প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার শিকার
দক্ষিণের সীমান্তে বিপর্যয়: বাইডেনকে দায়ী করছেন রিপাবলিকানরা
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
অভিবাসী বিষয়ে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গন। ক্রমবর্ধমানভাবে অভিবাসী চাপ বাড়তে থাকায় মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে ইউএস-ম্যাক্সিকো বর্ডারে। আর এই বিষয়টি নিয়ে ডেমোক্রেটিক-রিপাবলিকানদের মধ্যে শুরু হয়েছে বাকযুদ্ধ।
হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের প্রতিনিধি দলের প্রধান কেভিন ম্যাকার্থি বলেছেন, দক্ষিণ সীমান্তে সৃষ্টি হওয়া অভিবাসীর চাপ ও মানবিক সংকটের কারণে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়ী।
সোমবার (১৫ মার্চ) টেক্সাসের এল পাসো ভ্রমণে যেয়ে এই কথা বলেন কেভিন ম্যাকার্থি।
কেভিন ম্যাকার্থি প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে নিজে দক্ষিণ সীমান্তে যেয়ে অভিবাসীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে আহবান জানান। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উচিত নিজে যেয়ে সৃষ্ট সমস্যাটি মোকাবিলা করা’।
পেট্রোল এজেন্ট সূত্র জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসে অভিভাবকহীন নয় হাজার শিশুকে আটক করা হয়েছে। এখনো প্রতিদিন প্রায় ৪০০ জন বাসিন্দাকে সীমান্ত পারাপারের সময় আটক করা হচ্ছে।
ম্যাকার্থি বলেন, ‘বাইডেনের উচিত এখানে এসে অভিবাসীদের চোখের দিকে তাকানো। তাঁর উচিত সীমান্তে এসে সীমান্ত রক্ষীদের সাথে কথা বলা।
ম্যাকার্থি বলেন, ‘বাইডেন সব কিছু অস্বীকার করছে। তবে সমস্যা সমাধান করতে হলে তার প্রথমেই এসব স্বীকার করে নিতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতি বিপর্যয়ের থেকেও বড় কিছু’।
ম্যাকার্থি ছাড়াও অন্যান্য রিপাবলিকানরা সীমান্তে মানবিক বিপর্যয়ের জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনক দোষারোপ করছেন। অনেকেই সীমান্তে অভিবাসী ঢেউ এর সাথে মাদক চোরাকারবারীদের সাথে হাত আছে বলে মন্তব্য করছেন।
এর আগে গতকাল হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি সীমান্তের বিপর্যয়ের জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করেন।
গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ন্যান্সি পেলোসি বলেন, ‘অভিবাসন নিয়ে চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। আর এই নৈরাজ্যের জন্য দায়ী ট্রাম্প।’
এল পাসোর কংগ্রেসওমেন ভেরোনিকা এস্কোবার বলেন, ‘সীমান্তে অভিবাসীদের চাপ বাড়ছে। অভিবাসীদের সঙ্গে থাকা অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের সামাল দিতে অভিবাসন বিভাগ ও সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত নিরাপত্তা কর্মকর্তারা হিমশিম খাচ্ছেন। এর কারণ, গত চার বছরে ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন বিভাগ ও এই সংক্রান্ত এজেন্সিগুলোকে ধংস করে দিয়েছে।‘
এস্কোবার বলেন, ট্রাম্পের বেপরোয়া অভিবাসী নীতির জেরেই এখন অভিবাসী প্রত্যাশীদের প্রবাহ শুরু হয়েছে। নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে এখন এই সংকট মোকাবিলায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভেঙে পড়া সীমান্ত-ব্যবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে, অভিবাসীদের সঙ্গে থাকা শিশুদের নিরাপদে রাখার জন্য ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট (ফেমা) কর্মকর্তাদের দক্ষিণের সীমান্তে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য হোমল্যান্ড সেক্রেটারি আলেজান্দ্রো মেওয়রকাস গত শনিবার ফেমা কর্মকর্তাদের সীমান্তে পাঠিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নির্দেশে ফেমা কর্মকর্তারা সীমান্তে আসা শিশুদের মানবিক আবাসন ও জরুরি চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করবেন।
২০ জানুয়ারি ক্ষমতায় এসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অভিবাসন নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। তবে অভিবাসনের নানা বিষয়ে যেখানেই তিনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, তাঁকে ট্রাম্পের সময়ে পাল্টে দেওয়া নিয়মনীতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। ঢেলে সাজাতে হচ্ছে অভিবাসনের পুরো প্রক্রিয়াকে। সমন্বিত কোনো আইন প্রণয়নের আগে অভিবাসন প্রক্রিয়ার চলমান বিষয়গুলোতে পরিবর্তন আনতে গিয়ে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন বাইডেন।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন