জানালেন দিল্লি আছেন কিন্তু আনোয়ারুল আজিম আনারের সর্বশেষ লোকেশন বিহারে
‘দক্ষিণ সীমান্তে অভিবাসী সংকটের জন্য দায়ী ট্রাম্প, বাইডেন নয়’
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে বেড়ে গেছে বৈধ কাগজপত্রহীন অভিবাসীর সংখ্যা। শুধু ফেব্রুয়ারি মাসেই এক লাখের বেশি অভিবাসী প্রত্যাশী দক্ষিণের সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে। এই ক্রমবর্ধিত অভিবাসী চাপের কারণে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে স্থান সংকুলান হচ্ছে না।
কোনো কোনো আশ্রয়কেন্দ্রে ধারণ ক্ষমতার সাতগুণ বেশি মানুষকে রাখতে হচ্ছে। আর সীমান্তের এই সংকটময় মুহুর্তের জন্য দায়ি করা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনকে। রিপাবলিকান পার্টির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সীমান্তের এই সংকটময় পরিস্থিতির মূল কারণ বাইডেন প্রশাসনের অভিবাসী শিথিল নীতি।
তবে ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতারা একে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিহিত করছেন। এল পাসোর কংগ্রেসওমেন ভেরোনিকা এস্কোবার রোববার (১৪ মার্চ) দাবি করেন, মূলত জো বাইডেনের উদারপন্থী নীতির কারণে নয় বরং ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে অভিবাসী দমন নীতির প্রভাব স্বরূপ দক্ষিণ সীমান্তে অভিবাসীর সংখ্যা বাড়ছে এবং মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হচ্ছে।
শুধু ডেমোক্রেটিকরা নন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে সৃষ্ট মানবিক সংকটের জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করেছেন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেন, সীমান্ত সংকট আমেরিকার সবার জন্য এক মানবিক চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ন্যান্সি পেলোসি বলেন, ‘অভিবাসন নিয়ে চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। আর এই নৈরাজ্যের জন্য দায়ী ট্রাম্প।’
এল পাসোর কংগ্রেসওমেন ভেরোনিকা এস্কোবার বলেন, ‘সীমান্তে অভিবাসীদের চাপ বাড়ছে। অভিবাসীদের সঙ্গে থাকা অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের সামাল দিতে অভিবাসন বিভাগ ও সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত নিরাপত্তা কর্মকর্তারা হিমশিম খাচ্ছেন। এর কারণ, গত চার বছরে ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন বিভাগ ও এই সংক্রান্ত এজেন্সিগুলোকে ধংস করে দিয়েছে।‘
এস্কোবার বলেন, ট্রাম্পের বেপরোয়া অভিবাসী নীতির জেরেই এখন অভিবাসী প্রত্যাশীদের প্রবাহ শুরু হয়েছে। নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে এখন এই সংকট মোকাবিলায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভেঙে পড়া সীমান্ত-ব্যবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে, অভিবাসীদের সঙ্গে থাকা শিশুদের নিরাপদে রাখার জন্য ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট (ফেমা) কর্মকর্তাদের দক্ষিণের সীমান্তে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য হোমল্যান্ড সেক্রেটারি আলেজান্দ্রো মেওয়রকাস গত শনিবার ফেমা কর্মকর্তাদের সীমান্তে পাঠিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নির্দেশে ফেমা কর্মকর্তারা সীমান্তে আসা শিশুদের মানবিক আবাসন ও জরুরি চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করবেন।
২০ জানুয়ারি ক্ষমতায় এসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অভিবাসন নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। তবে অভিবাসনের নানা বিষয়ে যেখানেই তিনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, তাঁকে ট্রাম্পের সময়ে পাল্টে দেওয়া নিয়মনীতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। ঢেলে সাজাতে হচ্ছে অভিবাসনের পুরো প্রক্রিয়াকে। সমন্বিত কোনো আইন প্রণয়নের আগে অভিবাসন প্রক্রিয়ার চলমান বিষয়গুলোতে পরিবর্তন আনতে গিয়ে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন বাইডেন।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন