যুক্তরাষ্ট্রে শিপিং জালিয়াতি মামলায় ক্যালিফোর্নিয়ার এক ব্যক্তির কারাদণ্ড
ট্রাম্পের প্রত্যাহার চায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মার্কিনী
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতার নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাঁকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দিতে মত দিয়েছেন আমেরিকার সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক। এছাড়া ক্যাপিটল হিলে উগ্র ট্রাম্পপন্থিদের হামলার জন্য দুই-তৃতীয়াংশ নাগরিক ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করেছেন।
সম্প্রতি আমেরিকার নাগরিকদের উপর চালানো এক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপে দেখা গেছে, ৫৬ শতাংশ নাগরিক মনে করেন জো বাইডেনের ক্ষমতা গ্রহণের আগেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসিত করে প্রেসিডেন্সি ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া উচিত। অন্যদিকে ৪৩ শতাংশ নাগরিক ট্রাম্পের ক্ষমতার পূর্ণ মেয়াদ শেষ করার পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে তাদের অধিকাংশই আবার ক্যাপিটল হিলে হামলার জন্য ট্রাম্পকে দায়ী করেছেন।
ক্যাপিটল হিলের ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসিত করার বিষয়ে দুই ভাগ হয়ে গেছেন রাজনীতি সচেতন আমেরিকানরাও। ৯৫ শতাংশ ডেমোক্রেটিক সমর্থক নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ট্রাম্পের প্রত্যাহার চান। অপরদিকে ১৩ শতাংশ রিপাবলিকানও ট্রাম্পের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে প্রত্যাহারে মত দিয়েছেন। নিরপেক্ষ নাগরিকদের মতো ৫৮ শতাংশ ট্রাম্পের প্রত্যাহার চান।
মূলত ক্যাপিটল হলে উগ্র ট্রাম্পপন্থিদের নজিরবিহীন হামলার পর ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তাঁর নিজ দল রিপাবলিকানদের মধ্যেই। প্রভাবশালী সিনেটর পেট টমি ও লিসা মুরকোওস্কি ট্রাম্পকে অভিশংসিত করতে মত দিয়েছেন। এছাড়া দল-মত নির্বিশেষে বিভিন্ন মহল থেকে ট্রাম্পকে প্রত্যাহারের দাবি উঠেছে।
তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ২৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে ট্রাম্পকে অভিশংসিত করার সম্ভাবনা খুবই কম। ক্ষমতা শেষ হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহ আগে ট্রাম্পকে অভিশংসিত করে প্রশাসনিক ঝামেলায় পড়তে চাইছে না রিপাবলিকানরা।
এর আগে গত বুধবার জো বাইডেনের জয় অনুমোদন করতে সিনেট অধিবেশন শুরু হওয়ার এক পর্যায়ে দ্য ইউএস ক্যাপিটল ভবন বা যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টে উগ্র ট্রাম্প সমর্থকেরা হামলা করে। এ সময় সংঘর্ষে তিন ও গুলিবিদ্ধ হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়।
দাঙ্গাকারীরা ভবনে হামলা করলে সিনেট খালি করে দেয়া হয়। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ স্থানে। ওয়াশিংটন মেয়র ম্যুরেল বাউজার ১৫ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেন।
সামাজিক মাধ্যমে হামলার প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে দরজা, জানালা ভাঙা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিনেট চেম্বার। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাউজ স্পিকার ন্যান্সির অফিস।
আইনশৃঙখলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানায়, ক্যাপিটল ভবনে আইইডি বা ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসও পাওয়া গিয়েছিলো।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন