শেষ মুহুর্তের জরিপে এগিয়ে বাইডেন, ট্রাম্পের আশা সুইং স্টেট
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
ইলেক্টোরাল কলেজের গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোতে ডোনাল্ড ট্রাম্প আর জো বাইডেন খুব কাছাকাছি রয়েছেন। ফ্লোরিডা, নর্থ ক্যারোলিনা ও এরিজোনার মতো ব্যাটেলগ্রাউন্ডেই বাজিমাত করতে পারেন ট্রাম্প।
৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণ নির্বাচন। শেষ মুহুর্তে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোয় চষে বেড়াচ্ছে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন। নির্বাচনের একদম দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছেন জো বাইডেন।
হোয়াইট হাউজের দৌড়ে এগিয়ে যেতে সবসময় মূল ভূমিকা রাখে সুইং স্টেট অর্থাৎ দোদুল্যমান রাজ্য। সেখানের ভোটাররা শেষ মুহুর্তে যেয়ে সিদ্ধান্ত নেন কোন প্রার্থীকে ভোট দিবেন। ফলে এসব রাজ্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর এই রাজ্যগুলোতেই জো বাইডেনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জরিপে ট্রাম্প-বাইডেন রয়েছেন সমানে সমান।
গত কয়েকমাস ধরেই ধারাবাহিকভাবে জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছেন জো বাইডেন। শেষ জরিপে বাইডেন ৫১ শতাংশ বাসিন্দার সমর্থন পেয়েছেন, অপরদিকে ৪৩ শতাংশ বাসিন্দা ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন।
তবে শুধু ভোট সংখ্যাই যথেষ্ট নয় নির্বাচনে জিততে। ইলেক্টোরাল কলেজের গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোতে ডোনাল্ড ট্রাম্প আর জো বাইডেন খুব কাছাকাছি রয়েছেন। ফ্লোরিডা, নর্থ ক্যারোলিনা ও এরিজোনার মতো ব্যাটেলগ্রাউন্ডেই বাজিমাত করতে পারেন ট্রাম্প।
এছাড়া অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য পেনসিলভেনিয়া, মিশিগান ও উইসকনসিনেও এগিয়ে রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালে এই রাজ্যগুলো ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতিতে ট্রাম্পকে জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছিলো। বাইডেনের থেকে পেনসেলভেনিয়ায় ৫ পয়েন্ট এবং মিশিগান ও উইসকনসিনে নয় পয়েন্ট এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। তবে ২০১৬ সালে যেসব রাজ্যগুলোতে ট্রাম্প জিতেছিলেন, শুধু সেগুলোতে জয় রাখলেও ট্রাম্প জিতে যাবেন। সেক্ষেত্রে মিশিগান ও উইসকনসিনে হেরে গেলেও ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় বসতে কোনো অসুবিধা হবে না।
সাধারণত জরিপে অংশগ্রহণ না করা নিরক্ষর শ্বেতাঙ্গ মার্কিনী ও বয়স্ক নাগরিকদের ভোটে মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এছাড়াও চলমান মহামারি বিষয়ে জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়াও এবারের নির্বাচনের ফলাফলে প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে।
করোনাভাইরাস বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবরই উদাসীন মনোভাব দেখিয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে হাসি ঠাট্টা করেছেন। অপরদিকে জো বাইডেন করোনা বিষয়ে দায়িত্বশীল মন্তব্যের পাশাপাশি ক্ষমতায় গেলে এটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। অন্তত ৬০ শতাংশ নাগরিক জরিপে জানান ট্রাম্পের করোনা বিষয়ে নেওয়া পদক্ষেপ নির্ভরযোগ্য নয়।
এছাড়াও অর্থনীতি ও কর্ম শূন্যতার ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও নির্বাচনের ফলাফলে এটি খুবই কম প্রভাব ফেলবে। মাত্র ২১ শতাংশ মানুষ হিসেবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করবে এমন কাউকে চায়।
ফলে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় যেতে হলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবেধন নীল মনি সুইং স্টেটগুলো। অপরদিকে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হতে চাইলে ট্রাম্পকে টেক্কা দিয়ে সুইং স্টেট জিতে নেওয়ার বিকল্প নেই।
এলএবাংলাটাইমস /ওএম
শেয়ার করুন