের বাবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ

        দশ বছরে ৬৪ হাজার অভিবাসীর মৃত্যু, সাগরেই ৩৬ হাজার

মঙ্গলের আকাশে সফলভাবে ড্রোন উড়িয়ে ইতিহাস সৃষ্টি নাসার

মঙ্গলের আকাশে সফলভাবে ড্রোন উড়িয়ে ইতিহাস সৃষ্টি নাসার

আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে তারা প্রথমবারের মতো মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠ থেকে সফলভাবে একটি ছোট ড্রোন ওড়াতে সক্ষম হয়েছে।

ইনজেনুয়িটি নামের এই ড্রোন মঙ্গলের আকাশে এক মিনিটের কম সময় ওড়ে।

কিন্তু নাসা বলছে, অন্য আরেকটি গ্রহের আকাশে এই প্রথম যন্ত্রচালিত এবং নিয়ন্ত্রিত কোনো যান ওড়ানোর এই সাফল্যে তারা উল্লসিত।

মঙ্গলগ্রহ থেকে একটি উপগ্রহের মাধ্যমে পৃথিবীতে পাঠানো তথ্যে এই খবর পৌঁছেছে।

নাসা বলছে, এই সাফল্য সামনের দিনগুলোতে আরো দুঃসাহসিক বিমান ওড়ানোর পথ প্রশস্ত করল।

এই হেলিকপ্টারের ওড়ার ছবি নাসার নিয়ন্ত্রণ কক্ষে পৌঁছানোর পর কর্মীদের উল্লাসে ফেটে পড়েতে দেখা যায়। মাত্র ১.৮ কেজি ওজনের হেলিকপ্টারটি মঙ্গলের পৃষ্ঠ থেকে উড়ে ৪০ সেকেন্ড পর সফলভাবে অবতরণ করেছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইনজেনুয়িটি ড্রোনটির প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা পরীক্ষা করার পর এটিকে এখন তারা আরো উঁচুতে এবং আরো দূর পর্যন্ত ওড়াতে চান।

নাসার পারসিভেয়ারেন্স রোভার যান এই ড্রোনটি বহন করে মঙ্গলে নিয়ে গেছে। ফেব্রুয়ারি মাসে এই পারসিভেয়ারেন্স মঙ্গলের পৃষ্ঠে জেজেরো গহ্বরে অবতরণ করে।

আশা করা হচ্ছে, এরকম ড্রোন দিয়ে এরপর থেকে মঙ্গল বা অন্য কোনো গ্রহের ভূ-প্রকৃতি এবং পরিবেশ পর্যবেক্ষণ অনেক সহজ হবে।

‘আমরা এখন বলতে পারি, মানুষ আরেকটি গ্রহের আকাশে ড্রোন জাতীয় আকাশ যান উড়িয়েছে,’ বলেন ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার এক গবেষণাগারে ইনজেনুয়িটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মিমি অং।

“আমরা দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা করেছি মঙ্গলের আকাশে ‘রাইট ভ্রাতৃদ্বয়ের প্রথম বিমান ওড়ানোর মুহূর্ত কবে আসবে’, আজ আমরা সেই মুহূর্তে পৌঁছতে পারলাম।”

দুই ভাই উইলবার আর অরভিল রাইট ১৯০৩ সালে পৃথিবীর আকাশে প্রথম শক্তিচালিত বিমান নিয়ে উড়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। এটাকে সেরকমই এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।

যখন নাসার নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ইনজেনুয়িটি ড্রোনের মঙ্গলগ্রহের আকাশে ওড়ার ছবি এসে পৌঁছায়, তখন উল্লসিত কর্মীদের পেছনে মিমি অং-কে বলতে শোনা যায়- ‘এটা বাস্তব সত্য!’

ড্রোনটি উড়তে ব্যর্থ হলে তিনি যে ভাষণ দেবেন বলে কাগজে তার বক্তব্য লিখে রেখেছিলেন, আনন্দে তিনি সেই কাগজ ছিঁড়ে ফেলেন।

ছবিতে দেখা যায়, মঙ্গলের বুক থেকে মাত্র ১.৮ কেজি ওজনের এই ড্রোনটি প্রায় ৩ মিটার উপরে ওঠে, ড্রোনের পাখাগুলো ঘুরতে দেখা যায়, ড্রোনটি এদিক থেকে ওদিকে যায় এবং প্রায় ৪০ সেকেন্ড পর ড্রোনটি আবার সফলভাবে মঙ্গলের মাটিতে অবতরণ করে।

মঙ্গলের মাটি থেকে কোনো যান গ্রহটির আকাশে ওড়ানো সহজ নয়। মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল খুবই পাতলা। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ঘনত্বের তুলনায় মাত্র ১% শতাংশ ঘনত্ব গ্রহটির বায়ুমণ্ডলের। এর ফলে কোনো পাখাওয়ালা বিমানযানের জন্য বাতাস কেটে খুব বেশি ওপরে ওঠা খুবই কঠিন।

মঙ্গলগ্রহের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কিছুটা সাহায্য করে, তবে মাটি থেকে এধরনের ড্রোন বা হেলিকপ্টার মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে তোলার জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়।

নাসা ঘোষণা করেছে যে মঙ্গলগ্রহের জেজেরো গহ্বরের যে জায়গায় পারসিভেয়ারেন্স নভোযান ইনজেনুয়িটি ড্রোনটিকে নামায় সেই জায়গাটিকে এখন থেকে ‘রাইট ভাইদের অবতরণক্ষেত্র’ নাম দেয়া হবে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রথম উড্ডয়ন সফল হবার পর আগামী দিনগুলোতে তারা আরো চারটি ফ্লাইট ওড়ানোর চেষ্টা করবেন। প্রতিটি ফ্লাইটে হেলিকপ্টারটিকে একটু একটু করে বেশি দূর পর্যন্ত ওড়ানো হবে।

নাসার উৎফুল্ল বিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা এখন ড্রোন উড়িয়ে মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশ, গহ্বর ও গহ্বরের দেয়াল থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।

এই সাফল্য তাদের জন্য মঙ্গলগ্রহকে জানার জন্য বিরাট সম্ভাবনার পথ খুলে দিল।

 

এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/টি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত